চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সম্প্রতি আইন ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিলসহ উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ২য় দিনের মত অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে চবি শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলে এ কর্মসূচি
অবস্থান কর্মসূচিতে হলুদ দলের স্টানডিং কমিটির সদস্য ড. আলি আজগার চৌধুরী বলেন, আমাদের ভিসি ও প্রো-ভিসি আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী দাবি করেন। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড কেমন আপনারা তা লক্ষ্য করছেন। আজ প্রথম আলোর সম্পাদকীয়তে আইন ও বাংলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ ও মেরিন সায়েন্সর ভবনের উদ্বোধনের খরচের বিষয়ে তদন্তের দাবি উত্থান করা হয়েছে ।
তিনি আরও বলেন, তাদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে প্রশ্ন করা হচ্ছে । তারা বলছেন এসব খরচের টাকা উপর মহলেও নাকি দিতে হয়ে ৷ সরকার ও শিক্ষামন্ত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এনাদের আশু পদত্যাগ করা উচিৎ।
কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না কিন্তু আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করি। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না কেন এখানকার ছাত্ররা চুপ করে আছে? কেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধঃপতনে রুখে দাড়াচ্ছে না? তারা কী বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করে না? আজ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কমে যায় তাহলে আপনাদেরও মান কমে যাবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অনিয়মের কারণে প্রধানমন্ত্রীর অর্জন ক্ষুন্ন হচ্ছে। আপনি ক্ষমতায় দম্ভ দেখাবেন না প্রধানমন্ত্রী অনেক এমপি মেয়রকে হিরো থেকে জিরো বানিয়েছেন। সুতরাং সংশোধন হয়ে যান।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের বিভাগের সভাপতি রবিউল হক বলেন, কয়েক বছর আগেও সারা বাংলাদেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কে যেভাবে দেখা হত এখন তা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। আজ আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতি প্রশাসনের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুস্থ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ চাই । আমরা এ চাওয়া পূরণে আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।
চবি শিক্ষক মাহবুব রহমান বলেন, বিজয়ের মাসে এমন একটি প্রোগ্রাম অংশগ্রহণ করতে হবে তা আমরা কল্পনাও করিনি। আপনারা জানেন কি কারণে আজ আমরা এখানে দাড়িয়েছে৷ গত কয়েক বছরের দেশের শীর্ষ পর্যায়ের গণমাধ্যমে বারবার শিরোনাম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ ও পদোন্নয়ন আটকে রাখার কারণে। অনেক ফোন রেকোর্ড ফাস হয়েছে। এসব কী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে না।
তিনি আরও বলেন, একজন পিএইচডি শিক্ষককে দেড় বছর বসিয়ে রাখবেন কেন? একজন শিক্ষক কে সহকারী শিক্ষক হওয়া থেকে আটকে রাখবেন অথচ বিভাগের প্রয়োজন ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগ দিবেন। এমন দ্বিচারিতা কেন করেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

























