রংপুরে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি আর বাতাসে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হওয়া খবর পাওয়া গেছে।অসময়ে রংপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি প্রচন্ড বাতাস বইছে। বুধবার রাত থেকে শুরু হয়ে চলছে দিনভর বৃষ্টি।তবে ভারি বেশি বৃষ্টি না হলেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে কাবু নগরবাসি।ঠান্ডা বাতাসে শীত যেন আবার দেখা দিয়েছে উত্তরাঞ্চলে।
তবে এ্ব বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে নগরবাসীর।ধুলোবালি থেকে কিছু দিনের জন্য মুক্ত নগরবাসি। সেই সাথে দীর্ঘদিন পর এ বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে প্রকৃতিতে। আবার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে বৃষ্টির কারণে।এই সময় অনেক জমিতে এখনও আলু আর পেয়াজ,রসুন কৃষকরা ঘরে উঠাতে পারেনি।আবার পানি জমে গেলে নষ্ট হতে পারে সবজি দাবি চাষিদের।
রংপুরের আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, বুধবার রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।এরকম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ২১ মার্চ বৃহস্পাতিবার থাকবে বলে জানান আবহাওয়া অফিস।
তথ্য অনুযায়ী রংপুর জেলার ৮ উপজেলার উপর দিয়ে হালকা বাতাস ও বৃষ্টি হয়েছে। এত করে অনেক স্থানে বাতাস ফলে কাচাঘরবাড়ির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।অনেক গ্রামের কাচা বাড়ি ঘরে চালা মাঠেতে পড়তে দেখা গেছে।রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা,পীরগঞ্জ,তারাগঞ্জ,বদরগঞ্জ,পীরগাছা ও গংগাচড়ায় বৃষ্টি আর বাতাসে ফসলের কিছু ক্ষতি হওয়া কথা বলছেন স্থানীয়রা।তবে একদিনের বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানান আবহা্ওয়া অফিস।
রংপুর নগরীতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতেই শিক্ষার্থীসহ শ্রমজীবি মানুষ ছুটতে দেখা গেছে। বৃষ্টিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে অনেক শিশু ও অভিভাবকরা। যদিও সাময়িক সমস্যা তৈরী করেছে, তারপরও এই বৃষ্টিকে স্বস্তিদায়ক বলছে নগরবাসী।
অন্যদিকে হঠাৎ বৃষ্টির কারনে বিপাকে পরেছে কর্মজীবি মানুষরা।অনেকেই কাজ করতে পারেননি।কাজ থাকলেও বৃষ্টির কারনে অনেকে কাজে নেননি। আবার অনেককে বৃষ্টির মধ্যেই মাথায় পলিথিন বেধে কাজ করতে দেখা গেছে।নগরীতে অন্যান্য দিনের মতো আজকে তেমন মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি।যার ফলে দোকানপাটে বিক্রি কম ছিল বললে দাবি ব্যবসায়ীদের।অন্যদিনের মতো সড়কেও তেমন যানজট দেখা যায়নি।
এ দিকে রংপুরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান,বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও ২১ মার্চের পর থেকে স্বাভাবিক হতে পারে আবহাওয়া।তবে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই বৃষ্টি হচ্ছে।