০৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

শেরপুরে চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের প্রেস ব্রিফিং করেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার- মোঃ খোরশেদ আলম

শেরপুরে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্ৰামের মৃত.নত্তশের আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগমের চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত আসামির ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই বিকালে শেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্ৰামের মৃত নত্তশের আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগমের চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত আসামির ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিং করেন শেরপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ খোরশেদ আলম।
এসময় প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান,বাদী মোঃ রাকিব হোসেন প্রকাশ (২৫),পিতা মৃত.নত্তশের আলী,গ্ৰাম-কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া, শেরপুর সদর, শেরপুর।গত ২৭জুন ব্রাক ব্যাংক শেরপুর শাখা হতে নগদ ২,৪০,০০০/টাকা উত্তোলন করে তার বসতবাড়ির উত্তর দোয়ারি হাফ বিল্ডিং বসতঘরের স্টীলের ট্রাংকে রেখে তালা লাগিয়ে রাখে। এজাহারে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম উক্ত টাকার ব্যাপারে জানতে পারে।বাদী তার মা নার্গিস বেগমকে বাড়িতে রেখে ২৭ জুন বিকাল অনুমান ৫.৩০ঘটিকার সময় তার স্ত্রী সন্তান সহ শ্বশুরের কর্মস্থল টাঙ্গাইলে বেড়াতে যান। বাদীর মা নার্গিস বেগম তার হাফ বিল্ডিং বসতঘরের অপর কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। এজাহারে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম একটি ধারালো ছুরিসহ ২৭জুন রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় সংগোপনে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে দক্ষিণ দুয়ারী হাফ বিল্ডিং বসতঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ট্রাংকে রক্ষিত নগদ ২,৪০,০০০/-টাকা চুরি করার চেষ্টা করে। বাদীর মা নার্গিস বেগম ( ৫৫),তালা ভাঙার আওয়াজ শুনে তার কক্ষ হতে টর্চ লাইট নিয়ে বের হয়। তখন উক্ত আসামি বাদীর ঘর হতে বের হয়ে দোচালা টিনের লাকড়ি রাখার ঘরে আত্মগোপনের চেষ্টা করে। বাদীর মা টর্চ লাইট মেরে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম ( ২২)কে দেখে চিনতে পারলে বসত বাড়ির উঠানে মুল আসামি মোঃ আলিমুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে নার্গিস বেগমকে পেটের বাম পাশে সজোরে ঘাই দিয়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।ঐ অবস্থায় নার্গিস বেগম ডাকচিৎকার দিলে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম নার্গিস বেগমের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পুনরায় ধারালো ছুরি দ্বারা নার্গিস বেগমের গলায় সজোরে ফেস দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। বাদীর মা এর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত আলিমুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নার্গিস বেগমকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে নার্গিস বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য ভর্তি করলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৯ জুন রাত অনুমান ১১.০০ঘটিকার সময় মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত বিষয়ে নিহতের ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন প্রকাশ এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেরপুর সদর থানায় উল্লেখিত মামলা রুজু হয়।
শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন, পিপিএম এর সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর সদর থানার এসআই (নি:) খন্দকার সালেহ আবু নাঈম এবং এল আই সি শাখার এস আই (নি:) মোহাম্মদ আশিকুর রহমান সহ শেরপুর জেলার একটি চৌকস আভিযানিক টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম ( ২২) গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং পরবর্তীতে রাঙ্গামাটি সহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনের চেষ্টা কালে উক্ত আভিযানিক টিম রাঙ্গামাটি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা এলাকা হতে গত ০৩/০৭/২০২৪ তারিখে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম কে গ্ৰেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্ৰেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মামলার বাদীর ২,৪০,০০০/-টাকা চুরি করার জন্য ঘটনার তারিখ ও সময়ে সংগোপনে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে।বসত ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ট্রাংকে রক্ষিত টাকা চুরি করার চেষ্টা করলে বাদীর মা মৃত নার্গিস বেগম টের পেয়ে ঘর হতে বের হয়ে টর্চ লাইট এর আলোতে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম কে চিনতে পারার কারণে তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দ্বারা প্রথমে পেটের বাম পাশে এবং পরে গলায় ফেস মেরে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।
ট্যাগ :

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্থবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেরপুরে চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের প্রেস ব্রিফিং করেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার- মোঃ খোরশেদ আলম

প্রকাশিত : ০৭:০৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
শেরপুরে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্ৰামের মৃত.নত্তশের আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগমের চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত আসামির ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই বিকালে শেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্ৰামের মৃত নত্তশের আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগমের চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত আসামির ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিং করেন শেরপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ খোরশেদ আলম।
এসময় প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান,বাদী মোঃ রাকিব হোসেন প্রকাশ (২৫),পিতা মৃত.নত্তশের আলী,গ্ৰাম-কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া, শেরপুর সদর, শেরপুর।গত ২৭জুন ব্রাক ব্যাংক শেরপুর শাখা হতে নগদ ২,৪০,০০০/টাকা উত্তোলন করে তার বসতবাড়ির উত্তর দোয়ারি হাফ বিল্ডিং বসতঘরের স্টীলের ট্রাংকে রেখে তালা লাগিয়ে রাখে। এজাহারে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম উক্ত টাকার ব্যাপারে জানতে পারে।বাদী তার মা নার্গিস বেগমকে বাড়িতে রেখে ২৭ জুন বিকাল অনুমান ৫.৩০ঘটিকার সময় তার স্ত্রী সন্তান সহ শ্বশুরের কর্মস্থল টাঙ্গাইলে বেড়াতে যান। বাদীর মা নার্গিস বেগম তার হাফ বিল্ডিং বসতঘরের অপর কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। এজাহারে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম একটি ধারালো ছুরিসহ ২৭জুন রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় সংগোপনে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে দক্ষিণ দুয়ারী হাফ বিল্ডিং বসতঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ট্রাংকে রক্ষিত নগদ ২,৪০,০০০/-টাকা চুরি করার চেষ্টা করে। বাদীর মা নার্গিস বেগম ( ৫৫),তালা ভাঙার আওয়াজ শুনে তার কক্ষ হতে টর্চ লাইট নিয়ে বের হয়। তখন উক্ত আসামি বাদীর ঘর হতে বের হয়ে দোচালা টিনের লাকড়ি রাখার ঘরে আত্মগোপনের চেষ্টা করে। বাদীর মা টর্চ লাইট মেরে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম ( ২২)কে দেখে চিনতে পারলে বসত বাড়ির উঠানে মুল আসামি মোঃ আলিমুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে নার্গিস বেগমকে পেটের বাম পাশে সজোরে ঘাই দিয়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।ঐ অবস্থায় নার্গিস বেগম ডাকচিৎকার দিলে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম নার্গিস বেগমের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পুনরায় ধারালো ছুরি দ্বারা নার্গিস বেগমের গলায় সজোরে ফেস দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। বাদীর মা এর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত আলিমুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নার্গিস বেগমকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে নার্গিস বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য ভর্তি করলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৯ জুন রাত অনুমান ১১.০০ঘটিকার সময় মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত বিষয়ে নিহতের ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন প্রকাশ এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেরপুর সদর থানায় উল্লেখিত মামলা রুজু হয়।
শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন, পিপিএম এর সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর সদর থানার এসআই (নি:) খন্দকার সালেহ আবু নাঈম এবং এল আই সি শাখার এস আই (নি:) মোহাম্মদ আশিকুর রহমান সহ শেরপুর জেলার একটি চৌকস আভিযানিক টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম ( ২২) গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং পরবর্তীতে রাঙ্গামাটি সহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনের চেষ্টা কালে উক্ত আভিযানিক টিম রাঙ্গামাটি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা এলাকা হতে গত ০৩/০৭/২০২৪ তারিখে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম কে গ্ৰেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্ৰেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মামলার বাদীর ২,৪০,০০০/-টাকা চুরি করার জন্য ঘটনার তারিখ ও সময়ে সংগোপনে বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে।বসত ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ট্রাংকে রক্ষিত টাকা চুরি করার চেষ্টা করলে বাদীর মা মৃত নার্গিস বেগম টের পেয়ে ঘর হতে বের হয়ে টর্চ লাইট এর আলোতে অভিযুক্ত মোঃ আলিমুল ইসলাম কে চিনতে পারার কারণে তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দ্বারা প্রথমে পেটের বাম পাশে এবং পরে গলায় ফেস মেরে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।