০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

লাউ চাষে সফল তিন সহোদর

আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জৈবিক কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনায় লাউ চাষ শুরু করেন তিন ভাই। লাউ চাষে রোগ বালাই কম ও ঝুঁকি না থাকায় তারা সফল। বিষ দিতে হয়নি বলে এ লাউ খেতেও খুব সুস্বাদু। তবে তিন ভাইয়ের সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী গ্রামের ফসলের মাঠ। আশপাশে বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত। মাঝখানে লাউ চাষ করেছেন ইউপি সদস্য পনির মিয়া এবং তাঁর দুই ভাই চাঁন মিয়া ও চিনি মিয়া। লাউ চাষে তিন ভাই সফলতা পেয়েছেন। তারা প্রায় দেড় বিঘা জমিতে মাচায় লাউ চাষ করেছেন। লাউ চাষি কৃষক তিন ভাই কঠোর পরিশ্রমী। শ্রমের সঙ্গে কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শের কারণে তারা সফল। লাউ চাষে ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার ব্যবহার করেছেন। তাদের সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। বীজ রোপণের দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। এর কিছুদিন পর গাছে লাউ শোভা পায়। ক্ষেত থেকে সেই লাউ সংগ্রহ করেন তিন ভাই। বিক্রির জন্য এগুলো নিয়ে যান বাজারে। আবার বাড়ি থেকেও পাইকাররা নিয়ে যান। এ পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক লাউ বিক্রি করেছেন। আরও একই পরিমান লাউ বিক্রি করা যাবে বলেও জানা যায়।

বড় ভাই চাঁন মিয়া (৫৫) বলেন, দেড় বিঘা জমিতে তিন ভাই মিলে উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ ক্ষেত করেছি। মাচায় ফলন আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হাজার খানেক লাউ বিক্রি করেছি। এছাড়াও আরও যে পরিমান লাউ আছে তাও ভালো টাকায় বিক্রি করা যাবে। মাঝে মধ্যে বাজারে লাউ নিয়ে গেলেও বেশির ভাগ সময় পাইকাররা বাড়ি থেকে এসেই লাউ কিনে নিয়ে যায়।

মেঝ ভাই ইউপি সদস্য পনির মিয়া (৪০) বলেন, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা তিন ভাই মিলে বিভিন্ন সবজির চাষ করি। এবার দেড় বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামীতেও এ লাউ চাষ করবো ইনশাআল্লাহ।

ছোট ভাই চিনি মিয়া (৩৫) বলেন, আমাদের তিন ভাইকে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন উপজেলা কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, তিন ভাই যৌথভাবে লাউ চাষে আগ্রহী হয়েছে এবং লাউ চাষ করছেন। আমরা সেখানে পরিবেশ বান্ধব কৌশলে নিরাপদ ফসলের প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিসের পক্ষে থেকে তাদেরকে একটি প্রদর্শনী দিয়েছি। সেখানে তাদেরকে উন্নত জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করাসহ তাদের বারমি কম্পোস্ট, ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার দেওয়া হয়েছে। এখন তিন ভাইয়ের চাষ করা লাউয়ের ভালো ফলন দেখে আশপাশের কৃষকরাও এই উচ্চ ফলনশীল সবজিটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ট্যাগ :

লাউ চাষে সফল তিন সহোদর

প্রকাশিত : ০৩:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জৈবিক কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনায় লাউ চাষ শুরু করেন তিন ভাই। লাউ চাষে রোগ বালাই কম ও ঝুঁকি না থাকায় তারা সফল। বিষ দিতে হয়নি বলে এ লাউ খেতেও খুব সুস্বাদু। তবে তিন ভাইয়ের সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী গ্রামের ফসলের মাঠ। আশপাশে বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত। মাঝখানে লাউ চাষ করেছেন ইউপি সদস্য পনির মিয়া এবং তাঁর দুই ভাই চাঁন মিয়া ও চিনি মিয়া। লাউ চাষে তিন ভাই সফলতা পেয়েছেন। তারা প্রায় দেড় বিঘা জমিতে মাচায় লাউ চাষ করেছেন। লাউ চাষি কৃষক তিন ভাই কঠোর পরিশ্রমী। শ্রমের সঙ্গে কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শের কারণে তারা সফল। লাউ চাষে ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার ব্যবহার করেছেন। তাদের সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও এখন লাউ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। বীজ রোপণের দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। এর কিছুদিন পর গাছে লাউ শোভা পায়। ক্ষেত থেকে সেই লাউ সংগ্রহ করেন তিন ভাই। বিক্রির জন্য এগুলো নিয়ে যান বাজারে। আবার বাড়ি থেকেও পাইকাররা নিয়ে যান। এ পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক লাউ বিক্রি করেছেন। আরও একই পরিমান লাউ বিক্রি করা যাবে বলেও জানা যায়।

বড় ভাই চাঁন মিয়া (৫৫) বলেন, দেড় বিঘা জমিতে তিন ভাই মিলে উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ ক্ষেত করেছি। মাচায় ফলন আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হাজার খানেক লাউ বিক্রি করেছি। এছাড়াও আরও যে পরিমান লাউ আছে তাও ভালো টাকায় বিক্রি করা যাবে। মাঝে মধ্যে বাজারে লাউ নিয়ে গেলেও বেশির ভাগ সময় পাইকাররা বাড়ি থেকে এসেই লাউ কিনে নিয়ে যায়।

মেঝ ভাই ইউপি সদস্য পনির মিয়া (৪০) বলেন, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা তিন ভাই মিলে বিভিন্ন সবজির চাষ করি। এবার দেড় বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামীতেও এ লাউ চাষ করবো ইনশাআল্লাহ।

ছোট ভাই চিনি মিয়া (৩৫) বলেন, আমাদের তিন ভাইকে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন উপজেলা কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, তিন ভাই যৌথভাবে লাউ চাষে আগ্রহী হয়েছে এবং লাউ চাষ করছেন। আমরা সেখানে পরিবেশ বান্ধব কৌশলে নিরাপদ ফসলের প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিসের পক্ষে থেকে তাদেরকে একটি প্রদর্শনী দিয়েছি। সেখানে তাদেরকে উন্নত জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করাসহ তাদের বারমি কম্পোস্ট, ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার দেওয়া হয়েছে। এখন তিন ভাইয়ের চাষ করা লাউয়ের ভালো ফলন দেখে আশপাশের কৃষকরাও এই উচ্চ ফলনশীল সবজিটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে