০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

জনগণ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকেই বুঝি। জনগণ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিলে সেটিকেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলবো।

মঙ্গলবার সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন: আমার কাছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবে, নির্বিঘ্নে ভোট দেবে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে- এটিই তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে সবাই কাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলেন? যারা ভোট চোর, দুর্নীতিবাজ, মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত, তারা? যারা জাতির পিতার হত্যাকারী, যারা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত-তারা অংশ নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক আর তারা অংশ না নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না? তা তো হতে পারে না।

বিএনপির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন:তারা তো ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। এরপর থেকে তারা আর নির্বাচন করে না। তারা নির্বাচন সামনে এলেই মনোনয়ন বাণিজ্য করে। তারা প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেয়। কিছু টাকা-পয়সা লন্ডনে যায়, কিছু গুলশান অফিসে যায়। এই তো তাদের কাছে নির্বাচন। তারপর ভোটের দিন নিজেরাই মারামারি করে বলে, নির্বাচন করতে পারলাম না। তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।

তাই আমার কাছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবে- সেটাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এই যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেখানে কি জনগণ ভোট দেয়নি? অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এটাই- বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।

ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ চেয়েও পাওয়া বিরোধীদল গুলোর এমন প্রচারণার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা কিন্তু ঠিক না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা আমাদের যে মর্যাদাটা তুলে ধরেছি, তাতে করে আমাদের সে সুযোগটা আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: এটা বিএনপি বলতে পারে কারণ তাদের আমলে ওটাই ছিলো। বাংলাদেশের কোন অবস্থানই ছিলো না বিশ্বে। বাংলাদেশ মানেই ছিলো দুর্বিক্ষের দেশ, ঝড়ের দেশ, বন্যার দেশ, হাত পেতে চলার দেশ, ভিক্ষা চাওয়ার দেশ। এখন অন্তত বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার দেশ না এটা সবাই জানে।

এর আগে, বিশ্ব অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ দেশের জোট ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন শেখ হাসিনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভা জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে যোগ দেন।

২৩ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ব্রিকসের বর্তমান চেয়ারম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত ‘রাষ্ট্রীয় ভোজ’ এ যোগ দেন শেখ হাসিনা।

পরদিন ‘ব্রিকস-ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডার্স ডায়লগ (ব্রিকস- আফ্রিকা আউটরিচ অ্যান্ড দ্য ব্রিকস প্লাস ডায়লগ) এ ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ব্রিকস’র সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তৃতা দেন শেখ হাসিনা।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে রোববার সকালে ঢাকায় ফেরেন শেখ হাসিনা।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

জনগণ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৭:১০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকেই বুঝি। জনগণ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিলে সেটিকেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলবো।

মঙ্গলবার সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন: আমার কাছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবে, নির্বিঘ্নে ভোট দেবে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে- এটিই তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে সবাই কাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলেন? যারা ভোট চোর, দুর্নীতিবাজ, মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত, তারা? যারা জাতির পিতার হত্যাকারী, যারা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত-তারা অংশ নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক আর তারা অংশ না নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না? তা তো হতে পারে না।

বিএনপির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন:তারা তো ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। এরপর থেকে তারা আর নির্বাচন করে না। তারা নির্বাচন সামনে এলেই মনোনয়ন বাণিজ্য করে। তারা প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেয়। কিছু টাকা-পয়সা লন্ডনে যায়, কিছু গুলশান অফিসে যায়। এই তো তাদের কাছে নির্বাচন। তারপর ভোটের দিন নিজেরাই মারামারি করে বলে, নির্বাচন করতে পারলাম না। তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।

তাই আমার কাছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবে- সেটাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এই যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেখানে কি জনগণ ভোট দেয়নি? অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এটাই- বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।

ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ চেয়েও পাওয়া বিরোধীদল গুলোর এমন প্রচারণার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা কিন্তু ঠিক না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা আমাদের যে মর্যাদাটা তুলে ধরেছি, তাতে করে আমাদের সে সুযোগটা আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: এটা বিএনপি বলতে পারে কারণ তাদের আমলে ওটাই ছিলো। বাংলাদেশের কোন অবস্থানই ছিলো না বিশ্বে। বাংলাদেশ মানেই ছিলো দুর্বিক্ষের দেশ, ঝড়ের দেশ, বন্যার দেশ, হাত পেতে চলার দেশ, ভিক্ষা চাওয়ার দেশ। এখন অন্তত বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার দেশ না এটা সবাই জানে।

এর আগে, বিশ্ব অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ দেশের জোট ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন শেখ হাসিনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভা জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে যোগ দেন।

২৩ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ব্রিকসের বর্তমান চেয়ারম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত ‘রাষ্ট্রীয় ভোজ’ এ যোগ দেন শেখ হাসিনা।

পরদিন ‘ব্রিকস-ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডার্স ডায়লগ (ব্রিকস- আফ্রিকা আউটরিচ অ্যান্ড দ্য ব্রিকস প্লাস ডায়লগ) এ ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ব্রিকস’র সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তৃতা দেন শেখ হাসিনা।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে রোববার সকালে ঢাকায় ফেরেন শেখ হাসিনা।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ