সজনে ডাঁটা আর সজনে পাতার শাক শুধু রান্নার খাদ্য তালিকার উপকরণ নয় বরং সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেকটা অযত্নে আর অবহেলায় বেড়ে ওঠা সজনে খাদ্য হিসেবে বেশ প্রিয়। শারীরিক নানান অসুখের প্রতিষেধক হিসেবেও সজনের স্থান রয়েছে। বর্তমান মৌসুমে সেই সজনে গাছে ফুল আসা শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সজনে গাছে সাদা ফুলে ছেয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশে, বাড়ির আঙিনায় ও বিভিন্ন স্থানে গাছে গাছে ক’দিন পরেই বাতাসে দোল খাবে সজনে।
গয়ড়া গ্রামের আবুল বাশার নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘অনেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে সজনে চাষ করে হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন। প্রথমদিকে দামটা একটু বেশি থাকলেও পরে কমতে শুরু করে। শুধু গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছেই নয়, শহরের মানুষের কাছেও সজনে ডাঁটার ব্যাপক কদর রয়েছে।’
জালালাবাদের প্রশান্ত কুমার জানান, ‘অনেকটা বিনা পরিশ্রমে শুধু একটি ডাল সংগ্রহ করে বাড়ির আনাচে কানাচে, রাস্তার পাশে লাগিয়ে রাখলেই কিছু দিনের মধ্যেই গাছ বড় হয়ে যায়। বাড়তি কোন পরিচর্যাও তেমন করতে হয় না। ডাল রোপনের কয়েক মাস পরেই ফুল থেকে সজনে আসে। আর এর জালি পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়, যা খুবই পুষ্টিকর।’
কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম জানান, ‘সজনে, সজনের পাতা ও ফুল নি:সন্দেহে একটি পুষ্টিকর নিরাপদ খাবার। সজনে গাছের ছাল ও পাতা ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ঔষধে গুনে ভরা একটি সবজি হিসেবে সজনে ডাটার গুরুত্বারোপ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন সজনে ডাল লাগানোর জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

























