০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

ভালুকায় হত্যার ২২ বছর পর আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় আসাদ মিয়া নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারি বিকেলে ময়মনসিংহের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহাদত হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদ মিয়া জেলার ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক ঝুটন কুমার বর্মণ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভালুকার মেদুয়ারী গ্রামের আসাদ মিয়ার সঙ্গে জালাল উদ্দিনের ছেলে নিহত নাজমুলের টাকার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা চলে আসছিল। ঘটনার দিন ২০০০ সালের ৩ ডিসেম্বর আসাদ ও নাজমুলের পরিবারের লোকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসাদ তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে নাজমুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল মারা যান।

ঘটনার পরদিন নিহত নাজমুলের বাবা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে আসাদ মিয়া, তার স্ত্রী রাশিদা খাতুন ও ছেলে বিল্লাল হোসেনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন।

ওই মামলায় দীর্ঘ ২২ বছর পর মঙ্গলবার আসামি আসাদ মিয়া ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুনের উপস্থিতিতে এবং ছেলে বিল্লাল হোসেনের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন আদালত। বাকি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ভালুকায় হত্যার ২২ বছর পর আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ০৩:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

ময়মনসিংহে হত্যা মামলায় আসাদ মিয়া নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারি বিকেলে ময়মনসিংহের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহাদত হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদ মিয়া জেলার ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক ঝুটন কুমার বর্মণ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভালুকার মেদুয়ারী গ্রামের আসাদ মিয়ার সঙ্গে জালাল উদ্দিনের ছেলে নিহত নাজমুলের টাকার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা চলে আসছিল। ঘটনার দিন ২০০০ সালের ৩ ডিসেম্বর আসাদ ও নাজমুলের পরিবারের লোকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসাদ তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে নাজমুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল মারা যান।

ঘটনার পরদিন নিহত নাজমুলের বাবা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে আসাদ মিয়া, তার স্ত্রী রাশিদা খাতুন ও ছেলে বিল্লাল হোসেনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন।

ওই মামলায় দীর্ঘ ২২ বছর পর মঙ্গলবার আসামি আসাদ মিয়া ও তার স্ত্রী রাশিদা খাতুনের উপস্থিতিতে এবং ছেলে বিল্লাল হোসেনের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন আদালত। বাকি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব