০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ চট্টগ্রাম-ঢাকা করিডোরের লাইফ লাইন

চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা অংশে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবললাইন রেলপথ। তবে এটি আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ ডাবললাইন প্রকল্পের আংশিক। আর এতেই দ্বিগুণেরও অধিক গতিতে চলবে ট্রেন। সেই সঙ্গে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ার রয়েছে সম্ভাবনা। আজ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনে আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েলগেজ করার উদ্যোগ নেয়া হলেও রেললাইন এবং রেলস্টেশন নির্মাণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় প্রকল্পের পুরো কাজ সম্পন্ন হয়নি। ফলে আপাতত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে মন্দবাগ এবং কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার ডাবললাইন রেলপথ উদ্বোধন করা হচ্ছে। অবশিষ্ট ৩৩ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ লাইনের নির্মাণকাজ চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথে ১৯০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ ও বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েলেগেজে রূপান্তর প্রকল্পের কাজ বিগত ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবে কসবা রেলওয়ে স্টেশনের কাজ ও সালদানদী রেলসেতুর কাজে সীমান্ত আইনের অজুহাতে বিএসএফের বাধাসহ নানাবিধ কারণে অবশিষ্ট কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়।

বর্তমানে এই রেলপথের প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে কসবার মন্দবাগ এলাকার আংশিক রেলপথ ও সালদা রেল ব্রিজের কাজ বিএসএফের বাধায় নির্মাণকাজ বিঘিœত হওয়ায় ওই দুটি অংশ থেকে কুমিল্লার শশীদল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ ক্রসওভারের মাধ্যমে সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে শিগগিরই তা স্থায়ীভাবে সমাধান করে ডাবল লাইনেই পুরোদমে ট্রেন চলাচলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক জানান। তিনি আরও জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি কসবা থেকে মন্দবাগ এবং শশীদল থেকে রাজাপুর সেকশনে আরও ৩২ কিলোমিটার রেলপথ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ডাবললাইন ট্রেন অপারেশন উদ্বোধন করা হবে। অবশিষ্ট ৩৩ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ লাইনের নির্মাণকাজ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।

এদিকে ডবল লাইন নির্মাণের ফলে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি, নতুন ট্রেনের সংযোজনসহ দুর্ঘটনাও কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন লাইন চালুর উদ্যোগে এই রলেপথের যাত্রীরাও উচ্ছ্বসিত।

আখাউড়া-লাকসাম ডবল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্ত গীন বলেন, ‘আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের লাইফ লাইন। এই পথ ডবললাইন করার ফলে চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথে নতুন নতুন ট্রেনের সংযোজনসহ যাত্রাপথে অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩২ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন করবেন। অবশিষ্ট রেলপথ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ চট্টগ্রাম-ঢাকা করিডোরের লাইফ লাইন

প্রকাশিত : ১০:২৪:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা অংশে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবললাইন রেলপথ। তবে এটি আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ ডাবললাইন প্রকল্পের আংশিক। আর এতেই দ্বিগুণেরও অধিক গতিতে চলবে ট্রেন। সেই সঙ্গে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ার রয়েছে সম্ভাবনা। আজ প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনে আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েলগেজ করার উদ্যোগ নেয়া হলেও রেললাইন এবং রেলস্টেশন নির্মাণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় প্রকল্পের পুরো কাজ সম্পন্ন হয়নি। ফলে আপাতত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে মন্দবাগ এবং কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার ডাবললাইন রেলপথ উদ্বোধন করা হচ্ছে। অবশিষ্ট ৩৩ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ লাইনের নির্মাণকাজ চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথে ১৯০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ ও বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েলেগেজে রূপান্তর প্রকল্পের কাজ বিগত ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবে কসবা রেলওয়ে স্টেশনের কাজ ও সালদানদী রেলসেতুর কাজে সীমান্ত আইনের অজুহাতে বিএসএফের বাধাসহ নানাবিধ কারণে অবশিষ্ট কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়।

বর্তমানে এই রেলপথের প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে কসবার মন্দবাগ এলাকার আংশিক রেলপথ ও সালদা রেল ব্রিজের কাজ বিএসএফের বাধায় নির্মাণকাজ বিঘিœত হওয়ায় ওই দুটি অংশ থেকে কুমিল্লার শশীদল পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ ক্রসওভারের মাধ্যমে সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে শিগগিরই তা স্থায়ীভাবে সমাধান করে ডাবল লাইনেই পুরোদমে ট্রেন চলাচলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক জানান। তিনি আরও জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি কসবা থেকে মন্দবাগ এবং শশীদল থেকে রাজাপুর সেকশনে আরও ৩২ কিলোমিটার রেলপথ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ডাবললাইন ট্রেন অপারেশন উদ্বোধন করা হবে। অবশিষ্ট ৩৩ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ লাইনের নির্মাণকাজ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।

এদিকে ডবল লাইন নির্মাণের ফলে যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি, নতুন ট্রেনের সংযোজনসহ দুর্ঘটনাও কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন লাইন চালুর উদ্যোগে এই রলেপথের যাত্রীরাও উচ্ছ্বসিত।

আখাউড়া-লাকসাম ডবল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্ত গীন বলেন, ‘আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের লাইফ লাইন। এই পথ ডবললাইন করার ফলে চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথে নতুন নতুন ট্রেনের সংযোজনসহ যাত্রাপথে অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩২ কিলোমিটার রেলপথের উদ্বোধন করবেন। অবশিষ্ট রেলপথ চলতি বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব