০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রথম মাসেই কৃষি ঋণ বিতরণ এক হাজার ৯৯১ কোটি টাকা

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এক হাজার ৯৯১ কোটি ২৭ লাখ টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতরণ করা হয়েছে শস্য খাতে। জুলাই মাসে শস্য উৎপাদনের জন্য বিতরণ করা হয়েছে ৮৭৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এরপরেই রয়েছে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদন খাতে ৪৭৯ কোটি টাকা। পুরো অর্থবছরে যত টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার মধ্যে প্রথম মাসে অর্জন হয়েছে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি অর্থবছর থেকে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে এর হার ছিলো ৩০ শতাংশ। ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করায় কৃষক হয়রানি বাড়ছে। পাশাপাশি বেশি সুদে ঋণ নেওয়া কৃষকও উপকৃত হচ্ছে না বলেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশের চলমান আর্থিক সংকটে কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ বছর বাড়ানো হয়েছে লক্ষ্যমাত্রাও। কোন ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণে ব্যর্থ হলে কৃষি ঋণের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জাম দেওয়ার বিষয়েও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছর ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ ঋণ মৎস খাতে দিতে হবে। প্রথম মাস শেষে এই খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ১৫ শতাংশ ঋণ দেওয়ার কথা প্রাণিসম্পদ খাতে। আলোচিত সময়ে পশুসম্পদ ও পল্ট্রি খাতে বিতরণ করা হয়েছে ৪৭৯ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ২৪ শতাংশ। এছাড়া প্রথম মাস শেষে দ্রারিদ্র বিমোচণে ১১২ কোটি, শস্য খাতে ৮৭৪ কোটি, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ১৯ কোটি, সেচ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৭ কোটি, শস্য গুদামজাত ও বিপণন খাতে ৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো।

কৃষি ও পল্লী ঋণের চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংক ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক এক হাজার ৪৭ কো‌টি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। প্রথম মাস শেষে রাষ্ট্রের অর্থে পরিচালিত ব্যাংকগুলো ৪৮০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে। এছাড়া বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৪৫ কোটি টাকা। সবমিলে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে এই ঋণের পরিমাণ ছিলো ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে রাষ্ট্রের অর্থে পরিচালিত বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। এই ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণ ২৩৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী ব্যাংক বিতরণ করেছে ২০৮ কোটি টাকা। ১৬১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি খাতের ঢাকা ব্যাংক। এছাড়া ওয়ান ব্যাংক ১১১ কোটি আর ডাচ্ বাংলা ব্যাংক বিতরণ করেছে ১০১ কোটি টাকার ঋণ। প্রথম মাসে ঋণ বিতরণে ব্যর্থ হয়েছে ১০টি ব্যাংক। এর মধ্যে ৬টি বিদেশি এবং ৪টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে।

বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে ৫২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ রয়েছে। এসব ঋণের মধ্যে ৪ হাজার ৪৪ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে পড়েছে, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম মাসে ব্যাংকগুলো ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকার ঋণ উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে। গতবছরের একই সময়ে উত্তোলনের পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ৪৫ কোটি টাকা।

এর আগে নতুন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩২ হাজার ৮২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংক। কিন্তু ওই বছর পুরো ব্যাংক খাতের জন্য ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি। অর্থাৎ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের ব্যাংকগুলো। এক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ বিতরণ করলেও লক্ষ্যমাত্রায় অর্জনে ব্যথ হয়েছে ৮টি ব্যাংক।

‌বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাড়ির ছাদে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও শাক-সবজির যে বাগান গড়ে তোলা হয় তা ছাদবাগান হিসেবে পরিচিত। যাদের চাষের জন্য পর্যাপ্ত জমি নেই, কিন্তু নিজ হাতে কৃষি কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ছাদকৃষি একটি উত্তম বিকল্প ব্যবস্থা। শহরাঞ্চলে বাড়ির ছাদে বাগান সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবারের দৈনন্দিন খাদ্যের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। পাশাপাশি ছাদ কৃষি পরিবেশ রক্ষা ও বায়ুদূষণ প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এর প্রেক্ষিতে ছাদকৃষিতে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হ‌য়ে‌ছে। এ খা‌তের ঋণ দেওয়ার জন্য গ্রাহ‌কের চা‌হিদা যাচাই-বাছাই ক‌রে ব্যাংক কত টাকা ঋণ দে‌বে এবং কিভা‌বে আদায় কর‌বে তা নির্ধারণ কর‌বে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এনআই

জনপ্রিয়

প্রথম মাসেই কৃষি ঋণ বিতরণ এক হাজার ৯৯১ কোটি টাকা

প্রকাশিত : ০৭:২৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এক হাজার ৯৯১ কোটি ২৭ লাখ টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতরণ করা হয়েছে শস্য খাতে। জুলাই মাসে শস্য উৎপাদনের জন্য বিতরণ করা হয়েছে ৮৭৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এরপরেই রয়েছে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদন খাতে ৪৭৯ কোটি টাকা। পুরো অর্থবছরে যত টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার মধ্যে প্রথম মাসে অর্জন হয়েছে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি অর্থবছর থেকে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে এর হার ছিলো ৩০ শতাংশ। ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করায় কৃষক হয়রানি বাড়ছে। পাশাপাশি বেশি সুদে ঋণ নেওয়া কৃষকও উপকৃত হচ্ছে না বলেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশের চলমান আর্থিক সংকটে কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ বছর বাড়ানো হয়েছে লক্ষ্যমাত্রাও। কোন ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণে ব্যর্থ হলে কৃষি ঋণের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জাম দেওয়ার বিষয়েও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছর ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ ঋণ মৎস খাতে দিতে হবে। প্রথম মাস শেষে এই খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ১৫ শতাংশ ঋণ দেওয়ার কথা প্রাণিসম্পদ খাতে। আলোচিত সময়ে পশুসম্পদ ও পল্ট্রি খাতে বিতরণ করা হয়েছে ৪৭৯ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ২৪ শতাংশ। এছাড়া প্রথম মাস শেষে দ্রারিদ্র বিমোচণে ১১২ কোটি, শস্য খাতে ৮৭৪ কোটি, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ১৯ কোটি, সেচ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৭ কোটি, শস্য গুদামজাত ও বিপণন খাতে ৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো।

কৃষি ও পল্লী ঋণের চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংক ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক এক হাজার ৪৭ কো‌টি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। প্রথম মাস শেষে রাষ্ট্রের অর্থে পরিচালিত ব্যাংকগুলো ৪৮০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে। এছাড়া বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৪৫ কোটি টাকা। সবমিলে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে এই ঋণের পরিমাণ ছিলো ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে রাষ্ট্রের অর্থে পরিচালিত বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। এই ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণ ২৩৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী ব্যাংক বিতরণ করেছে ২০৮ কোটি টাকা। ১৬১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি খাতের ঢাকা ব্যাংক। এছাড়া ওয়ান ব্যাংক ১১১ কোটি আর ডাচ্ বাংলা ব্যাংক বিতরণ করেছে ১০১ কোটি টাকার ঋণ। প্রথম মাসে ঋণ বিতরণে ব্যর্থ হয়েছে ১০টি ব্যাংক। এর মধ্যে ৬টি বিদেশি এবং ৪টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে।

বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে ৫২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ রয়েছে। এসব ঋণের মধ্যে ৪ হাজার ৪৪ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে পড়েছে, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম মাসে ব্যাংকগুলো ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকার ঋণ উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে। গতবছরের একই সময়ে উত্তোলনের পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ৪৫ কোটি টাকা।

এর আগে নতুন অর্থবছরে (২০২৩-২৪) কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩২ হাজার ৮২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংক। কিন্তু ওই বছর পুরো ব্যাংক খাতের জন্য ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি। অর্থাৎ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের ব্যাংকগুলো। এক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ বিতরণ করলেও লক্ষ্যমাত্রায় অর্জনে ব্যথ হয়েছে ৮টি ব্যাংক।

‌বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ভবনের ছাদে বিভিন্ন কৃষি কাজ করা একটি নতুন ধারণা। বর্তমানে শহরাঞ্চলে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত বাড়ির ছাদে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ফুল, ফল ও শাক-সবজির যে বাগান গড়ে তোলা হয় তা ছাদবাগান হিসেবে পরিচিত। যাদের চাষের জন্য পর্যাপ্ত জমি নেই, কিন্তু নিজ হাতে কৃষি কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ছাদকৃষি একটি উত্তম বিকল্প ব্যবস্থা। শহরাঞ্চলে বাড়ির ছাদে বাগান সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবারের দৈনন্দিন খাদ্যের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। পাশাপাশি ছাদ কৃষি পরিবেশ রক্ষা ও বায়ুদূষণ প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এর প্রেক্ষিতে ছাদকৃষিতে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হ‌য়ে‌ছে। এ খা‌তের ঋণ দেওয়ার জন্য গ্রাহ‌কের চা‌হিদা যাচাই-বাছাই ক‌রে ব্যাংক কত টাকা ঋণ দে‌বে এবং কিভা‌বে আদায় কর‌বে তা নির্ধারণ কর‌বে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এনআই