নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন বেত্যয় হবেনা। ভালো নির্বাচন না হলে দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। তাই সকলের প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠ নিবার্চন। জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নিবার্চন ছাড়া কোন বিকল্প নেই ।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন।
এসময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে , কে কোন পদে সেটা বড় কথা নয় ।কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নিবার্চনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা কোন দলের কর্মচারী না। সংবিধানর ১২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে, নিবার্হী বিভাগের দায়িত্ব নিবার্চন কমিশনকে সহায়তা দেওয়া। নিবার্চন কমিশনার প্রয়াজন অনুযায়ী যে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কান দায়িত্বে পাঠাতে পারবেন।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপারের যে অংশটুকু ভোটারকে দেওয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলা নিবার্চনী বিধিমালায় নতুন সংযাজন করা হয়েছে।
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নিবার্চনী আইন আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ও ইউনিয়নে ১ টি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্হানীয় রিটানিং কর্মকতার অপসারণ করত হবে। তাছাড়া প্রচারণার সময়সীমা রাত ৮ টা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চালায় তাহলে ব্যবস্হা নিতে হবে। নিবার্চন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোন রকম ছাড় দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মটর সাইকেল দিয়েও কোন প্রচারণা চালানো যাবেনা। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজ পরীক্ষা করতে হবে যেগুলোর কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু মটর সাইকেল নয়, কোন রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না। এগুলো যদি চোখে পড়ে তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট যারা রয়েছে তাদের কাছে অভিযোগ দিবেন।
প্রেসব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্তিত ছিলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি