১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

কর্মদক্ষতায় ওয়াসার দায়িত্বে বহাল তাসকিন এ খান

  • ফারুখ হোসেন
  • প্রকাশিত : ০৪:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 102

যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতায় একাধিকবার ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন তাসকিন এ খান। সম্প্রতি তাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বারবার তাকসিম এ খানের পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কারণ তিনি ওই পদের জন্য যোগ্য ও কর্মদক্ষ সম্পন্ন একজন ব্যক্তি।

তাজুল ইসলাম বলেন, যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা সে কতটা ভালোভাবে পালন করতে পেরেছে, কতটা অবদান রাখতে পেরেছে, এটা হল গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে একজন কর্মকর্তা ২০/৩০/৪০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ওয়াসার এমডি বারবার কেন দায়িত্ব পেয়েছেন? কারণ তিনি যোগ্যতা ও সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে তিনি বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন।

২০০৯ সালে তাকসিমকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তারপর থেকেই গ্রাহকের সেবাসহ বিভিন্ন সফল্য অর্জনে কয়েক মেয়াদে তিনি ওই পদে বহাল ছিলেন। এবং প্রতিবারই তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর ঢাকা ওয়াসা ও গ্রাহক সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। এবার সপ্তম দফায় আবারও তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রাখা হয়েছে। নানা ধরনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ওয়াসাকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তাকসিম এ খান।

ঢাকায় একসময় পানির জন্য কলসি মিছিল হয়েছে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে। পানির মানও ছিল খুব খারাপ। তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর সেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সে সময় পানি খাওয়া তো দূরের কথা, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারও করা যেত না। এ রকম নানা চ্যালেঞ্জ, অনেক প্রতিক‚লতার মধ্যেও সফলভাবে দায়িত্বপালন করে আসছেন।

তাকসিম এ খান বলেন, আমরা কেন শেয়ার মার্কেটে যাব না? ঢাকা ওয়াসা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করতে পারি। এই চিন্তা করার জন্য দায়িত্ব দিলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে। এই আমলেই আপনারা পারেন ঢাকা ওয়াসাসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্টক মার্কেটে নিয়ে গিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে।

তিনি বলেন, আমরা ঢাকা ওয়াসাকে ইতোমধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। লাভজনক প্রতিষ্ঠান মানে এই না যে আমাদের উদ্বৃত্ত লাভ। লাভজনক প্রতিষ্ঠান মানে আমরা একটি ব্রেক ইভেন্ট পয়েন্টে, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের কোনো ভর্তুকি ছাড়া এগিয়ে যাওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা চেষ্টা করব ঢাকা ওয়াসাকে কোনো রকমের ভর্তুকি ছাড়া প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায়। তাই আমরা কেন শেয়ার মার্কেটে যাব না?

তিনি আরও বলেন, ঢাকা ওয়াসার যেসব অসম্পূর্ণ কাজ রয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেসব কাজ আমরা শেষ করব। মাইক্রোম্যানেজমেন্টে আমরা অনেক কিছু করে ফেলেছি আলহামদুলিল্লাহ। এবার যেসব কাজ আমাদের অসম্পূর্ণ রয়েছে, সেগুলো আমরা দ্রুত করতে চাই। আমাদের যে ঢাকা ওয়াসা অ্যাক্ট ১৯৯৬ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা আমাদের লক্ষ্য। আর এই পথে আমরা ইতোমধ্যে অনেকদূর এগিয়েছি। ঢাকা ওয়াসার অর্গানোগ্রাম পরিবর্তনে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। ঢাকা ওয়াসাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।

এমডি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহ‌যো‌গিতা ও সা‌র্বিক দিকনির্দেশনায় আমরা আজ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট ওয়াসার দি‌কে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসাকেও আমরা স্মার্ট ওয়াসার দিকে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও গত পাঁচ বছর ধ‌রে আমা‌দের দিক‌নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি আমা‌দের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এই পাঁচ বছরে আমরা অনেক দূর এগি‌য়ে‌ছি। এ‌টি যদি আরও ১০ বছর আগে হ‌ত, তাহলে আমরা আরও অনেক এগিয়ে যে‌তে পারতাম।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

কর্মদক্ষতায় ওয়াসার দায়িত্বে বহাল তাসকিন এ খান

প্রকাশিত : ০৪:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতায় একাধিকবার ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন তাসকিন এ খান। সম্প্রতি তাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বারবার তাকসিম এ খানের পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কারণ তিনি ওই পদের জন্য যোগ্য ও কর্মদক্ষ সম্পন্ন একজন ব্যক্তি।

তাজুল ইসলাম বলেন, যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা সে কতটা ভালোভাবে পালন করতে পেরেছে, কতটা অবদান রাখতে পেরেছে, এটা হল গুরুত্বপূর্ণ। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে একজন কর্মকর্তা ২০/৩০/৪০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ওয়াসার এমডি বারবার কেন দায়িত্ব পেয়েছেন? কারণ তিনি যোগ্যতা ও সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার কারণে তিনি বারবার দায়িত্ব পেয়েছেন।

২০০৯ সালে তাকসিমকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তারপর থেকেই গ্রাহকের সেবাসহ বিভিন্ন সফল্য অর্জনে কয়েক মেয়াদে তিনি ওই পদে বহাল ছিলেন। এবং প্রতিবারই তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর ঢাকা ওয়াসা ও গ্রাহক সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। এবার সপ্তম দফায় আবারও তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে রাখা হয়েছে। নানা ধরনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ওয়াসাকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তাকসিম এ খান।

ঢাকায় একসময় পানির জন্য কলসি মিছিল হয়েছে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে। পানির মানও ছিল খুব খারাপ। তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর সেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সে সময় পানি খাওয়া তো দূরের কথা, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারও করা যেত না। এ রকম নানা চ্যালেঞ্জ, অনেক প্রতিক‚লতার মধ্যেও সফলভাবে দায়িত্বপালন করে আসছেন।

তাকসিম এ খান বলেন, আমরা কেন শেয়ার মার্কেটে যাব না? ঢাকা ওয়াসা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করতে পারি। এই চিন্তা করার জন্য দায়িত্ব দিলাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে। এই আমলেই আপনারা পারেন ঢাকা ওয়াসাসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্টক মার্কেটে নিয়ে গিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে।

তিনি বলেন, আমরা ঢাকা ওয়াসাকে ইতোমধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। লাভজনক প্রতিষ্ঠান মানে এই না যে আমাদের উদ্বৃত্ত লাভ। লাভজনক প্রতিষ্ঠান মানে আমরা একটি ব্রেক ইভেন্ট পয়েন্টে, সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের কোনো ভর্তুকি ছাড়া এগিয়ে যাওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা চেষ্টা করব ঢাকা ওয়াসাকে কোনো রকমের ভর্তুকি ছাড়া প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায়। তাই আমরা কেন শেয়ার মার্কেটে যাব না?

তিনি আরও বলেন, ঢাকা ওয়াসার যেসব অসম্পূর্ণ কাজ রয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেসব কাজ আমরা শেষ করব। মাইক্রোম্যানেজমেন্টে আমরা অনেক কিছু করে ফেলেছি আলহামদুলিল্লাহ। এবার যেসব কাজ আমাদের অসম্পূর্ণ রয়েছে, সেগুলো আমরা দ্রুত করতে চাই। আমাদের যে ঢাকা ওয়াসা অ্যাক্ট ১৯৯৬ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা আমাদের লক্ষ্য। আর এই পথে আমরা ইতোমধ্যে অনেকদূর এগিয়েছি। ঢাকা ওয়াসার অর্গানোগ্রাম পরিবর্তনে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। ঢাকা ওয়াসাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।

এমডি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহ‌যো‌গিতা ও সা‌র্বিক দিকনির্দেশনায় আমরা আজ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট ওয়াসার দি‌কে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসাকেও আমরা স্মার্ট ওয়াসার দিকে নিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও গত পাঁচ বছর ধ‌রে আমা‌দের দিক‌নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি আমা‌দের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এই পাঁচ বছরে আমরা অনেক দূর এগি‌য়ে‌ছি। এ‌টি যদি আরও ১০ বছর আগে হ‌ত, তাহলে আমরা আরও অনেক এগিয়ে যে‌তে পারতাম।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে