০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

নয়াপল্টনে সমাবেশ করা যাবে না: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করতে হবে। সেটা না হলে উন্মুক্ত কোনও জায়গায় ব্যবস্থা করতে হবে। নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিলে ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা থাকতে পারে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশনার বলেন, জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পল্টন পার্টি অফিসের সামনে বিএনপিকে গণসমাবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। আইন অমান্য করলে বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেননা তারা কোথায় সমাবেশ করতে পারবে, বিষয়গুলো নিয়ে তাদের নেতৃস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার কথা হয়েছে।

কমিশনার গোলাম ফারুক বলেন, পল্টনের সামনে ১০ লাখ লোকের জায়গা হবে না। সর্বোচ্চ এক লাখ লোক পল্টনে দাঁড়াতে পারবে। বাকি ৯ লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। এটার ওপর বিএনপির কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এতে জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তার জন্য তাদের পল্টনের সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যেই তাদের বলা হয়েছে, সমাবেশ টঙ্গীর তুরাগ তীর কিংবা পূর্বাচল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে করতে পারে। কিন্তু তা না করে কোন উদ্দেশে বা কেন পল্টনে সমাবেশ করতে চাচ্ছে- এ বিষয়গুলো গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খতিয়ে দেখছে।

রাজধানীর প্রবেশপথ গাবতলি, গুলিস্তান, সায়দাবাদ যাত্রাবাড়ী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মী হলেই যাদের অনেককে আটক করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এরকম কোনও তথ্য নেই। নিয়মিত চেকপোস্ট বসছে। কারণ হলো, ১-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলছে। ১৪ ডিসেম্বর, ১৬ ডিসেম্বর, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন আছে। এর আগে যাতে কোনও ধরনের নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে চেকপোস্ট বসিয়েছি। কোনও যাত্রীকে আটক বা ঢাকা আসা বন্ধ করিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

নয়াপল্টনে সমাবেশ করা যাবে না: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত : ০৯:৫৪:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করতে হবে। সেটা না হলে উন্মুক্ত কোনও জায়গায় ব্যবস্থা করতে হবে। নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিলে ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা থাকতে পারে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশনার বলেন, জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পল্টন পার্টি অফিসের সামনে বিএনপিকে গণসমাবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। আইন অমান্য করলে বিএনপির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেননা তারা কোথায় সমাবেশ করতে পারবে, বিষয়গুলো নিয়ে তাদের নেতৃস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার কথা হয়েছে।

কমিশনার গোলাম ফারুক বলেন, পল্টনের সামনে ১০ লাখ লোকের জায়গা হবে না। সর্বোচ্চ এক লাখ লোক পল্টনে দাঁড়াতে পারবে। বাকি ৯ লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। এটার ওপর বিএনপির কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এতে জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তার জন্য তাদের পল্টনের সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যেই তাদের বলা হয়েছে, সমাবেশ টঙ্গীর তুরাগ তীর কিংবা পূর্বাচল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে করতে পারে। কিন্তু তা না করে কোন উদ্দেশে বা কেন পল্টনে সমাবেশ করতে চাচ্ছে- এ বিষয়গুলো গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খতিয়ে দেখছে।

রাজধানীর প্রবেশপথ গাবতলি, গুলিস্তান, সায়দাবাদ যাত্রাবাড়ী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মী হলেই যাদের অনেককে আটক করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এরকম কোনও তথ্য নেই। নিয়মিত চেকপোস্ট বসছে। কারণ হলো, ১-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলছে। ১৪ ডিসেম্বর, ১৬ ডিসেম্বর, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন আছে। এর আগে যাতে কোনও ধরনের নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে চেকপোস্ট বসিয়েছি। কোনও যাত্রীকে আটক বা ঢাকা আসা বন্ধ করিনি।