০২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জানে আলমের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে পুকুর ভরাট করে পরিবেশ দূষণ ও ক্ষতির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস নামের একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর পরিবেশ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ইউএনও ছাড়াও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,  গোদাগাড়ী ইউনিয়নের পরমানন্দপুর মৌজায় একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। শূন্য দশমিক ৫৮ একরের এই পুকুরটি ১৮৮ নম্বর জেএল এর ২৮৫ নম্বর দাগে অবস্থিত। এটি এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি। উপজেলা ভূমি অফিসের খাতার রেকর্ড অনুযায়ী, এই জমির শ্রেণি পুকুর। এই পুকুরটিই ভরাট করছে উপজেলা প্রশাসন।

মামলার বাদী সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস জানায়, তাঁর পক্ষে মামলাটি ফাইলিং করেছেন আইনজীবী রায়হান কবীর। আদালতের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২২ মে শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন। সেদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শকের উপস্থিতিতে শুনানি হবে।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো. জানে আলম বলেন, তিনি এখনও জানেন না। তিনি দাবি করেন, যেখানে মাটি ফেলা হচ্ছে সেখানে কোন পুকুর নেই। স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু অনেক আগেই পুকুর ভরাট করে নিজেরা ভোগদখল করতেন। তারা সেটি উদ্ধার করেছেন। এখন হয়রানি করার জন্যই আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন।

ট্যাগ :

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা

প্রকাশিত : ০৯:০০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জানে আলমের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে পুকুর ভরাট করে পরিবেশ দূষণ ও ক্ষতির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস নামের একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর পরিবেশ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ইউএনও ছাড়াও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,  গোদাগাড়ী ইউনিয়নের পরমানন্দপুর মৌজায় একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। শূন্য দশমিক ৫৮ একরের এই পুকুরটি ১৮৮ নম্বর জেএল এর ২৮৫ নম্বর দাগে অবস্থিত। এটি এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি। উপজেলা ভূমি অফিসের খাতার রেকর্ড অনুযায়ী, এই জমির শ্রেণি পুকুর। এই পুকুরটিই ভরাট করছে উপজেলা প্রশাসন।

মামলার বাদী সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস জানায়, তাঁর পক্ষে মামলাটি ফাইলিং করেছেন আইনজীবী রায়হান কবীর। আদালতের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২২ মে শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন। সেদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শকের উপস্থিতিতে শুনানি হবে।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো. জানে আলম বলেন, তিনি এখনও জানেন না। তিনি দাবি করেন, যেখানে মাটি ফেলা হচ্ছে সেখানে কোন পুকুর নেই। স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু অনেক আগেই পুকুর ভরাট করে নিজেরা ভোগদখল করতেন। তারা সেটি উদ্ধার করেছেন। এখন হয়রানি করার জন্যই আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন।