০১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুদকের মামলায় ভূমি অফিস সহকারীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

ঘুষ গ্রহণের অপরাধে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ সার্কেলের ভূমি অফিসের সহকারী সঞ্জীব কুমার দে’কে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বিশেষ জজ মুন্সি আব্দুল মজিদের আদালত এই রায় দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সঞ্জীব চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানার এনায়েত বাজার এলাকার ক্ষিতিশ চন্দ্রের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর সীতাকুণ্ডের হাজী মো. শফি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী একটি খতিয়ান সংশোধনের জন্য আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিসে আবেদন করেন। ওই খতিয়ান সংশোধনের জন্য আসামি সঞ্জীব ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে তাকে ১০ হাজার টাকা দেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধার নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদকের অভিযানে ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর ঘুষের ১০ হাজার টাকাসহ সঞ্জীবকে গ্রেফতার করা হয়। পরেরদিন দুদক জেলা কার্যালয়-১ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি করেন এ মামলায় আদালতে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, দুদকের মামলায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সঞ্জীবকে দণ্ডবিধি ১৬১ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ এর ২ ধারায় ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুদকের মামলায় ভূমি অফিস সহকারীর ৩ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ০৪:৫৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

ঘুষ গ্রহণের অপরাধে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ সার্কেলের ভূমি অফিসের সহকারী সঞ্জীব কুমার দে’কে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বিশেষ জজ মুন্সি আব্দুল মজিদের আদালত এই রায় দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সঞ্জীব চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানার এনায়েত বাজার এলাকার ক্ষিতিশ চন্দ্রের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর সীতাকুণ্ডের হাজী মো. শফি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী একটি খতিয়ান সংশোধনের জন্য আগ্রাবাদ সার্কেল ভূমি অফিসে আবেদন করেন। ওই খতিয়ান সংশোধনের জন্য আসামি সঞ্জীব ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে তাকে ১০ হাজার টাকা দেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপ পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধার নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়।

দুদকের অভিযানে ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর ঘুষের ১০ হাজার টাকাসহ সঞ্জীবকে গ্রেফতার করা হয়। পরেরদিন দুদক জেলা কার্যালয়-১ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি করেন এ মামলায় আদালতে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, দুদকের মামলায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সঞ্জীবকে দণ্ডবিধি ১৬১ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ এর ২ ধারায় ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh