১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

পাবনা-১ আসনের সাঁথিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা, আহত ১০

পাবনা-১ আসনের সাঁথিয়ায় ট্রাক মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রচারণা মিছিলে আবারো হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলালসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পর সাঁথিয়া বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ও সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁথিয়া পৌর শহরের থানার সামনে দিয়ে ট্রাক মার্কার প্রচারণা মিছিল নিয়ে বাইপাস সড়কে পেছন থেকে সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুব আলম বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন ও সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল খান সানার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা মিছিলে ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে ইটের আঘাতে ও লাঠির বাড়িতে আব্দুর রশিদ দুলালের মাথা ফেটে যায়। অতর্কিত আক্রমনে আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন বাড়িতে প্রানভয়ে আশ্রয় নেয়। ঘটনার পর তারা নিজেরাই সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে ভাংচুর করেছে। আমরা আশংকা করছি তারা এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ভোটের মাঠ থেকে সরানোর চেষ্টা করছে। বিষয়টি আমরা রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি।

আহত আব্দুর রশিদ দুলাল বলেন, আওয়ামীলীগ অফিসের সামনেই সাঁথিয়া থানা। পুলিশের সামনে সকল ঘটনা ঘটেছে। সিসি ক্যামেরা ও পুলিশের ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ হয়েছে। আশা করি তারা প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করবেন। নির্বাচন উন্মুক্ত, পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও নৌকার প্রার্থী মানছেন না। এ ঘটনায় সাব্বির, মনোয়ার, সজলসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন বলেন, নির্বাচনী প্রচাণা দেখে নৌকা প্রার্থীর মাথা নষ্ট হয়ে গেছে, তিনি জ্ঞানহীন হয়ে তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় পাল্টা আক্রমন করছি না। বার বার অনুরোধ করছি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার জন্য। প্রশাসন এক পাক্ষিক অবস্থানে থাকায় এ ধরনের কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে তারা। এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায়না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আমি নির্বাচন কমিশনকে আহবান জানাবো, তারা যেনো ভোটের শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। নয়তো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য তারা দায়ী থাকবেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে, আওয়ামীলীগ প্রার্থী শামসুল হক টুকু এমপির বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসে বসেছিলাম। এ সময় সাঈদের সমর্থকরা মিছিল আমাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারে। তখন আমরা দৌঁড়ে আওয়ামী লীগের অফিসে যাই। এ সময় সাঈদের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় আমাদেরও ৩-৪ জন আহত হয়েছে।’

উত্তেজনার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, কিছু অতি উৎসাহী লোকজন নির্বাচনী মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ট্রাক সমর্থকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এখানে হামলার মতো তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে পরিবেশ এখন একদম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

ট্যাগ :

পাবনা-১ আসনের সাঁথিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা, আহত ১০

প্রকাশিত : ০৯:২৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

পাবনা-১ আসনের সাঁথিয়ায় ট্রাক মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রচারণা মিছিলে আবারো হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলালসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পর সাঁথিয়া বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট ও সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁথিয়া পৌর শহরের থানার সামনে দিয়ে ট্রাক মার্কার প্রচারণা মিছিল নিয়ে বাইপাস সড়কে পেছন থেকে সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুব আলম বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন ও সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল খান সানার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা মিছিলে ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে ইটের আঘাতে ও লাঠির বাড়িতে আব্দুর রশিদ দুলালের মাথা ফেটে যায়। অতর্কিত আক্রমনে আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন বাড়িতে প্রানভয়ে আশ্রয় নেয়। ঘটনার পর তারা নিজেরাই সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে ভাংচুর করেছে। আমরা আশংকা করছি তারা এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ভোটের মাঠ থেকে সরানোর চেষ্টা করছে। বিষয়টি আমরা রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি।

আহত আব্দুর রশিদ দুলাল বলেন, আওয়ামীলীগ অফিসের সামনেই সাঁথিয়া থানা। পুলিশের সামনে সকল ঘটনা ঘটেছে। সিসি ক্যামেরা ও পুলিশের ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ হয়েছে। আশা করি তারা প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করবেন। নির্বাচন উন্মুক্ত, পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও নৌকার প্রার্থী মানছেন না। এ ঘটনায় সাব্বির, মনোয়ার, সজলসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন বলেন, নির্বাচনী প্রচাণা দেখে নৌকা প্রার্থীর মাথা নষ্ট হয়ে গেছে, তিনি জ্ঞানহীন হয়ে তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় পাল্টা আক্রমন করছি না। বার বার অনুরোধ করছি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করার জন্য। প্রশাসন এক পাক্ষিক অবস্থানে থাকায় এ ধরনের কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে তারা। এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায়না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আমি নির্বাচন কমিশনকে আহবান জানাবো, তারা যেনো ভোটের শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। নয়তো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য তারা দায়ী থাকবেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে, আওয়ামীলীগ প্রার্থী শামসুল হক টুকু এমপির বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসে বসেছিলাম। এ সময় সাঈদের সমর্থকরা মিছিল আমাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারে। তখন আমরা দৌঁড়ে আওয়ামী লীগের অফিসে যাই। এ সময় সাঈদের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় আমাদেরও ৩-৪ জন আহত হয়েছে।’

উত্তেজনার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, কিছু অতি উৎসাহী লোকজন নির্বাচনী মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ট্রাক সমর্থকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এখানে হামলার মতো তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে পরিবেশ এখন একদম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি