০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী রেলকে নাজুক থেকে টেনে এনেছেন: রেলমন্ত্রী জিল্লুল

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আপাতত একটি ট্রেন চলাচল করবে। ইঞ্জিন ও কোচ সঙ্কটের কারণে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। বেশকিছু ইঞ্জিন ও কোচ আমদানী হয়েছে আস্তে আস্তে সেগুলো যাত্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহার হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন কালুরঘাট সেতুর সমীক্ষা শেষ হয়েছে। কোরিয়ান কোম্পানী এই সেতুর কাজ করবে। নতুন সেতুর কাজ শুরু করতে ৪/৫ বছর সময় লাগবে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে রেলমন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে তিনি রেলের দুদিন ব্যাপী ৪৩তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রেলের একমাত্র স্টেডিয়াম তথা পলোগ্রাউন্ড মাঠে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় কালে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আমাকে এই মুহুর্তে আপনারা কোন প্রজেক্টের প্রশ্ন না করলেই ভাল। আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি। কোন প্রকল্প কবে চালু হবে বা কি পর্যায়ে আছে এসব ব্যাপারে কথা বলতে হলে আমাকে অন্যদের সাহায্য নিতে হবে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেল এক সময় বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী রেলকে আবার আলোর মুখ দেখিয়েছেন। গোল্ডোন হ্যান্ডশেক দিয়ে অনেক অভিজ্ঞ লোক চলে গেছে। রেল লাইন তুলে রেল বন্ধেরও চেষ্টা করা হয়েছে। একপর্যায়ে আমাদের ফরিদপুরের রেল লাইন তোলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। রাজবাড়ীতে থাকা লোকোশেড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই সময়ে। ওই সময়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকে যাওয়া স্কিল্ড লোক গুলোকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

রেলমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় প্রত্যেক জেলাতে রেললাইন বসানোর পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য রেলের মাধ্যমে পরিবহনের ব্যবস্থা করাও আমাদের লক্ষ্য। রেল পরিচালনার জন্য নতুন লোক নিয়োগ করতে হবে, তাদেরকে ট্রেন্ড কওে তুলতে হবে। লেবার দিয়ে ইঞ্জিন চালানো যাবে না। রেল পরিচালনায় দক্ষ লোকের প্রয়োজন। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যহত আছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু করা প্রসঙ্গে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহদাত আলী সাংবাদিকদের জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চালুর জন্য আমরা চারটি সময় ঠিক করেছি। ইঞ্জিন সঙ্কট যদি সমাধান করা যায় তাহলে আমরা ট্রেন চালু করতে পারবো। ইতোমধ্যে ড্রাইভারদেরকে পদোন্নতী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারা বাংলাদেশের তেলের গাড়ীগুলো সব চট্টগ্রাম থেকেই যায়। মালগাড়ীসহ সব কন্টেইনার সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে। সব কন্টেইনার ট্রেন বন্ধ করে কক্সবাজারের ট্রেন চালু করা যাবে না।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কমিউটার ট্রেন বা যেভাবেই হোক একবার শুরু হোক। আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে রাজি আছি। প্রধপানমন্ত্রী পঙ্গু অবস্থা থেকে রেলকে এ পজিশনে তুলে এনেছেন। রেলে প্রায় ৫ হাজার নিয়োগের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এসময় রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহদাত আলী ও রেলের পূর্বাঞ্চলীয় জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া, রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সহ অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

প্রধানমন্ত্রী রেলকে নাজুক থেকে টেনে এনেছেন: রেলমন্ত্রী জিল্লুল

প্রকাশিত : ০৭:১০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আপাতত একটি ট্রেন চলাচল করবে। ইঞ্জিন ও কোচ সঙ্কটের কারণে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। বেশকিছু ইঞ্জিন ও কোচ আমদানী হয়েছে আস্তে আস্তে সেগুলো যাত্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহার হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন কালুরঘাট সেতুর সমীক্ষা শেষ হয়েছে। কোরিয়ান কোম্পানী এই সেতুর কাজ করবে। নতুন সেতুর কাজ শুরু করতে ৪/৫ বছর সময় লাগবে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে রেলমন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে তিনি রেলের দুদিন ব্যাপী ৪৩তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রেলের একমাত্র স্টেডিয়াম তথা পলোগ্রাউন্ড মাঠে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় কালে রেলমন্ত্রী আরো বলেন, আমাকে এই মুহুর্তে আপনারা কোন প্রজেক্টের প্রশ্ন না করলেই ভাল। আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি। কোন প্রকল্প কবে চালু হবে বা কি পর্যায়ে আছে এসব ব্যাপারে কথা বলতে হলে আমাকে অন্যদের সাহায্য নিতে হবে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেল এক সময় বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী রেলকে আবার আলোর মুখ দেখিয়েছেন। গোল্ডোন হ্যান্ডশেক দিয়ে অনেক অভিজ্ঞ লোক চলে গেছে। রেল লাইন তুলে রেল বন্ধেরও চেষ্টা করা হয়েছে। একপর্যায়ে আমাদের ফরিদপুরের রেল লাইন তোলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। রাজবাড়ীতে থাকা লোকোশেড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই সময়ে। ওই সময়ে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকে যাওয়া স্কিল্ড লোক গুলোকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

রেলমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় প্রত্যেক জেলাতে রেললাইন বসানোর পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য রেলের মাধ্যমে পরিবহনের ব্যবস্থা করাও আমাদের লক্ষ্য। রেল পরিচালনার জন্য নতুন লোক নিয়োগ করতে হবে, তাদেরকে ট্রেন্ড কওে তুলতে হবে। লেবার দিয়ে ইঞ্জিন চালানো যাবে না। রেল পরিচালনায় দক্ষ লোকের প্রয়োজন। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যহত আছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ট্রেন চালু করা প্রসঙ্গে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহদাত আলী সাংবাদিকদের জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চালুর জন্য আমরা চারটি সময় ঠিক করেছি। ইঞ্জিন সঙ্কট যদি সমাধান করা যায় তাহলে আমরা ট্রেন চালু করতে পারবো। ইতোমধ্যে ড্রাইভারদেরকে পদোন্নতী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারা বাংলাদেশের তেলের গাড়ীগুলো সব চট্টগ্রাম থেকেই যায়। মালগাড়ীসহ সব কন্টেইনার সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে। সব কন্টেইনার ট্রেন বন্ধ করে কক্সবাজারের ট্রেন চালু করা যাবে না।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কমিউটার ট্রেন বা যেভাবেই হোক একবার শুরু হোক। আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে রাজি আছি। প্রধপানমন্ত্রী পঙ্গু অবস্থা থেকে রেলকে এ পজিশনে তুলে এনেছেন। রেলে প্রায় ৫ হাজার নিয়োগের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

এসময় রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহদাত আলী ও রেলের পূর্বাঞ্চলীয় জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া, রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সহ অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএইচটি