১০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

আনোয়ারায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ব্যস্ত কৃষকরা

চট্টগ্রামে আনোয়ারায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও বীজ সংগ্রহে সব ইউনিয়নের কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তারা।এদিকে এক ফসলি জমিতে বোরো ও শীত থেকে চারা সুরক্ষায় বীজ বপনের এটাই উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনের উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের পরিদর্শন করে দেখা যায়, কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা জন্য জমিন নির্বাচন করতেছে। আবার কোন জায়গা বীজ তলা চারা গুলোতে পানি সেচসহ পরিচর্যা করানো হচ্ছে।

কৃষকেরা জানান, ইরি-বোরোর বীজ বপনের সময় আরও কিছুটা হাতে থাকলেও ধান বীজতলা তৈরির কাজটা আগেভাগেই শুরু করেছেন। কারণ বিগত দিনের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুতে প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশা হয়।

এ সময় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে অপরিপক্ব বোরো ধানের চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়। নষ্ট হয় বীজতলার চারাগাছ। চারা সংকটে ইরি-বোরো রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। তাই এবার একটু আগাম বীজ বপন করছেন তাঁরা।

বৈরাগ ইউনিয়নের আব্দুল ছালাম নামে এক কৃষক জানান, উপজেলা থেকে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ০৫ কেজি উফশী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার,১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার ফারহানা আকতার মাঝে মাঝে এসে ক্ষেতগুলো পরিদর্শন করে যায়। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, উপজেলা মোট ৫ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩৬০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২২০০ জন কৃষককে ০৫ কেজি উফশী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং ৪৫০০ জন কৃষককে ০২ কেজি হারে হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণের দেওয়া হচ্ছে।

আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, চলতি ইরি-বোরো চাষ মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি এলাকায় বীজতলা তৈরি এবং বোরো আবাদের জমি তৈরি কাজ চলছে। বীজতলার বীজের চারাগাছ যাতে সুস্থ ও সবলসহ ভালো হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শসহ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবে এ বিষয়ে কাজ করছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আনোয়ারায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ব্যস্ত কৃষকরা

প্রকাশিত : ০৩:২০:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রামে আনোয়ারায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরি ও বীজ সংগ্রহে সব ইউনিয়নের কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তারা।এদিকে এক ফসলি জমিতে বোরো ও শীত থেকে চারা সুরক্ষায় বীজ বপনের এটাই উপযুক্ত সময় বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনের উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের পরিদর্শন করে দেখা যায়, কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা জন্য জমিন নির্বাচন করতেছে। আবার কোন জায়গা বীজ তলা চারা গুলোতে পানি সেচসহ পরিচর্যা করানো হচ্ছে।

কৃষকেরা জানান, ইরি-বোরোর বীজ বপনের সময় আরও কিছুটা হাতে থাকলেও ধান বীজতলা তৈরির কাজটা আগেভাগেই শুরু করেছেন। কারণ বিগত দিনের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুতে প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশা হয়।

এ সময় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে অপরিপক্ব বোরো ধানের চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়। নষ্ট হয় বীজতলার চারাগাছ। চারা সংকটে ইরি-বোরো রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। তাই এবার একটু আগাম বীজ বপন করছেন তাঁরা।

বৈরাগ ইউনিয়নের আব্দুল ছালাম নামে এক কৃষক জানান, উপজেলা থেকে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ০৫ কেজি উফশী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার,১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার ফারহানা আকতার মাঝে মাঝে এসে ক্ষেতগুলো পরিদর্শন করে যায়। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, উপজেলা মোট ৫ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।কৃষি প্রণোদনা হিসেবে ৩৬০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২২০০ জন কৃষককে ০৫ কেজি উফশী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং ৪৫০০ জন কৃষককে ০২ কেজি হারে হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণের দেওয়া হচ্ছে।

আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, চলতি ইরি-বোরো চাষ মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি এলাকায় বীজতলা তৈরি এবং বোরো আবাদের জমি তৈরি কাজ চলছে। বীজতলার বীজের চারাগাছ যাতে সুস্থ ও সবলসহ ভালো হয় সেজন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শসহ সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবে এ বিষয়ে কাজ করছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব