০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি।

বুধবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখছি। ১৯৯৭ সালে আমরা জাতিসংঘে কালচার অব পিস অর্থাৎ শান্তির সংস্কৃতি এই প্রস্তাব আমি উত্থাপন করি; যা ১৯৯৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব কালচার অব পিস হিসেবে ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, বরাবরের মতো এ বছরও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ কর্তৃক উত্থাপিত কালচার অব পিস বা শান্তিসংস্কৃতির প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে; যার মাধ্যমে শান্তিসংস্কৃতির প্রস্তাবের ২৫তম বর্ষ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। অ্যাজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে কালচার অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি আরও বলেন, নারী অধিকার ও লিঙ্গসমতা নিশ্চিতে আমাদের পদক্ষেপ উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম বৃহত নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বমোট ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সম্পন্ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের দূত হিসেবে। তিনি বলতেন, বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। তা হলো, শোষক ও শোষিত। আর আমি শোষিতের পক্ষে। তিনি সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি শোষিত মানুষের মুক্তির বার্তাবহক ও শান্তির দূত।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০২:০৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি।

বুধবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখছি। ১৯৯৭ সালে আমরা জাতিসংঘে কালচার অব পিস অর্থাৎ শান্তির সংস্কৃতি এই প্রস্তাব আমি উত্থাপন করি; যা ১৯৯৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব কালচার অব পিস হিসেবে ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, বরাবরের মতো এ বছরও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ কর্তৃক উত্থাপিত কালচার অব পিস বা শান্তিসংস্কৃতির প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে; যার মাধ্যমে শান্তিসংস্কৃতির প্রস্তাবের ২৫তম বর্ষ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। অ্যাজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে কালচার অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি আরও বলেন, নারী অধিকার ও লিঙ্গসমতা নিশ্চিতে আমাদের পদক্ষেপ উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম বৃহত নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বমোট ৩ হাজার ৩৮ জন নারী শান্তিরক্ষী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সম্পন্ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের দূত হিসেবে। তিনি বলতেন, বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। তা হলো, শোষক ও শোষিত। আর আমি শোষিতের পক্ষে। তিনি সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি শোষিত মানুষের মুক্তির বার্তাবহক ও শান্তির দূত।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে