হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটি অতি জনাকীর্ণ স্থানে ন্যাশনাল হাইওয়ে ও রেল স্টেশনের পাশে অবস্থিত।
প্রশংসায় ভাসছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম আবু নওশাদ। বিমানবন্দরে তার তদারকির তৎপরতায় প্রশংসা এখন ফেসবুক জুড়ে।
ভাবছেন বিমানবন্দর থেকে অন্যের লাগেজ নিয়ে চুপিসারে কেটে পড়বেন? সেই দিন শেষ! হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এখন সিসি ক্যামেরার কড়া নজরদারি আর প্রশাসনের কঠোর অ্যাকশন।
লাগেজ চুরির অপরাধে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এক প্রবাসীকে।
গত ৩ নভেম্বর সৌদি থেকে দেশে ফিরলেন প্রবাসী আরমান হোসেন। কৌশলে নিয়ে গেলেন ইউএস বাংলার অন্য দুই যাত্রীর লাগেজ। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হলো তদন্ত। ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ ২১ দিন যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়, লাগেজ বাইরে থেকে নয়, বিমানবন্দর থেকেই অন্য কেউ নিয়ে গেছে।
শেষ রক্ষা হয়নি। ২৪ নভেম্বর রাতে পুনরায় সৌদি আরব যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে এলে গোয়েন্দা তথ্য ও ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ, ইমিগ্রেশন পুলিশ, এভসেক, বাংলাদেশ পুলিশ ও বিমান বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় তাকে আটক করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর পর প্রবাসী আরমান নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। তিনি জানান, চুরি করা একটি লাগেজের মালামাল তিনি ইতিমধ্যেই বিক্রি ও ব্যবহার করেছেন। যাত্রী হয়রানি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫২ ধারা মোতাবেক তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আপনিও যদি বিমানবন্দরে এ ধরণের ঘটনার সমুখীন হোন বিমানবন্দরে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জানান। প্রয়োজনে বাংলা এভিয়েশনের সহায়তা নিন।
ডিএস./



















