Top
 ঢাকা রাত ১১:৩৯, সোমবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক পলিথিন মালচিং পদ্ধতির চাষাবাদ শুরু

সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের হুয়াকুয়া গ্রামে কৃষক মোঃ নজরুল ইসলাম তার ২৫ শতক জমিতে পলিথিন মালচিং পদ্ধতিতে মরিচের চাষ শুরু করেছে। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সোনাতলায় এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সা¤প্রতিক সময়ে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় এ পদ্ধতির চাষাবাদ শুরু হয়েছে। তাছাড়া নতুন এ কৃষি পদ্ধতি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে উপজেলার অন্যান্য গ্রামের কৃষকেরা।

মাটির আর্দ্রতা রক্ষা করে বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি পলিথিন মালচিং পদ্ধতি। সবজি জাতীয় ফসলের জমিতে শুকনো বা কাঁচা পাতা, বিচালি, কচুরিপানা বিছিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে বা মালচ করে এধরনের চাষাবাদ করা হয়। তবে এ পদ্ধতিটি সবজি জাতীয় ফসল বিশেষ করে মরিচ, টমেটো, স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন জাতের উন্নতমানের সবজি চাষের বিজ্ঞাননির্ভর একটি আধুনিক চাষ পদ্ধতি।

এ ফসল আবাদে ২৫ শতাংশ সেচ কম লাগে। এতে সারের ব্যবহার অত্যন্ত কম। এ পদ্ধতির ফসলে পোকামাকড় হয়না বললেই চলে, ফসলে আগাছা হয় না, ভাইরাস আক্রমণ করে না। বিষমুক্ত উচ্চমূল্যের ফসলের জন্য খুব উপযোগী এ মালচিং পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে উৎপাদনও অনেক বেশি হয়, কৃষক লাভবান হয়।

সরেজমিনে জেলার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের হুয়াকুয়া গ্রামে কৃষক মোঃ নজরুল ইসলামের ওই আধুনিক পলিথিন মালচিং পদ্ধতির জমিতে গিয়ে দেখা গেছে, জমিতে প্রয়োজনীয় উপাদান বিছিয়ে উপরে সিলভার রঙ এবং ভিতরে কালো রঙের বিশেষ ওই পলিথিন বিছিয়ে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মরিচের বেড। ওইসব বেডে নির্দিষ্ট দুরত্বে পলিথিন ফুটো করে রোপন করা হয়েছে মরিচের চারা। বেড়ে ওঠা মরিচের চারাগুলোকেও বেশ সতেজ ও প্রাণবন্ত দেখা গেছে। তবে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায়, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সোনাতলায় এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

আধুনিক পলিথিন মালচিং পদ্ধতির চাষাবাদ সম্পর্কে জানতে সোনাতলা উপজেলা কৃষি অফিসার সোহরাব হোসেনের সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানান, ‘পরিবেশবান্ধব আধুনিক পলিথিন মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকের খরচ খুব কম হয়। এ পদ্ধতির ফসল হয় বিষমুক্ত। এতে ক্ষতিকর পোকামাকড় আক্রমণ করে না। এই পদ্ধতির ফসল উৎপাদনও হয় অনেক বেশি। সোনাতলায় শুরু হওয়া মালচিং পদ্ধতির চাষাবাদ দেখে কৃষকেরা আশাবাদী ও উৎসাহী হচ্ছেন। আমরা বিষয়টি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছি। আশাকরি, আগামী দিনগুলোতে এ প্রযুক্তির চাষাবাদ বাড়বে, পাশাপাশি বাড়বে ফসলের উৎপাদন।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

এ বিভাগের আরও সংবাদ