০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

রং তুলির আঁচড়ে বিজয়ের বর্ণিল সাজে চবি

স্বাধীন ক্যাম্পাসে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে স্বপ্নের ফ্লোর , দেয়াল, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সড়কগুলোতে আলপনা, এঁকে চবিকে নতুন রঙে এঁকেছে ।এ যেনো রং তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠা স্বাধীনতার ভাষা।তুলির প্রতিটা আঁচড়ে রয়েছে বিজয়ের বার্তা।এক একটা গ্রাফিতি যেনো স্বাধীনতার স্মারক।গত কয়েকদিন ব্যাপী এমনই সৃজনশীল গ্রাফিতি কর্মসূচির ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়( চবি) পেয়েছে এক অনন্য রূপ।

সরেজমিনে দেখা যায়, নানান ত্যাগ, তিতীক্ষা ও চড়াই উতরাই পেরিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দেশ দ্বিতীয়বারের মতো হয় স্বাধীন। সেই সাথে স্বাধীন হয় দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোও । ছাত্রছাত্রীরা তাদের অর্জিত স্বাধীনতা উদযাপনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রতি ভর দুপুর থেকে এঁকে চলছে নানারকমের গ্রাফিতি। এ সময় দেখা যায়, কেউ কেউ রংয়ে রং মিশিয়ে নতুন রং তৈরি করছেন; কেউবা ঘষামাজা দিয়ে জায়গা পরিষ্কার করছেন; আবার কেউবা পেন্সিল দিয়ে অঙ্কিত ছবির কল্পিত রেখা আঁকছেন। এবার সে রেখাতে রং তুলি টেনে ফুটিয়ে তুলছেন নানা সৃজনশীল শিল্পকর্ম। এভাবেই শিল্পীদের শৈল্পিক কর্মকান্ডে ফুটে উঠেছে স্বাধীনতার প্রতিচ্ছবি। যেখানে প্রতিটি রং, প্রতিটি রেখা, প্রতিটি গ্রাফিতি বলছে নতুন এক স্বাধীনতার কথা; এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের কথা,জানান দিচ্ছে প্রভাতের আলোকিত সূর্যোদয়ের কথা ও নব উদ্যমে নতুন স্বপ্নের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার কথা।

চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিনা ইয়াসমিন প্রমি বলেন, গ্রাফিতি ও আলপনা করার পেছনে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা ও দেয়ালে যে পলিটিকাল চিহ্নগুলি ছিলো সেগুলো মুছে ফেলে আমাদের কথাগুলো তুলে ধরা এবং কোন রকম বাঁধা ছাড়াই আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি।

সমাজতত্ব বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পার্থ দিবস চৌধুরী বলেন, গ্রাফিতির মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ সুর ফুটে ওঠে। ন্যায়ের কথা, সাধারণ মানুষের দাবির কথা উঠে আসে।

তিনি আরো বলেন, ‘ গ্রাফিতি সবসময় প্রতিবাদের ভাষা হয়ে কাজ করে এবং এর মাধ্যমে যে প্রতিবাদটা হয় তা সহজেই দৃষ্টিনন্দিত হয় । যে কারণে গ্রাফিতি বা আর্টের মাধ্যমেই নিজেদের কথাহ গুলো ফুটিয়ে তুলিয়েছি। পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত যাতে ন্যায়, নায্যতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হয় এবং সকল প্রকার বৈষম্য ও অবিচার দূরীভূত হয় সেটাই গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরেছি।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্মের আহ্বানে দেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন জেলা শহর ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বৈরসরকার -বিরোধী এমন অনেক চিত্র দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হয়-লেখা হয়,যা হয়ে ওঠে আনাদোলনের ভাষা,প্রতিবাদের ভাষা।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএফ

রং তুলির আঁচড়ে বিজয়ের বর্ণিল সাজে চবি

প্রকাশিত : ০৯:১৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

স্বাধীন ক্যাম্পাসে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে স্বপ্নের ফ্লোর , দেয়াল, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সড়কগুলোতে আলপনা, এঁকে চবিকে নতুন রঙে এঁকেছে ।এ যেনো রং তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠা স্বাধীনতার ভাষা।তুলির প্রতিটা আঁচড়ে রয়েছে বিজয়ের বার্তা।এক একটা গ্রাফিতি যেনো স্বাধীনতার স্মারক।গত কয়েকদিন ব্যাপী এমনই সৃজনশীল গ্রাফিতি কর্মসূচির ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়( চবি) পেয়েছে এক অনন্য রূপ।

সরেজমিনে দেখা যায়, নানান ত্যাগ, তিতীক্ষা ও চড়াই উতরাই পেরিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দেশ দ্বিতীয়বারের মতো হয় স্বাধীন। সেই সাথে স্বাধীন হয় দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোও । ছাত্রছাত্রীরা তাদের অর্জিত স্বাধীনতা উদযাপনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রতি ভর দুপুর থেকে এঁকে চলছে নানারকমের গ্রাফিতি। এ সময় দেখা যায়, কেউ কেউ রংয়ে রং মিশিয়ে নতুন রং তৈরি করছেন; কেউবা ঘষামাজা দিয়ে জায়গা পরিষ্কার করছেন; আবার কেউবা পেন্সিল দিয়ে অঙ্কিত ছবির কল্পিত রেখা আঁকছেন। এবার সে রেখাতে রং তুলি টেনে ফুটিয়ে তুলছেন নানা সৃজনশীল শিল্পকর্ম। এভাবেই শিল্পীদের শৈল্পিক কর্মকান্ডে ফুটে উঠেছে স্বাধীনতার প্রতিচ্ছবি। যেখানে প্রতিটি রং, প্রতিটি রেখা, প্রতিটি গ্রাফিতি বলছে নতুন এক স্বাধীনতার কথা; এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের কথা,জানান দিচ্ছে প্রভাতের আলোকিত সূর্যোদয়ের কথা ও নব উদ্যমে নতুন স্বপ্নের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার কথা।

চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিনা ইয়াসমিন প্রমি বলেন, গ্রাফিতি ও আলপনা করার পেছনে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা ও দেয়ালে যে পলিটিকাল চিহ্নগুলি ছিলো সেগুলো মুছে ফেলে আমাদের কথাগুলো তুলে ধরা এবং কোন রকম বাঁধা ছাড়াই আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি।

সমাজতত্ব বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পার্থ দিবস চৌধুরী বলেন, গ্রাফিতির মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ সুর ফুটে ওঠে। ন্যায়ের কথা, সাধারণ মানুষের দাবির কথা উঠে আসে।

তিনি আরো বলেন, ‘ গ্রাফিতি সবসময় প্রতিবাদের ভাষা হয়ে কাজ করে এবং এর মাধ্যমে যে প্রতিবাদটা হয় তা সহজেই দৃষ্টিনন্দিত হয় । যে কারণে গ্রাফিতি বা আর্টের মাধ্যমেই নিজেদের কথাহ গুলো ফুটিয়ে তুলিয়েছি। পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত যাতে ন্যায়, নায্যতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হয় এবং সকল প্রকার বৈষম্য ও অবিচার দূরীভূত হয় সেটাই গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরেছি।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্মের আহ্বানে দেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন জেলা শহর ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বৈরসরকার -বিরোধী এমন অনেক চিত্র দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হয়-লেখা হয়,যা হয়ে ওঠে আনাদোলনের ভাষা,প্রতিবাদের ভাষা।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএফ