০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘আমার লক্ষ্য বাংলাদেশেই প্রথম ফাইভ-জি চালু করা’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেখানে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ১জি থেকে ফোর জি চালু করতে পেরেছে।

বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবির সহায়তায় প্রথমবারের মতো ফাইভ-জি প্রদর্শন করলো প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ এক সময় বেশ পিছিয়ে ছিল। এখন আমরা কোথায় আছি দেখুন! গত পাঁচ বছরের মধ্যে ইন্টারনেটের মূল্য ৯৯ শতাংশ কমাতে আমি রেগুলেটরদের ওপর চাপ দিয়েছি। এখন বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মূল্য সবচেয়ে কম। অন্য কোনো দেশ এত দ্রুত পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট চালু করতে পারেনি।’

জয় বলেন, ‘যখনই কোনো নতুন প্রযুক্তি আসে, আমি সেটা ব্যবহার করতে চাই। প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে এটা আমার অভ্যাস। যদিও আমরা ইতোমধ্যে দেশে ফোর-জি চালু করছি, কিন্তু আমরা ইতোমধ্যেই ফাইভ-জি নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা দেশে ফোর-জি চালু করেছি। আমার লক্ষ্য বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম ফাইভ-জি চালু করা। আমি চাই বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাক। যদি দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের আবারও ক্ষমতায় আনে তবে আমরা বাংলাদেশে ফাইভ-জি চালু করবো।’ নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে ফাইভ-জি প্রদর্শনের জন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান তিনি।’

এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম কিভাবে কাজ করবে সেটা দেখানো।

এছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের রূপান্তরে ফাইভ-জি’র ব্যবহার প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তী প্রজন্মেও এই তারহীন প্রযুক্তি মানুষের প্রতিদিনের জীবনধারা পরিবর্তন করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চালকবিহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, বিগ ডাটা, ইন্টারনেট অব থিংকস, স্মার্ট সিটি এবং নেটওয়ার্ক তৈরিতে ফাইভ-জি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, হুয়াওয়ের সাউথইস্ট এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জেমস উ এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝ্যাং জেং জুন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

‘আমার লক্ষ্য বাংলাদেশেই প্রথম ফাইভ-জি চালু করা’

প্রকাশিত : ০৪:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘বাংলাদেশই প্রথম দেশ যেখানে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ১জি থেকে ফোর জি চালু করতে পেরেছে।

বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবির সহায়তায় প্রথমবারের মতো ফাইভ-জি প্রদর্শন করলো প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ এক সময় বেশ পিছিয়ে ছিল। এখন আমরা কোথায় আছি দেখুন! গত পাঁচ বছরের মধ্যে ইন্টারনেটের মূল্য ৯৯ শতাংশ কমাতে আমি রেগুলেটরদের ওপর চাপ দিয়েছি। এখন বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মূল্য সবচেয়ে কম। অন্য কোনো দেশ এত দ্রুত পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট চালু করতে পারেনি।’

জয় বলেন, ‘যখনই কোনো নতুন প্রযুক্তি আসে, আমি সেটা ব্যবহার করতে চাই। প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে এটা আমার অভ্যাস। যদিও আমরা ইতোমধ্যে দেশে ফোর-জি চালু করছি, কিন্তু আমরা ইতোমধ্যেই ফাইভ-জি নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা দেশে ফোর-জি চালু করেছি। আমার লক্ষ্য বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম ফাইভ-জি চালু করা। আমি চাই বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাক। যদি দেশের মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের আবারও ক্ষমতায় আনে তবে আমরা বাংলাদেশে ফাইভ-জি চালু করবো।’ নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে ফাইভ-জি প্রদর্শনের জন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানান তিনি।’

এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফাইভ-জি ইকোসিস্টেম কিভাবে কাজ করবে সেটা দেখানো।

এছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের রূপান্তরে ফাইভ-জি’র ব্যবহার প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তী প্রজন্মেও এই তারহীন প্রযুক্তি মানুষের প্রতিদিনের জীবনধারা পরিবর্তন করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চালকবিহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, বিগ ডাটা, ইন্টারনেট অব থিংকস, স্মার্ট সিটি এবং নেটওয়ার্ক তৈরিতে ফাইভ-জি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, হুয়াওয়ের সাউথইস্ট এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট জেমস উ এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝ্যাং জেং জুন।