কোটা বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন দেশের জনগন। মূলত এই আন্দোলন ছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের। তাদের এই আন্দোলন ছিলো শান্তিপূর্ণ। কিন্তু সাবেক সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কিছু বিরুপ মন্তব্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সংঘর্ষে রুপ নেয় সারাদেশ। সংঘর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়াও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ নিহত হয়। এর প্রতিবাদে প্রতিবাদে ছাত্র-শিক্ষক-জনতা মাঠে নেমে আসে। প্রবাসে থাকা রেমিটেন্স যোদ্ধারা বন্ধ করে দেয় দেশে টাকা পাঠানো। শুরু হয় অসহোযোগ অন্দোলন। হত্যার প্রতিবাদে ঘর থেকে নেমে আসেন শিক্ষক-অভিভাবকরা। প্রতিবাদ আন্দোলনে সাথে যোগ দেন সরকারের অধীনে থাকা বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ।
বিশেষ করে ডাক্তাররা। শুরু হয় সংগ্রাম। বিক্ষোভে বিক্ষোভে উত্তাল হয় বাংলাদেশ। এক দফা শেখ হাসিনার পতন। এদিকে সুযোগ সন্ধানী কর্মকর্তারা আন্দোলনে অংশগ্রনকারী ডাক্তারদের একটা তালিকা প্রনয়ন করে। তাদের রাজাকার উপাধী দিয়ে দমন অত্যাচার করতে থাকে। তাদের হিট লিষ্ট বানিয়ে প্রথমে তাদের স্ট্যান্ড রিলিজ দিয়ে বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলী করা হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। নিপিড়নের শিকার হনঃ ১. সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার শহিদুল ইসলাম আকন- স্পাইন সার্জারী, ২. সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার রিজওয়ানা রহমান খান-প্যাথলজী, ৩. সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার নাইম দেওয়ান- সার্জারী, ৪. ডাক্তার নুসরাত সুলতানা – ভাইরলজি, ৫. ডাক্তার শাহরুল আলম, ৬. ডাক্তার আরিফ মোরশেদ খান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে লেখালেখি করেছিলেন।