০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

খোলা সয়াবিন তেল বন্ধের সময় ৬ মাস বৃদ্ধি

বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বন্ধের সময় ৬ মাস বৃদ্ধি করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার সকালে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে খোলা সয়াবিন তেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধ বিষয়ে সচেতনতানূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, রুপচাঁদাসহ বিভিন্ন ভোজ্যতেল রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি, কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ।

মহাপচিালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, খুচরা পর্যায়ে দেখা যায় সুপার পাম তেলকে সয়াবিন তেল হিসেবে বিক্রয় করছে। এক্ষেত্রে কোন কোম্পানিকে সনাক্ত করা যাছে না কারণ ড্রামে কোন তথ্য থাকে না। এছাড়াও লিটার প্রতি ১৫-২০ টাকা বেশি বিক্রি করার প্রবণতা দেখা যায়। আমরা সকলের সমন্বয়ে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি খোলা সয়াবিন তেল বন্ধে কাজ করতে চাই।

মহাপরিচালক আরও বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে খোলা তেল বাদ দিয়ে প্যাকেটজাত তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা মুল্য বৃদ্ধি পেলেও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় খোলা সয়াবিন তেল পরিহার করা উচিৎ। এছাড়াও খরচ কমিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের ছোট পেট বোতল, পাউচ প্যাক ও মিনি প্যাক প্রস্তুত করা যেতে পারে। মূলত এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আজকের সচেতনতানূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি বলেন অনেক শিক্ষণীয় একটা সভা হয়েছে। তিনি পাউচ প্যাকে তেল বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে পোকামকড়ে প্যাকেট কেটে ফেলার সমস্যা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চাপে প্যাকেট ফেটে যাওয়ার সমস্যার কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বন্ধের বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই এবং এক্ষেত্রে মিল মালিক থেকে শুরু করে সকলের মধ্যে এক্ষেত্রে সমন্বয় প্রয়োজন। সভা শেষে সকলের সহযোগিতায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রয় বন্ধ শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন।

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

খোলা সয়াবিন তেল বন্ধের সময় ৬ মাস বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ০৬:২২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বন্ধের সময় ৬ মাস বৃদ্ধি করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার সকালে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে খোলা সয়াবিন তেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধ বিষয়ে সচেতনতানূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, রুপচাঁদাসহ বিভিন্ন ভোজ্যতেল রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি, কারওয়ান বাজার ব্যবসায়ী সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ।

মহাপচিালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, খুচরা পর্যায়ে দেখা যায় সুপার পাম তেলকে সয়াবিন তেল হিসেবে বিক্রয় করছে। এক্ষেত্রে কোন কোম্পানিকে সনাক্ত করা যাছে না কারণ ড্রামে কোন তথ্য থাকে না। এছাড়াও লিটার প্রতি ১৫-২০ টাকা বেশি বিক্রি করার প্রবণতা দেখা যায়। আমরা সকলের সমন্বয়ে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি খোলা সয়াবিন তেল বন্ধে কাজ করতে চাই।

মহাপরিচালক আরও বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে খোলা তেল বাদ দিয়ে প্যাকেটজাত তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা মুল্য বৃদ্ধি পেলেও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় খোলা সয়াবিন তেল পরিহার করা উচিৎ। এছাড়াও খরচ কমিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের ছোট পেট বোতল, পাউচ প্যাক ও মিনি প্যাক প্রস্তুত করা যেতে পারে। মূলত এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আজকের সচেতনতানূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আলোচনায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি বলেন অনেক শিক্ষণীয় একটা সভা হয়েছে। তিনি পাউচ প্যাকে তেল বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে পোকামকড়ে প্যাকেট কেটে ফেলার সমস্যা ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চাপে প্যাকেট ফেটে যাওয়ার সমস্যার কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বন্ধের বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই এবং এক্ষেত্রে মিল মালিক থেকে শুরু করে সকলের মধ্যে এক্ষেত্রে সমন্বয় প্রয়োজন। সভা শেষে সকলের সহযোগিতায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রয় বন্ধ শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন।