কুষ্টিয়া ভেড়ামারা রেল বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বয়স যখন ১৪ বছর তখন থেকে আমি ও আমার বড় ভাই মিলে মাছ ব্যবসা শুরু করি। সেইসাথে মাছ কেটে দিয়ে থাকি। মাছ কাটতে আলাদা কোন টাকা দিতে হয় না। আমরা কেজিপ্রতি ৫ টাকা করে মাছের সাথে দাম ধরে নিয়ে থাকি। আমার বয়স এখন ২২ আমার নাম দেবব্রত পিতা কানু (৬২) বাড়ি কাঠেরপুল। সংসারের হাল ধরতে যেয়ে দুই ভাই এক বোনের মধ্যে দুই ভাইয়ের আর পড়াশোনা করা হয় নাই। দুই ভাইয়ের টাকা দিয়ে বাড়ির খরচ চালানো সহ বোনের পড়াশোনার খরচ করা হয়। বাড়তি কোন আয় না থাকার কারণে তাদের আর দুই ভাইয়ের লেখাপড়া করা হয়নি। তাদের এখন একটাই স্বপ্ন আমরা যেহেতু পড়াশোনা করা সম্ভব হয়নি তাই ছোট বোনকে ভালোভাবে লেখাপড়া করে ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দিতে পারলে আমাদের জীবন সার্থক হবে।
মাছ ব্যবসায়ী দেবব্রত আরো বলেন, মাছ কাটাকাটি করা এখন অন্যতম একটি লাভজনক পেশা প্রায় প্রতিটি মাছের বাজারে এই পেশায় কিছু মানুষ দেখা যায়। যাহারা আমাদের বাসার গৃহিনীদের কষ্ট অনেকাংশেই লাঘক করে দিয়েছে এবং নিজেদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলেছে।
ফাহিম নামে একজন বলেন, আমার আম্মুরা প্রতিদিন বাসায় ১৩-১৪ জনের রান্না করত। অন্য কাজ তো সাথেই থাকতো। আর এখন কি সুখের জামানা চলে এসেছে মাছও বাজার থেকে রেডিমেড নেয়।
মুহিন নামে আরেকজন বলেন, এই ধরনের লোকের জন্য মহিলারা কাজ কাম করতে চায় না। গৃহিনীদের অলস করে দিচ্ছে।
নাহার নামে এক মহিলা বলেন, খুব ভালো মহিলাদের জন্য সকল বাজারে এই ব্যবসা অতি জরুরী।
মুক্তার হোসেন নামে আরেকজন বলেন, এই জন্যই তো রাত বারোটার সময় বাসায় মাছ নিয়ে গেলেও বউ কিছু বলে না। তবে আমাদের গৃহিণীদের অলস ও রোগের খনি বানিয়ে দিয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব