০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

বরিশালে হিমাগারে ডিম মজুত করার অভিযোগে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

বরিশাল নিউ হাটখোলা এলাকার একটি হিমাগারে ডিম মজুত করার অভিযোগে ৬ ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা এবং লাইসেন্স না থাকায় হিমাগারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসনের যৌথ টিম।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র জানিয়েছেন, বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ভোক্তা অধিকার হিমাগারে অভিযান চালান। এ সময় সেখানে হাঁসের ডিম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মুরগির প্রায় ৩ লাখ ডিম মজুত পান। এরপর ডিম মজুতকারী ছয় ব্যবসায়ীকে খবর দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মজুত হাঁসের ডিম ৭ দিনের মধ্যে এবং মুরগির ডিম ৩ দিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া হিমাগারের লাইসেন্স না থাকায় জেলা প্রশাসনের টিম ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণের নির্দেশ দেন। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট।

ডিম ব্যবসায়ী মো. আলামিন জানিয়েছেন, তারা ডিম ভালো রাখার জন্য হিমাগারে রেখেছিলেন। কোনও কালোবাজারি কিংবা মজুত করার উদ্দেশে রাখেননি। এখন যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ওই সময়ের মধ্যে ডিম বিক্রি করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে হাঁসের ডিম কোনোভাবেই ওই সময়ের মধ্যে বিক্রি হবে না। তাতে করে হিমাগার থেকে বের করা হলে ডিমগুলো পচে যাবে। এতে তাদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

তিনি আরও জানান, ডিমের দাম বাড়ায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীর ব্যবসায়ীরা। কারণ, সেখান থেকেই বেশির ভাগ ডিম পাইকারি আনা হয়। আনার পর তারা পাইকারি বিক্রির দাম কমিয়ে দিলে তাদের বিপাকে পড়তে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে তাদের সঙ্গে ছলচাতুরি করছে বলে অভিযোগ করেন এই ব্যবসায়ী।

বিজেনস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :

বরিশালে হিমাগারে ডিম মজুত করার অভিযোগে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

প্রকাশিত : ০৫:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

বরিশাল নিউ হাটখোলা এলাকার একটি হিমাগারে ডিম মজুত করার অভিযোগে ৬ ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা এবং লাইসেন্স না থাকায় হিমাগারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসনের যৌথ টিম।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র জানিয়েছেন, বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ভোক্তা অধিকার হিমাগারে অভিযান চালান। এ সময় সেখানে হাঁসের ডিম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মুরগির প্রায় ৩ লাখ ডিম মজুত পান। এরপর ডিম মজুতকারী ছয় ব্যবসায়ীকে খবর দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মজুত হাঁসের ডিম ৭ দিনের মধ্যে এবং মুরগির ডিম ৩ দিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া হিমাগারের লাইসেন্স না থাকায় জেলা প্রশাসনের টিম ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণের নির্দেশ দেন। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট।

ডিম ব্যবসায়ী মো. আলামিন জানিয়েছেন, তারা ডিম ভালো রাখার জন্য হিমাগারে রেখেছিলেন। কোনও কালোবাজারি কিংবা মজুত করার উদ্দেশে রাখেননি। এখন যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ওই সময়ের মধ্যে ডিম বিক্রি করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে হাঁসের ডিম কোনোভাবেই ওই সময়ের মধ্যে বিক্রি হবে না। তাতে করে হিমাগার থেকে বের করা হলে ডিমগুলো পচে যাবে। এতে তাদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

তিনি আরও জানান, ডিমের দাম বাড়ায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীর ব্যবসায়ীরা। কারণ, সেখান থেকেই বেশির ভাগ ডিম পাইকারি আনা হয়। আনার পর তারা পাইকারি বিক্রির দাম কমিয়ে দিলে তাদের বিপাকে পড়তে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে তাদের সঙ্গে ছলচাতুরি করছে বলে অভিযোগ করেন এই ব্যবসায়ী।

বিজেনস বাংলাদেশ/ডিএস