০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ধর্মমন্ত্রীর চুরি হওয়া ফোন মালয়েশিয়া থেকে উদ্ধার

জামালপুরের ইসলামপুর থেকে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স মডেলের মোবাইল চুরি হয়। চুরির প্রায় এক মাস পর সেটি মালয়েশিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ ফোনটি উদ্ধার করে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন মোবাইল ফোন চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রের মূলহোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।

বুধবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তাররা হলেন, চক্রের মূলহোতা মো. জাকির হোসেন (৪০), সদস্য মাসুদ শরীফ (৪১), মো. জিয়াউল মোল্লা জিয়া (৪৮), রাজিব খান মুন্না (২২), মো. আল আমিন মিয়া (২০), মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহেল (২৭), মো. রাসেল (৩৮), মো. খোকন আলী (৩৬) ও মো. বিল্লাল হোসেন (৩৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬৩টি মোবাইল ফোন ও ১৪টি বিভিন্ন কোম্পানির সিম জব্দ করা হয়েছে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “চোরচক্রটি ৮০টি গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করে। ৮০টি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন জাকির। ঢাকায় কাজ করা চক্রটি পকেটমার ও ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নেয়। ঢাকার বাইরে চক্রের সদস্যরা বড় কোনো সমাবেশ, জানাজা বা জনসমাবেশকে টার্গেট করে আইফোন চুরি করে। চুরি করতে গিয়ে যদি কেউ ধরা পড়ে, তখন ভুক্তভোগীকে ঘিরে রেখে তাদের সদস্যদের পালাতে সাহায্য করে চক্রের অন্য সদস্যরা।”

ডিবি প্রধান বলেন, “ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি বা ছিনতাই করে আনা ফোনগুলো জাকিরের কাছে জমা হয়। জাকির দামি মোবাইল ফোনগুলো চক্রের বিদেশে থাকা সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। বিশেষ করে মালয়েশিয়া, ভারত ও দুবাইয়ে। জাকির তার কাছে আসা মোবাইল ফোন কুরিয়ারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন মার্কেটে থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। তারাই দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে এগুলো পাচার করেন।”

 

হারুন অর রশীদ বলেন, “প্রথমে চোরাই মোবাইল ফোনের লক খোলার চেষ্টা করা হয়। কয়েকবার চেষ্টার পরে যদি সফল হয় তাহলে সেই ফোনটি তারা বেশি দামে বিক্রি করেন। আর লক খুলতে না পারলে সেগুলো কম দামে বিক্রি করা হয়।”

ডিবি প্রধান বলেন, “ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান গত ৩০ এপ্রিল সকালে ইসলামপুর পৌরসভার মোশাররফগঞ্জে এক ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেন। সেখানে পাঞ্জাবির পকেট থেকে তার আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স মডেলের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। মোবাইল ফোনটি মন্ত্রীর কাছে থেকে চুরি করেন মুন্না।”

ডিবি প্রধান আরও বলেন, “এরপর তা যায় রাসেলের কাছে। রাসেল ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বোরহানের কাছে। এরপর ওই মোবাইল ফোন কামরুজ্জামান হিরু নামের একজনের কাছে দেন বোরহান। হিরু মোবাইল ফোনটি মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দেন। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আনা হয় ধর্মমন্ত্রীর চুরি হওয়া আইফোন।”

বিজনেস বাংলাদেশ/BH

ট্যাগ :

ধর্মমন্ত্রীর চুরি হওয়া ফোন মালয়েশিয়া থেকে উদ্ধার

প্রকাশিত : ০৭:১৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

জামালপুরের ইসলামপুর থেকে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স মডেলের মোবাইল চুরি হয়। চুরির প্রায় এক মাস পর সেটি মালয়েশিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ ফোনটি উদ্ধার করে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন মোবাইল ফোন চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রের মূলহোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।

বুধবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তাররা হলেন, চক্রের মূলহোতা মো. জাকির হোসেন (৪০), সদস্য মাসুদ শরীফ (৪১), মো. জিয়াউল মোল্লা জিয়া (৪৮), রাজিব খান মুন্না (২২), মো. আল আমিন মিয়া (২০), মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহেল (২৭), মো. রাসেল (৩৮), মো. খোকন আলী (৩৬) ও মো. বিল্লাল হোসেন (৩৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬৩টি মোবাইল ফোন ও ১৪টি বিভিন্ন কোম্পানির সিম জব্দ করা হয়েছে।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “চোরচক্রটি ৮০টি গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করে। ৮০টি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন জাকির। ঢাকায় কাজ করা চক্রটি পকেটমার ও ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নেয়। ঢাকার বাইরে চক্রের সদস্যরা বড় কোনো সমাবেশ, জানাজা বা জনসমাবেশকে টার্গেট করে আইফোন চুরি করে। চুরি করতে গিয়ে যদি কেউ ধরা পড়ে, তখন ভুক্তভোগীকে ঘিরে রেখে তাদের সদস্যদের পালাতে সাহায্য করে চক্রের অন্য সদস্যরা।”

ডিবি প্রধান বলেন, “ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি বা ছিনতাই করে আনা ফোনগুলো জাকিরের কাছে জমা হয়। জাকির দামি মোবাইল ফোনগুলো চক্রের বিদেশে থাকা সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। বিশেষ করে মালয়েশিয়া, ভারত ও দুবাইয়ে। জাকির তার কাছে আসা মোবাইল ফোন কুরিয়ারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন মার্কেটে থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। তারাই দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে এগুলো পাচার করেন।”

 

হারুন অর রশীদ বলেন, “প্রথমে চোরাই মোবাইল ফোনের লক খোলার চেষ্টা করা হয়। কয়েকবার চেষ্টার পরে যদি সফল হয় তাহলে সেই ফোনটি তারা বেশি দামে বিক্রি করেন। আর লক খুলতে না পারলে সেগুলো কম দামে বিক্রি করা হয়।”

ডিবি প্রধান বলেন, “ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান গত ৩০ এপ্রিল সকালে ইসলামপুর পৌরসভার মোশাররফগঞ্জে এক ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেন। সেখানে পাঞ্জাবির পকেট থেকে তার আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স মডেলের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। মোবাইল ফোনটি মন্ত্রীর কাছে থেকে চুরি করেন মুন্না।”

ডিবি প্রধান আরও বলেন, “এরপর তা যায় রাসেলের কাছে। রাসেল ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বোরহানের কাছে। এরপর ওই মোবাইল ফোন কামরুজ্জামান হিরু নামের একজনের কাছে দেন বোরহান। হিরু মোবাইল ফোনটি মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দেন। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আনা হয় ধর্মমন্ত্রীর চুরি হওয়া আইফোন।”

বিজনেস বাংলাদেশ/BH