রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।,সেই নগরীকে যানজট মুক্ত করতে, বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয় সহ অনেক স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রিরা কাজ করছে।
আজ সকাল থেকে সোমবার বিকালে রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়, শাপলা চত্বর, মডার্ন মোড়, মেডিকেল মোড়, সাত মাথা পার্কের মোড়সহ প্রতিটি মোড়েই ট্রাফিক ও শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক সহ যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। যাতে করে দুর্বৃত্তরা নগরীতে কোথাও যেন ভাঙচুর হামলা হাঙ্গামা লুটপাট না করতে পারে। নগরবাসীর শান্তির শৃঙ্খলা ফিরাতে মাঠে নেমেছেন ছাত্র জনতা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। যাতে করে নির্ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের জানমালের নিরাপত্তা সঠিকভাবে দিতে পারে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ কখনো অন্যায়কারীকে ক্ষমা করবে না। আইন নগরীতে লুটপাট হামলা করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। নগরী শান্তি ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা।
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক দফা দাবি আদায়ের সময় দূর্ববৃত্তরা নগরীতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও সরকারী বেসরকারী অফিসের মালামাল লুট করায়, চীর চেনা রংপুর নগরী হয়েছিল এক অচেনা নগরী।সেই নগরীকে ভালবেসে যানজট নিয়ন্ত্রনে কাজ করতে শুরু করেছে পুলিশ ও ছাত্র ছাত্রীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা শিক্ষার্থীরা রংপুরকে ভালোবেসে আমরা কাজে নেমেছি। আর আমাদের এই কাজটাকে নগরবাসী সদানন্দে গ্রহণ করেছে। অনেকে আমাদেরকে সন্তান ভেবে আমাদের সকাল এবং দুপুরের খাবার তারা নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দিচ্ছেন এমনকি অনেকে ছাতা পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন যাতে আমরা কোন শিক্ষার্থী রোদে তাপদাহে তো হই।
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক দফা দাবি আদায়ের পর রংপুর নগরীতে এখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজের নগরীর প্রতি সকলের মমতা থেকে বিবেকে দরজা খুলে দিয়ে, শিক্ষার্থীরা এখন যানজট নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে ।
তবে এই কোমলমতি ছাত্র ছাত্রিদের নগরীর প্রতি ভালবাসা দেখে, নগরীর অনেকেই তাদের বৃত্তবান স্বেচ্ছসেবী সংগঠন গুলন তাদের নাস্তা ও দুপুরের খাবার ও ছাতা দিয়ে যাচ্ছে নিজ উদ্দোগে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন,
বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা আন্দোলন করে দ্বিতীয়বারের মতোই বাংলাদেশ আবারও স্বাধীন করেছে। এই স্বাধীন দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। কোন দুষ্কৃতীরা অথবা হামলা লুটপাট করতে না পারে। এজন্য নগরবাসী সহযোগিতা প্রয়োজন।
পুলিশবাহিনী আবারো মাঠে নেমেছে সাধারণ মানুষের জানমাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের রসিক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, শিক্ষার্থীরা রোদে পুড়ে অনেক কষ্ট করে নাগরিক সেবা দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এজন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আজ থেকে প্রশাসন মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবার জন্য। নগরীর সাধারণ জনগনের জানমাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য কাজ করবে প্রশাসন।
তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্ম আগামী দিনে ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসবে এটাই আমাদের কাম্য।