০২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

রেমাল চলে গেলেও পানিবন্দি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক

ছবি : সংগৃহীত

দেশের ওপর দিয়ে সদ্যই বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মূল আঘাতটা দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে আছড়ে পড়লেও তার প্রভাব টের পেয়েছে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চল। রোববার দিবাগত রাতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম ধাক্কার পর থেকেই সোমবার দিন-রাত টানা বৃষ্টি হয়েছে সারাদেশে। এদিন বিকেলের দিকে রাজধানীর ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঝড়ো হাওয়া, যার ফলে গাছপালা ভেঙে পড়ে কয়েকটি এলাকায়। এছাড়া টানা বর্ষণের ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয় বহু এলাকায়। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে চরম আকার ধারণ করে এ জলাবদ্ধতা।

রাজধানীর ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যাওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানায়, তাদের ৯১টি দল কাজ করছে জলাবদ্ধতা নিরসনে। সঙ্গে উত্তর সিটি করপোরেশন জানায়, তারা হটলাইনে কল পেয়ে পানি অপসারণ করেছে ৯৪টি স্থানে। অথচ, মঙ্গলবার সকালেও কাজের তাগিদে পথে বেরিয়ে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দারা। সোমবারের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে এখানকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট, অলি-গলি। পুরো মাতুয়াইল এলাকা এখনও পানির নিচে। পানিবন্দি হয়ে আছে যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশের একটি সড়কও। জলাবদ্ধতা কাটেনি পার্শ্ববর্তী জনতাবাগ, মদিনাবাগ, রায়েরবাগ এলাকার রাস্তাঘাটেও।

জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে রাজধানীর রামপুরা ও বাড্ডা এলাকাতেও। বৃষ্টি না থাকলেও বেগ পেতে হয়েছে অফিসগামী লোকজনকে। বিপাকে পড়ে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও। রিকশা না পেয়ে ময়লা পানি মাড়িয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে অনেককে।

মগবাজার, ইস্কাটন ও বেইলি রোড এলাকায় জলাবদ্ধতার চিত্র তেমন খারাপ না হলেও মালিবাগের বিভিন্ন সড়কে, বিশেষ করে মালিবাগ মোড় থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের সামনের সড়কে এখনও জমে থাকতে দেখা গেছে বৃষ্টির পানি।

এছাড়া মিরপুর সড়কে নুরজাহান মার্কেট ও ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের সামনের মূল সড়কে পানি জমে থাকলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS

রেমাল চলে গেলেও পানিবন্দি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক

প্রকাশিত : ০২:২০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

দেশের ওপর দিয়ে সদ্যই বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মূল আঘাতটা দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে আছড়ে পড়লেও তার প্রভাব টের পেয়েছে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চল। রোববার দিবাগত রাতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম ধাক্কার পর থেকেই সোমবার দিন-রাত টানা বৃষ্টি হয়েছে সারাদেশে। এদিন বিকেলের দিকে রাজধানীর ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঝড়ো হাওয়া, যার ফলে গাছপালা ভেঙে পড়ে কয়েকটি এলাকায়। এছাড়া টানা বর্ষণের ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয় বহু এলাকায়। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে চরম আকার ধারণ করে এ জলাবদ্ধতা।

রাজধানীর ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যাওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানায়, তাদের ৯১টি দল কাজ করছে জলাবদ্ধতা নিরসনে। সঙ্গে উত্তর সিটি করপোরেশন জানায়, তারা হটলাইনে কল পেয়ে পানি অপসারণ করেছে ৯৪টি স্থানে। অথচ, মঙ্গলবার সকালেও কাজের তাগিদে পথে বেরিয়ে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দারা। সোমবারের টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে এখানকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট, অলি-গলি। পুরো মাতুয়াইল এলাকা এখনও পানির নিচে। পানিবন্দি হয়ে আছে যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশের একটি সড়কও। জলাবদ্ধতা কাটেনি পার্শ্ববর্তী জনতাবাগ, মদিনাবাগ, রায়েরবাগ এলাকার রাস্তাঘাটেও।

জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে রাজধানীর রামপুরা ও বাড্ডা এলাকাতেও। বৃষ্টি না থাকলেও বেগ পেতে হয়েছে অফিসগামী লোকজনকে। বিপাকে পড়ে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও। রিকশা না পেয়ে ময়লা পানি মাড়িয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে অনেককে।

মগবাজার, ইস্কাটন ও বেইলি রোড এলাকায় জলাবদ্ধতার চিত্র তেমন খারাপ না হলেও মালিবাগের বিভিন্ন সড়কে, বিশেষ করে মালিবাগ মোড় থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের সামনের সড়কে এখনও জমে থাকতে দেখা গেছে বৃষ্টির পানি।

এছাড়া মিরপুর সড়কে নুরজাহান মার্কেট ও ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের সামনের মূল সড়কে পানি জমে থাকলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS