টাঙ্গাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিদেশিরা কখনও আমাদের চাপ দেয় না। চাপ দেয়ার তাদের কোন রাইটও নাই। কারন আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। নির্বাচন কমিশন আবার স্বাধীন সার্বভৌম দেশের সাংবিধানিক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।
তিনে বলেন, তারা আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি, আইন কানুন ও কারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন, কিভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা আইন কানুনে কি কি সংশোধন এনেছি সে সমস্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। সম্ভবত কোন মাধ্যমে তারা বুঝতে চেষ্টা করেন এর মাধ্যমে সুষ্ঠ সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না। তারা আমাদের কখনোই কোন সাজেশন দেন না, আপনারা এটা না করে এটা করেন বা এটা করলে ভাল হবে। বরং নির্বাচন কমিশনই অন্য সবাইকে চাপ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। যাতে সুন্দর, সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ন, অবাধ নির্বাচন হয়। বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মত বিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এই মুহুর্তে বিএনপির নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের যে পর্যন্ত সুযোগ ছিলো, সেই পর্যন্ত আমরা তাদের বলেছি। আইন অনুযায়ী এই মুহুর্তে কোন সুযোগ নেই। তারপরেও কেউ যদি অংশ গ্রহণ করতে চান, আমাদের পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখতে হবে। আমরা যা কিছুই করিনা কেন, সংবিধানের আলোকে করতে হবে।
কমিশনার আরো বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে এখনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে অতীতের জাতীয় নির্বাচন গুলোতে যেহেতু সেনাবাহিনী ছিলো। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতাযেন করা হবে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার জন্য অনেকেই বলেছেন। তবে যার হাতে অস্ত্র থাকে তার হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয় না। আর বিচারিক ক্ষমতা যার হাতে দেয়া হয়, তার হাতে অস্ত্র দেয়া হয় না।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে নির্বাচন পর্যবেক্ষন করার জন্য কানাডিয়ান, নেপালি, বৃটিশ, অস্ট্রেলিয়া, জাপানিসহ বিভিন্ন দেশের ৮৩ জন পর্যবেক্ষক আবেদন করেছেন। এছাড়াও ৪৬ জন বিদেশি সাংবাদিক আবেদন করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিয়ূর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শামীম আরা রিনিসহ বিজিবি, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/একে





















