নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিসহ শিক্ষকদের পরামর্শ উপেক্ষা করে কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়নে স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন অধ্যক্ষ। কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিন অংয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনয়ন দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন তিনি।
অধ্যক্ষের সেই প্রস্তাবনা সংশোধন করে নতুন প্রস্তাবনা পাঠানো হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটি আমলে নেয়নি।
একটি বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ থেকে অবসর নেওয়া জসিম উদ্দিনকে এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কলেজের শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের অভিযোগ, সর্বসম্মতিক্রমে কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুল আহসানকে সভাপতি করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ ক্য থিন অং নিজের অপকর্ম আড়াল করার জন্য পছন্দের ব্যক্তিকে এডহক কমিটির সভাপতি করিয়ে এনেছেন।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন কামরুল আহসান।
তাকে নতুন এডহক কমিটিতে ‘বিদ্যোৎসাহী’ প্রতিনিধি মনোনীত করা হয়েছিল।
নতুন এডহক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে।
এই ঘটনায় শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকরা কলেজ এডহক কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম জানান, ২২ সেপ্টেম্বর গভর্নিং বডির এডহক কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে কলেজ অধ্যক্ষ ক্য থিন অং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক বরাবর একটি সংশোধিত প্রস্তাবনা পাঠান। ওই প্রস্তাবনায় কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কামরুল আহসানকে সভাপতি, মোস্তাফিজুর রহমান কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ হেছামুল হককে বিদ্যোৎসাহী এবং নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে তার (আরিফুল ইসলাম) নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু কলেজের প্রস্তাব বিবেচনা না করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২৫ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠিত হয়েছে বলে চিঠি ইস্যু করে।
এ বিষয়ে সিটি কলেজ অধ্যক্ষ ক্য থিন অং বলেন, ‘সংশোধিত প্রস্তাবনার আলোকেই সভাপতি মনোনীত হওয়ার কথা।
এর বাইরে আমি আর বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আবদুল হাই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।