১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘সাফল্যের উচ্ছ্বাসে, ম্যানেজমেন্ট পঞ্চাশে ‘ ম্যানেজমেন্টের সুবর্ণজয়ন্তি চবিতে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে মেতে উঠেছে সাবেক-বর্তমান শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা, প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিভাগটি। দিনটিকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, বিভাগের সবাই মিলিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে।

‘সাফল্যের উচ্ছ্বাসে, ম্যানেজমেন্ট পঞ্চাশে ‘ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে দিনটি। সকাল ১০ টায় জিরো পয়েন্ট থেকে শহীদ মিনারে আনন্দ শোভাযাত্রা করে আসার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের ঠিক সামনে শুরু হয় আলোচনা সভার।

সরজমিনে দেখা গেছে, বিভাগটির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এবং বুদ্ধিজীবী চত্বর সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ব্যানার পোষ্টার শোভা পাচ্ছে একটু পর পর। বুদ্ধিজীবী চত্বরে বসেছে বেশ কয়েকটি দোকান এবং বুথ। যেখানে মিলছে হরেক রকমের খাবার। বিশেষ করে শীতের পিঠা, ফলের রস, রঙ চায়ের দোকানগুলোতে ছিলো শিক্ষার্থীদের ভিড়।

শুধু যে অনুষ্ঠানস্থল সজ্জ্বিত হয়েছে এমনট নয়। এদিন বসন্তের আগেই বাসন্তী সাজে সেজেছিলো চবির ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীরা। কারও পরনে ছিলো পাঞ্জাবি-পায়জামা কারও পরনে আবার শাড়ি। কেউবা মাথায় গুঁজে দিয়েছেন ফুল কারও বা আবার হাতে শোভা পাচ্ছে ফুলের চুড়ি। সব মিলিয়ে এ এক চোখ ধাঁধানো সাজ। যা বাড়িয়েছে অনুষ্ঠানের আমেজ।

সরজমিনে আরও দেখা যায়, বিভাগটির বেশ কিছু ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আগমণে এ এক মহামিলনে পরিণত হয়েছে। আর সাবেক বর্তমানরা মেতেছেন আড্ডায়। বিশেষ করে সাবেকদের উৎসাহ ছিলো দেখার মতো। আনন্দ, আড্ডা, গল্প আর ছবি তোলার ব্যস্ততা দেখা গেছে এই ক্যাম্পাসের এক সময়কার প্রিয় মুখদের। যাদের কেউ এখন শিক্ষক, কেউ বড় কোন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, আবার কেউ সরকারের বড় কোন আমলা বা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তি৷

শুধু যে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিলো তা কিন্তু নয়। মা কিংবা বাবার হাত ধরে এতে এসেছেন ছোট ছোট বাচ্চারা। বাবা-মায়ের ক্যাম্পাসটাকে ওরা নিজের মতো করে নিয়েছে। দু পা মেলে ছোটাছুটি করছে এদিক সেদিক।

এখনও মনে পড়ে সেই ক্লাসে ছোটার দিনগুলো:

কেউ ৫ বছর কেউ ১০ বছর, আবার কারও কারও ক্যাম্পাসে ফিরে আসার সময়টা প্রায় ১৫ বছর পর। তবে আজও তারা ভুলেননি ক্লাসের জন্য ছোটাছুটির সেই দিনগুলোর কথা। ম্যানেজমেন্ট বিভাগের করিডোরে শীতের সকালে বসে রোদ পোহানো কিংবা ক্লাস পরবর্তী গল্প আড্ডায় মেতে ওঠার সময়গুলো উনারা ভুলে যাননি। অনুষ্ঠানে আসা চবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বেশ কিছু সাবেক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের৷ তারা জানিয়েছেন সেই পুরোনো দিনের কথা। অনুষ্ঠানে এক সাথে মিলিত হয়ে উচ্ছ্বাস আনন্দের কথা।

শাহাদাত হোসেন নামে বিভাগটির সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক ভালো লাগছে আমাদের এই সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসে। অনুষ্ঠানের সুবাদে আজকে অনেক পুরাতন বন্ধুদের সাথে দেখা হলো। অনেকদিন পর একসাথে বুদ্ধজীবী চত্বরে আড্ডা দিচ্ছি এর থেকে শান্তির আর কি হতে পারে।

নাসরিন তারান্নুম নামে আরেক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সাথে আমার ছোট্ট মেয়েও এসেছে। ও এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে। আসলে অনেক ভালো লাগছে নিজের সন্তানকে নিয়ে নিজের ক্যাম্পাসে এসেছি।

সাইমুল হক নামে বিভাগটির আরেক শিক্ষার্থী নিজেদের সময়কার ক্যাম্পাসের কথা মনে করে বলেন, এখন ক্যাম্পাস অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের সময় ছেলেমেয়েরা আরও ঠান্ডা মাথার ছিলো। এখন প্রায় ক্যাম্পাসে সমস্যা হয় বলে শুনি। আমাদের এসব থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। তাহলে আমার বিভাগ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। সকালের পর্বের পরে বিকেলে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

আমি কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে নাম লিখতে চাই : নবাগত জেলা প্রশাসক

‘সাফল্যের উচ্ছ্বাসে, ম্যানেজমেন্ট পঞ্চাশে ‘ ম্যানেজমেন্টের সুবর্ণজয়ন্তি চবিতে

প্রকাশিত : ০২:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে মেতে উঠেছে সাবেক-বর্তমান শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা, প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিভাগটি। দিনটিকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, বিভাগের সবাই মিলিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে।

‘সাফল্যের উচ্ছ্বাসে, ম্যানেজমেন্ট পঞ্চাশে ‘ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে দিনটি। সকাল ১০ টায় জিরো পয়েন্ট থেকে শহীদ মিনারে আনন্দ শোভাযাত্রা করে আসার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের ঠিক সামনে শুরু হয় আলোচনা সভার।

সরজমিনে দেখা গেছে, বিভাগটির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এবং বুদ্ধিজীবী চত্বর সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ব্যানার পোষ্টার শোভা পাচ্ছে একটু পর পর। বুদ্ধিজীবী চত্বরে বসেছে বেশ কয়েকটি দোকান এবং বুথ। যেখানে মিলছে হরেক রকমের খাবার। বিশেষ করে শীতের পিঠা, ফলের রস, রঙ চায়ের দোকানগুলোতে ছিলো শিক্ষার্থীদের ভিড়।

শুধু যে অনুষ্ঠানস্থল সজ্জ্বিত হয়েছে এমনট নয়। এদিন বসন্তের আগেই বাসন্তী সাজে সেজেছিলো চবির ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীরা। কারও পরনে ছিলো পাঞ্জাবি-পায়জামা কারও পরনে আবার শাড়ি। কেউবা মাথায় গুঁজে দিয়েছেন ফুল কারও বা আবার হাতে শোভা পাচ্ছে ফুলের চুড়ি। সব মিলিয়ে এ এক চোখ ধাঁধানো সাজ। যা বাড়িয়েছে অনুষ্ঠানের আমেজ।

সরজমিনে আরও দেখা যায়, বিভাগটির বেশ কিছু ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আগমণে এ এক মহামিলনে পরিণত হয়েছে। আর সাবেক বর্তমানরা মেতেছেন আড্ডায়। বিশেষ করে সাবেকদের উৎসাহ ছিলো দেখার মতো। আনন্দ, আড্ডা, গল্প আর ছবি তোলার ব্যস্ততা দেখা গেছে এই ক্যাম্পাসের এক সময়কার প্রিয় মুখদের। যাদের কেউ এখন শিক্ষক, কেউ বড় কোন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, আবার কেউ সরকারের বড় কোন আমলা বা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তি৷

শুধু যে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিলো তা কিন্তু নয়। মা কিংবা বাবার হাত ধরে এতে এসেছেন ছোট ছোট বাচ্চারা। বাবা-মায়ের ক্যাম্পাসটাকে ওরা নিজের মতো করে নিয়েছে। দু পা মেলে ছোটাছুটি করছে এদিক সেদিক।

এখনও মনে পড়ে সেই ক্লাসে ছোটার দিনগুলো:

কেউ ৫ বছর কেউ ১০ বছর, আবার কারও কারও ক্যাম্পাসে ফিরে আসার সময়টা প্রায় ১৫ বছর পর। তবে আজও তারা ভুলেননি ক্লাসের জন্য ছোটাছুটির সেই দিনগুলোর কথা। ম্যানেজমেন্ট বিভাগের করিডোরে শীতের সকালে বসে রোদ পোহানো কিংবা ক্লাস পরবর্তী গল্প আড্ডায় মেতে ওঠার সময়গুলো উনারা ভুলে যাননি। অনুষ্ঠানে আসা চবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বেশ কিছু সাবেক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের৷ তারা জানিয়েছেন সেই পুরোনো দিনের কথা। অনুষ্ঠানে এক সাথে মিলিত হয়ে উচ্ছ্বাস আনন্দের কথা।

শাহাদাত হোসেন নামে বিভাগটির সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক ভালো লাগছে আমাদের এই সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এসে। অনুষ্ঠানের সুবাদে আজকে অনেক পুরাতন বন্ধুদের সাথে দেখা হলো। অনেকদিন পর একসাথে বুদ্ধজীবী চত্বরে আড্ডা দিচ্ছি এর থেকে শান্তির আর কি হতে পারে।

নাসরিন তারান্নুম নামে আরেক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সাথে আমার ছোট্ট মেয়েও এসেছে। ও এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে। আসলে অনেক ভালো লাগছে নিজের সন্তানকে নিয়ে নিজের ক্যাম্পাসে এসেছি।

সাইমুল হক নামে বিভাগটির আরেক শিক্ষার্থী নিজেদের সময়কার ক্যাম্পাসের কথা মনে করে বলেন, এখন ক্যাম্পাস অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের সময় ছেলেমেয়েরা আরও ঠান্ডা মাথার ছিলো। এখন প্রায় ক্যাম্পাসে সমস্যা হয় বলে শুনি। আমাদের এসব থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। তাহলে আমার বিভাগ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। সকালের পর্বের পরে বিকেলে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব