০২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারে সশস্ত্র পাহারায় চলছে পাহাড় কাটা

কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের পাহাড় কাটায় ব্যবহৃত এস্কেভেটর লুটের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে এস্কেভেটরটি গত ১৫ জানুয়ারি জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুসের জিন্মায় দিয়েছিল প্রশাসন। ১৬ জানুয়ারি সকালে তাকে মারধর করে লুট করা হয় সেই এস্কেভেটর। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস বাদী হয়েছে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, এজাহারে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দায়ের করাটি মামলাটি সংশ্লিষ্ট আইনে নথিভূক্ত হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার বাদী মোহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, গত ১৫ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কলাতলীর বাইপাস এলাকার বিকাশ বিল্ডিং থেকে একটি এস্কেভেটর জব্দ করে তাকে জিম্মায় দেয়। পরের দিন সকালে তাকে মারধর এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে প্রশাসনের জব্দ করা এস্কেভেটর ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল অস্ত্রধারী। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে তিনি সহযোগিতা চান। কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই তারা এস্কেভেটর নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে ইউএনও-এসিল্যান্ডকে অবগত করে মামলাটি দায়ের করেন।

দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর মৃত জাফর আলমের ছেলে নুরুল আমিন ও নুরুল আলম ভুট্টো, লিংক রোড়ের নুরুল আমিন মুন্না, লাইট হাউজ এলাকার মো. মনির, মোহাম্মদ শাকিল ও মোহাম্মদ আলম।

এদিকে, গত ১৫ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে লাইট হাউজ এলাকায় সীলগালা করে দেয়ার পর তা ভেঙ্গে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির পাশা পল্লব। এলাকাবাসি জানিয়েছে যেখানে এখন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাহারায় রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা জানিয়েছেন, কোনভাবে পাহাড় কাটতে দেয়া হবে না। একবার অভিযানের পর তা অমান্য করে আবারও পাহাড় কাটার খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে মামলা হচ্ছে। আবারও অভিযান হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মহানগর নাট্যোৎসব স্থগিতের আসল কারণ জানালেন ফারুকী

কক্সবাজারে সশস্ত্র পাহারায় চলছে পাহাড় কাটা

প্রকাশিত : ০৭:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানের পাহাড় কাটায় ব্যবহৃত এস্কেভেটর লুটের ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে এস্কেভেটরটি গত ১৫ জানুয়ারি জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুসের জিন্মায় দিয়েছিল প্রশাসন। ১৬ জানুয়ারি সকালে তাকে মারধর করে লুট করা হয় সেই এস্কেভেটর। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস বাদী হয়েছে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, এজাহারে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে দায়ের করাটি মামলাটি সংশ্লিষ্ট আইনে নথিভূক্ত হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার বাদী মোহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, গত ১৫ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কলাতলীর বাইপাস এলাকার বিকাশ বিল্ডিং থেকে একটি এস্কেভেটর জব্দ করে তাকে জিম্মায় দেয়। পরের দিন সকালে তাকে মারধর এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে প্রশাসনের জব্দ করা এস্কেভেটর ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল অস্ত্রধারী। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে তিনি সহযোগিতা চান। কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই তারা এস্কেভেটর নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পর তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে ইউএনও-এসিল্যান্ডকে অবগত করে মামলাটি দায়ের করেন।

দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর মৃত জাফর আলমের ছেলে নুরুল আমিন ও নুরুল আলম ভুট্টো, লিংক রোড়ের নুরুল আমিন মুন্না, লাইট হাউজ এলাকার মো. মনির, মোহাম্মদ শাকিল ও মোহাম্মদ আলম।

এদিকে, গত ১৫ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে লাইট হাউজ এলাকায় সীলগালা করে দেয়ার পর তা ভেঙ্গে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির পাশা পল্লব। এলাকাবাসি জানিয়েছে যেখানে এখন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাহারায় রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা জানিয়েছেন, কোনভাবে পাহাড় কাটতে দেয়া হবে না। একবার অভিযানের পর তা অমান্য করে আবারও পাহাড় কাটার খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে মামলা হচ্ছে। আবারও অভিযান হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ