০৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অবগত নই

ড. ইউনূসের মামলা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে: আইনজীবী

ড. ইউনূস এর আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা এখনো জানেন না। তবে, ড. ইউনূস মামলাটি আইনিভাবে মোকাবিলা করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে গ্রামীণ টেলিকমের কেউ কিছুই জানেন না। তাদের বক্তব্য হলো, আসামিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের চোর, অর্থ আত্মসাৎকারী ও পাচারকারী বলে সারা বিশ্বে এবং দেশের মানুষের কাছে অপমানিত ও সম্মানহানি করা হয়েছে। আর এখন রাতারাতি প্রত্যাহার করে নিলেন!

আইনজীবী মামুন আরও বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি বলেছেন, এখনো বলছেন, প্রতিটি মামলা আইনি পদ্ধতি অনুযায়ী চলবে। প্রতিটি মামলা তিনি আইনিভাবেই মোকাবিলা করবেন। তাই প্রত্যাহারের বিষয়ে আমরা অবগত নই।

এর আগে গত রোববার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় এ মামলাটি প্রত্যাহার পূর্বক আসামিদের মামলার দায় থেকে খালাস প্রদানসহ অবরুদ্ধ ও ক্রোককৃত সম্পত্তির অবমুক্ত চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে সময় সংস্থাটির পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

গত বছর ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

বিএনপির ও অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের সাথে বৈটক

মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অবগত নই

ড. ইউনূসের মামলা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে: আইনজীবী

প্রকাশিত : ০৪:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা এখনো জানেন না। তবে, ড. ইউনূস মামলাটি আইনিভাবে মোকাবিলা করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে গ্রামীণ টেলিকমের কেউ কিছুই জানেন না। তাদের বক্তব্য হলো, আসামিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের চোর, অর্থ আত্মসাৎকারী ও পাচারকারী বলে সারা বিশ্বে এবং দেশের মানুষের কাছে অপমানিত ও সম্মানহানি করা হয়েছে। আর এখন রাতারাতি প্রত্যাহার করে নিলেন!

আইনজীবী মামুন আরও বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি বলেছেন, এখনো বলছেন, প্রতিটি মামলা আইনি পদ্ধতি অনুযায়ী চলবে। প্রতিটি মামলা তিনি আইনিভাবেই মোকাবিলা করবেন। তাই প্রত্যাহারের বিষয়ে আমরা অবগত নই।

এর আগে গত রোববার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারায় এ মামলাটি প্রত্যাহার পূর্বক আসামিদের মামলার দায় থেকে খালাস প্রদানসহ অবরুদ্ধ ও ক্রোককৃত সম্পত্তির অবমুক্ত চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে সময় সংস্থাটির পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

গত বছর ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে