১১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন আজ

ফাইল ছবি

দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াতে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১ একর জমিতে নির্মাণ হয়েছে অত্যাধুনিক কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন কার্গো-ভেহিকেল টার্মিনালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এর ফলে বন্দরের পণ্যজট ও যানজট যেমন মুক্ত হবে, তেমনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহুগুণ বাড়বে।

এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যেমন গতিশীল হবে, তেমনি রাজস্ব আহরণও দ্বিগুণ বাড়বে। টার্মিনালটি নির্মাণে কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসএসআর গ্রুপ। এ টার্মিনালে একসঙ্গে দেড় হাজার পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিংসহ নানা সুবিধা পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, সরকার ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের পাশে বেনাপোল বন্দরে ৪১ একর জায়গায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু করে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ। এখানে একসঙ্গে পণ্যবাহী দেড় হাজার ট্রাক পার্কিং, ট্রাকচালকদের জন্য অত্যাধুনিক তিনটি টয়লেট কমপ্লেক্স ও থাকা, খাওয়ার সু-ব্যবস্থায় ব্লাক বিল্ডিং, ফায়ার সার্ভিস, কেমিকেল শেড থাকছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান জানান, টার্মিনালটিতে সেবাটি শুরু হলে বন্দরে চলমান নানা সমস্যার ৯০ শতাংশ সমাধান হবে। বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতে রাজস্বও আগামীতে দ্বিগুণ বাড়বে। এটি সরকারের এ যাবৎকালের বেনাপোল বন্দরে সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, আগে দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রাকে পণ্য আমদানির চাহিদা থাকলেও জায়গার অভাবে ৩০০ থেকে ৪০০ ট্রাকের বেশি পণ্য আমদানি সম্ভব হতো না। রাসায়নিক পণ্যগারের অভাবে প্রায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছাড়াও ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে দাবি ছিল জায়গা অধিগ্রহণ করে বন্দর আধুনিকায়নের। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে অবশেষে সরকার বেনাপোল বন্দরে কার্গো-ভেহিকেল টার্মিনাল তৈরি করেছে। টার্মিনালটিতে সেবা শুরু হলে বন্দরে চলমান সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান বলেন, প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়। বন্দর আধুনিকায়ন হয়েছে, এতে আমরা খুশি। এটির সেবা শুরু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যেমন গতিশীল হবে, তেমনি রাজস্ব আহরণ দ্বিগুণ বাড়বে।

বন্দরের প্রকল্প প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, কাজের মান ঠিক রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন অর্থ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত কলকাতা দূতাবাস কর্মকর্তারা টার্মিনাল পরিদর্শন করে সন্তোস প্রকাশ করেছেন।

বিজনেস বাংলাদশ/ডিএস

সাবেক মার্কিন বিচারক ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন আজ

প্রকাশিত : ১০:৪৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াতে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১ একর জমিতে নির্মাণ হয়েছে অত্যাধুনিক কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন কার্গো-ভেহিকেল টার্মিনালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এর ফলে বন্দরের পণ্যজট ও যানজট যেমন মুক্ত হবে, তেমনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহুগুণ বাড়বে।

এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যেমন গতিশীল হবে, তেমনি রাজস্ব আহরণও দ্বিগুণ বাড়বে। টার্মিনালটি নির্মাণে কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসএসআর গ্রুপ। এ টার্মিনালে একসঙ্গে দেড় হাজার পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিংসহ নানা সুবিধা পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, সরকার ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের পাশে বেনাপোল বন্দরে ৪১ একর জায়গায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু করে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ। এখানে একসঙ্গে পণ্যবাহী দেড় হাজার ট্রাক পার্কিং, ট্রাকচালকদের জন্য অত্যাধুনিক তিনটি টয়লেট কমপ্লেক্স ও থাকা, খাওয়ার সু-ব্যবস্থায় ব্লাক বিল্ডিং, ফায়ার সার্ভিস, কেমিকেল শেড থাকছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান জানান, টার্মিনালটিতে সেবাটি শুরু হলে বন্দরে চলমান নানা সমস্যার ৯০ শতাংশ সমাধান হবে। বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতে রাজস্বও আগামীতে দ্বিগুণ বাড়বে। এটি সরকারের এ যাবৎকালের বেনাপোল বন্দরে সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, আগে দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রাকে পণ্য আমদানির চাহিদা থাকলেও জায়গার অভাবে ৩০০ থেকে ৪০০ ট্রাকের বেশি পণ্য আমদানি সম্ভব হতো না। রাসায়নিক পণ্যগারের অভাবে প্রায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছাড়াও ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে দাবি ছিল জায়গা অধিগ্রহণ করে বন্দর আধুনিকায়নের। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে অবশেষে সরকার বেনাপোল বন্দরে কার্গো-ভেহিকেল টার্মিনাল তৈরি করেছে। টার্মিনালটিতে সেবা শুরু হলে বন্দরে চলমান সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান বলেন, প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়। বন্দর আধুনিকায়ন হয়েছে, এতে আমরা খুশি। এটির সেবা শুরু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যেমন গতিশীল হবে, তেমনি রাজস্ব আহরণ দ্বিগুণ বাড়বে।

বন্দরের প্রকল্প প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, কাজের মান ঠিক রাখতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন অর্থ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত কলকাতা দূতাবাস কর্মকর্তারা টার্মিনাল পরিদর্শন করে সন্তোস প্রকাশ করেছেন।

বিজনেস বাংলাদশ/ডিএস