সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সবুজে ঘেরা মাঠের আকাশে উড়ছে ফ্রান্সের ২ কিলোমিটার পতাকা। যে পতাকা নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনা। ফ্রান্সের ২ কিলোমিটার পতাক তৈরি করে আকাশে উড়ানো তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল নামের সেই ভক্তের বাড়ি চলনবিল অঞ্চলের তাড়াশ উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রাম নওগাঁ ইউনিয়নের কালিদাসনীলি গ্রামে। সে ওই গ্রামের হাজি মোসলেম সরদারের ছেলে। তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চলের দাবী সে তার একটি দেশীও হাঁসের খামারের সবগুলো হাঁস বিক্রি করে ২ কিলোমিটার পতাকাটি বানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে, উপজেলার সেই প্রত্যান্ত গ্রাম কালিদাসনীলি গিয়ে এলাকা বাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল ছোট বেলা থেকেই ফ্রান্সের ফুটবল দলের সমর্থক। ১৯৯৮ ইং থেকে সে ছোট বড় মাঝারী ধরনের ফ্রান্সের পতাকা উত্তলোন করলেও এবার বিশ্বকাপে তিনি প্রায় ২ কিলোমিটারের ও বেশি লম্বা পতাকা তৈরি করে এলাকায় চরম চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছেন। এলাকার লোকজন প্রথমে তাকে নিয়ে হাসা হাসি করলেও এখন সবাই তাকে অনেকটা উৎসহ দিচ্ছেন।
কালিদাসনীলি গ্রামের আলামিন,মহরম আলী,শহিদুল ইসলাম সহ অনেকেই বলেন, যুবক তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল একজন দরিদ্র কৃষক। এরপরেও তার রয়েছে ফুটবলের প্রতি একনিষ্ঠ ভালোবাসা। সেই সাথে তার প্রিয় দল ফ্রান্সের প্রতি ভালাবাসায় ২ কিলোমিটার পতাকা বানাতে গিয়ে বিক্রি করেছেন নিজের হাঁসের খামার। আমরা তাকে উৎসহ দিচ্ছি। তবে আমাদেরও চাওয়া তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল কে সরকার সহ ফ্রান্সের খেলয়ারগণ যেন উৎসহ প্রদান করেন।
এ প্রসঙ্গে তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল বলেন, আমি ফ্রান্সের ফুটবল দলের সমর্থন করে ১৯৯৮ ইং থেকে সে ছোট বড় মাঝারী ধরনের ফ্রান্সের পতাকা উত্তলোন করি। কিন্ত এ বছর প্রিয়দলের সমর্থনে শেষ সম্বল হাঁসের খামার বিক্রি করে ২ কিলোমিটার পতাকা টানিয়েছি। আমার চাওয়া ফ্রান্সের জয় হোক এ বিশ্বকাপে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব






















