১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেকৃবিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধর ও হেনস্থা

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধর এবং গলায় জুতার মালা দিয়েছে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) সারাদিনে ছাত্রলীগের ৫ জন নেতাকর্মীকে মারধর করে ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়।

সরকার পতনের পর থেকেই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছিল ছাত্রলীগ উচ্ছেদ অভিযান। গত কয়েকদিন থেকেই নেতাকর্মীদের রুমে তল্লাশি চালিয়ে আসছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের রুম থেকে মাদকের বোতল, অস্ত্র ও জীবনবৃত্তান্ত উদ্ধার করা হয়। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে দেওয়া হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। এরপরও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে মারধরের ঘটনাগুলো ঘটে।

সকালে আলতাবুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে মাথার চুল কামিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে জুতার মালা পরিয়ে তাকে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ঘুরানো হয়। এসময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার তারিখ রহমান রুদ্র এবং শেরেবাংলা হলের সাবেক সভাপতি উজ্জ্বলের দেখা পেলে শিক্ষার্থীরা তাদের উপর চড়াও হয়ে ওঠে। এরপর মারধর করে তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আরেক ছাত্রলীগ কর্মী কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে লুকিয়ে আছে জানতে পারলে শিক্ষার্থীরা তৎক্ষণাৎ সেখানে গিয়ে জড়ো হয় এবং তাকে মারধর করে। পরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলে ছাত্রলীগ কর্মী তুরানকে দেখতে পেলে তাকেও মারধর করে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয় এবং ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এছাড়া তুরানের কক্ষ থেকে মদের বোতলও উদ্ধার করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এসব ঘটনার পরপরই তৎক্ষনাৎ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শেকৃবি সমন্বয়কবৃন্দ। এতে উল্লেখ করেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ অভ্যূত্থান এরপর থেকে ক্যাম্পাসে এক দল স্বার্থেন্বেষী গোষ্ঠী তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ ও উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।যার দায় কোন ভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সহযোদ্ধারা নিবে না। আমরা স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই এই ধরনের অরাজক ও নৈরাজ্যপূর্ণ কাজের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা জড়িত নয়, ক্যাম্পাসের কেউ যদি পরবর্তীতে এই ধরণের কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কড়া একশন নেওয়া হবে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএফ

 

জনপ্রিয়

আমি কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে নাম লিখতে চাই : নবাগত জেলা প্রশাসক

শেকৃবিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধর ও হেনস্থা

প্রকাশিত : ০৮:১০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধর এবং গলায় জুতার মালা দিয়েছে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) সারাদিনে ছাত্রলীগের ৫ জন নেতাকর্মীকে মারধর করে ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়।

সরকার পতনের পর থেকেই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছিল ছাত্রলীগ উচ্ছেদ অভিযান। গত কয়েকদিন থেকেই নেতাকর্মীদের রুমে তল্লাশি চালিয়ে আসছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের রুম থেকে মাদকের বোতল, অস্ত্র ও জীবনবৃত্তান্ত উদ্ধার করা হয়। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে দেওয়া হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। এরপরও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে মারধরের ঘটনাগুলো ঘটে।

সকালে আলতাবুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে মাথার চুল কামিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে জুতার মালা পরিয়ে তাকে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ঘুরানো হয়। এসময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার তারিখ রহমান রুদ্র এবং শেরেবাংলা হলের সাবেক সভাপতি উজ্জ্বলের দেখা পেলে শিক্ষার্থীরা তাদের উপর চড়াও হয়ে ওঠে। এরপর মারধর করে তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আরেক ছাত্রলীগ কর্মী কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে লুকিয়ে আছে জানতে পারলে শিক্ষার্থীরা তৎক্ষণাৎ সেখানে গিয়ে জড়ো হয় এবং তাকে মারধর করে। পরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলে ছাত্রলীগ কর্মী তুরানকে দেখতে পেলে তাকেও মারধর করে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয় এবং ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এছাড়া তুরানের কক্ষ থেকে মদের বোতলও উদ্ধার করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এসব ঘটনার পরপরই তৎক্ষনাৎ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শেকৃবি সমন্বয়কবৃন্দ। এতে উল্লেখ করেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ অভ্যূত্থান এরপর থেকে ক্যাম্পাসে এক দল স্বার্থেন্বেষী গোষ্ঠী তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ ও উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।যার দায় কোন ভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সহযোদ্ধারা নিবে না। আমরা স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই এই ধরনের অরাজক ও নৈরাজ্যপূর্ণ কাজের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা জড়িত নয়, ক্যাম্পাসের কেউ যদি পরবর্তীতে এই ধরণের কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কড়া একশন নেওয়া হবে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএফ