১২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

খলনায়ক খলিলের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর শক্তিমান এ অভিনেতার প্রয়াণ দিবস। ২০১৪ সালের এই দিনে মারা গিয়েছিলেন তিনি। ঢালিউডের পর্দায় তার সাবলীল অভিনয় এখনও সঞ্জীব হয়ে আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দর্শকের হৃদয়েও দাগ কেটেছে তার ভরাট কণ্ঠের সংলাপ। নায়ক থেকে পার্শ্ব চরিত্র, খলঅভিনেতা কিংবা জ্যেষ্ঠ ভূমিকায় এসেও সমান তালে কাজ করেছেন। বর্ণিল সিনে অধ্যায় রেখে যাওয়া সেই মানুষটির নাম খলিল উল্লাহ খান।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় খলিল উল্লাহ খানের মৃত্যুবার্ষিকী প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্যস্ততার কথা বলে জানালেন, আপাতত এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না! তাই জানা যায়নি, সাধারণ আনসার সদস্য থেকে ঢালিউডের শক্তিমান অভিনেতা হওয়া খলিল স্মরণে সমিতির পক্ষ থেকে কোনও আয়োজন রয়েছে কি না। অথবা জানা যায়নি, খলিলের অভাব কতোটা ভোগায় ঢালিউডকে।

খলিল উল্লাহ খানের রূপালি জীবন পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত। অভিনয় করেছিলেন প্রায় আটশ সিনেমায়। এতো বেশি সিনেমায় অভিনয় করা শিল্পী ঢালিউডে খুব কমই আছেন। এছাড়া টিভি পর্দায়ও তার সাফল্য উল্লেখযোগ্য। বিটিভির বিখ্যাত ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’-এ মিয়ার ব্যাটা চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি।

১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে জন্ম খলিল উল্লাহ খানের। তার পুরো নাম আবু ফজল মোহাম্মদ খলিল উল্লাহ খান। বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে সিলেট, কৃষ্ণনগর, বগুড়া, নোয়াখালী বিভিন্ন জায়গায় থেকেছেন। তবে শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো তিনি সিলেট থেকেই সম্পন্ন করেছেন।

১৭ বছর বয়সে আর্মি কমিশনে যোগ দিয়ে পাকিস্তানের কোয়েটায় চলে যান। সেখান থেকে এক বছর পর ফিরে যুক্ত হন আনসারে। মাঝে অনেক বছর তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল অব্দি টানা তিনি আনসারের সদস্য ছিলেন।

চাকরির পাশাপাশি অভিনয়ের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে গেছে খলিল উল্লাহ খান। ১৯৫৯ সালে ‘সোনার কাজল’ ছবির মাধ্যমে তার সিনে ক্যারিয়ার শুরু হয়। এই ছবিতে তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে কাজল (১৯৬৫), ক্যায়সে কাহু (১৯৬৫), ভাওয়াল সন্ন্যাসী (১৯৬৫), বেগানা (১৯৬৬) জংলী ফুল (১৯৬৮) ইত্যাদি ছবিতে নায়কের চরিত্রে কাজ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেন গুণী এই শিল্পী।

সিনে অঙ্গনের নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন খলিল উল্লাহ খান। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুণ্ডা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন খলিল উল্লাহ খান। ২০১২ সালে তাকে এই পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

খলনায়ক খলিলের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ০১:৩৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর শক্তিমান এ অভিনেতার প্রয়াণ দিবস। ২০১৪ সালের এই দিনে মারা গিয়েছিলেন তিনি। ঢালিউডের পর্দায় তার সাবলীল অভিনয় এখনও সঞ্জীব হয়ে আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দর্শকের হৃদয়েও দাগ কেটেছে তার ভরাট কণ্ঠের সংলাপ। নায়ক থেকে পার্শ্ব চরিত্র, খলঅভিনেতা কিংবা জ্যেষ্ঠ ভূমিকায় এসেও সমান তালে কাজ করেছেন। বর্ণিল সিনে অধ্যায় রেখে যাওয়া সেই মানুষটির নাম খলিল উল্লাহ খান।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় খলিল উল্লাহ খানের মৃত্যুবার্ষিকী প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্যস্ততার কথা বলে জানালেন, আপাতত এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না! তাই জানা যায়নি, সাধারণ আনসার সদস্য থেকে ঢালিউডের শক্তিমান অভিনেতা হওয়া খলিল স্মরণে সমিতির পক্ষ থেকে কোনও আয়োজন রয়েছে কি না। অথবা জানা যায়নি, খলিলের অভাব কতোটা ভোগায় ঢালিউডকে।

খলিল উল্লাহ খানের রূপালি জীবন পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বিস্তৃত। অভিনয় করেছিলেন প্রায় আটশ সিনেমায়। এতো বেশি সিনেমায় অভিনয় করা শিল্পী ঢালিউডে খুব কমই আছেন। এছাড়া টিভি পর্দায়ও তার সাফল্য উল্লেখযোগ্য। বিটিভির বিখ্যাত ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’-এ মিয়ার ব্যাটা চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন তিনি।

১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে জন্ম খলিল উল্লাহ খানের। তার পুরো নাম আবু ফজল মোহাম্মদ খলিল উল্লাহ খান। বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে সিলেট, কৃষ্ণনগর, বগুড়া, নোয়াখালী বিভিন্ন জায়গায় থেকেছেন। তবে শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো তিনি সিলেট থেকেই সম্পন্ন করেছেন।

১৭ বছর বয়সে আর্মি কমিশনে যোগ দিয়ে পাকিস্তানের কোয়েটায় চলে যান। সেখান থেকে এক বছর পর ফিরে যুক্ত হন আনসারে। মাঝে অনেক বছর তিনি সাসপেন্ড ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল অব্দি টানা তিনি আনসারের সদস্য ছিলেন।

চাকরির পাশাপাশি অভিনয়ের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে গেছে খলিল উল্লাহ খান। ১৯৫৯ সালে ‘সোনার কাজল’ ছবির মাধ্যমে তার সিনে ক্যারিয়ার শুরু হয়। এই ছবিতে তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন। পরবর্তীতে কাজল (১৯৬৫), ক্যায়সে কাহু (১৯৬৫), ভাওয়াল সন্ন্যাসী (১৯৬৫), বেগানা (১৯৬৬) জংলী ফুল (১৯৬৮) ইত্যাদি ছবিতে নায়কের চরিত্রে কাজ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেন গুণী এই শিল্পী।

সিনে অঙ্গনের নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন খলিল উল্লাহ খান। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুণ্ডা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন খলিল উল্লাহ খান। ২০১২ সালে তাকে এই পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব