০৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

যাকাত কনফারেন্স ২০২৫: দারিদ্র্য মুক্তির পথে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রয়াস

বুধবার (২৬শে ফেব্রুয়ারি) ঢাকার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মাস্তুল ফাউন্ডেশন এবং আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত হয়েছে ‘যাকাত কনফারেন্স-২০২৫’।

প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও মাস্তুল ফাউন্ডেশন ও আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সারাদিন ব্যাপী ৩ টি সেশনে বিভক্ত হয়ে দেশবিদেশের বিখ্যাত ইসলামিক স্কলারগণ, সরকারি একাধিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সমাজসেবীরা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, ডক্টরগণ এবং মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর সকল দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত হয়েছেন।

২০২৫ এর যাকাত সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হিসেবে আলোচনা করা হবে কীভাবে যাকাতের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন করা যায়। বিগত ৬ বছর ধরে এই বিষয় নিয়ে মাস্তুল ফাউন্ডেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র বিমোচন ও মানবিক উন্নয়নে যাকাতের কার্যকারিতা ও সম্ভাব্য ভূমিকা তুলে ধরা ও কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করা। যাকাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, যাকাতের মাধ্যমে কি ভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়। যাকাতের ফরজিয়ত ও গুরুত্ব, যাকাতের শুদ্ধ অনুশীলন ও প্রসার, যাকাতের হিসাব ও পরিমাণ নির্ধারণ, যাকাতের আধুনিক প্রয়োগ, যাকাত বিতরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কর্মশালা।

সম্মেলনে আলোচক এবং অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা সচিব মো. সাইদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব ইসরাত হোসেন খান, মসজিদ-উত-তাকওয়ার ইমাম ও খতিব মুফতি সাইফুল ইসলাম, হাজী মফিজুর রহমান ট্রাস্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতী গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, আন-নূর জামে মসজিদ টঙ্গী ও দৈনিক আমার দেশের সহসম্পাদক শায়খ আলী হাসান তৈয়ব খতিব, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র ও ডিন কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ, ইসলামিক পণ্ডিত এবং শিক্ষক, উপস্থাপক মুহাম্মদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী, নূরুন আলা নূর ইসলামিকের চেয়ারম্যান, কলামিস্ট, লেখক শায়খ মাসুম বিল্লাহ বিন রেজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ম্যাসকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল হুদা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এর অধ্যাপক ডঃ মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, সেন্টাল ফর যাকাত ম্যানেজম্যান্ট এর এজিএম ওয়াইস খান নূর সোহেল, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডক্টর জামিল আহমেদ, বিআরটিএ-এর ডিরেক্টর(যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, এভারকেয়ার হসপিটালের প্রফেসর ডক্টর রায়হান হোসেন, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল এর প্রফেসর ডক্টর গোলাম নবিসহ প্রমুখ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা সচিব মোঃ সাইদুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, যাকাতের মাধ্যমে যেমন দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব, তেমনি এটি মানবকল্যাণে সুস্থতা প্রতিষ্ঠারও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। মাস্তুল ফাউন্ডেশন করোনাকালীন সময়ে থেকে মানব সেবায় নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

প্রফেসর ডক্টর গোলাম নবি স্যার তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার জানা মতে, আমাদের দেশে কিছু প্রতিষ্ঠান যাকাত নিয়ে কাজ করছে। আমরা যদি তাদের সাথে একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে শুধু আপনার যাকাত আদায় হবে না, বরং আমরা সমাজ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব। যদি আমরা সবাই একত্রিত হয়ে সামাজিকভাবে কাজ করি, তবে সমাজের বাস্তবিক পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারব।

খতিব শায়খ আলী হাসান তৈয়ব বলেন, “যারা নিয়মিত যাকাত আদায় করেন, আল্লাহ তাদের সম্পদকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন এবং যাকাত বণ্টনে সম্পদ বৃদ্ধি হয়। মাস্তুল ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে যাকাত তহবিল ব্যবহার করে দরিদ্রদের সহায়তা করছে, এবং সারা বছর ধরে সঠিকভাবে তা ব্যয় করছে।

মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, কাজী রিয়াজ রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন— যাকাত সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মধ্যে যাকাতের গুরুত্ব এবং তার সঠিক আদায়ের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা। ইনশাল্লাহ আমরা এই মহৎ কাজের মাধ্যমে সবার কাছে যাকাত প্রদানের আগ্রহ ও সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে সর্বদা প্রতিবদ্ধ, আসুন আমরা সকলে মিলে সমাজে সুবিধাবঞ্চিতদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।

এ সম্মেলনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশন, সেন্ট্রাল ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, আল মিনারাত ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এবং রেডি বাংলাদেশসহ অনেকেই।

মাস্তুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান। মাস্তুলের রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদ্রাসা এবং শেল্টার হোম যেখানে আবাসিক/অনাবাসিক মিলে শতাধিক পিতামাতাহীন/ অনাথ/ এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে । এর বাহিরে কয়েক জেলায় প্রজেক্ট স্কুলগুলোতে হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার উপকরণ দেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদা নিশ্চয়তা করা হচ্ছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাহিরে যাকাত স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ১০০০ জনকে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে দাফন-কাফন সেবা প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০০ এর অধিক লাশ দাফন হয়েছে। রয়েছে মাস্তুল মেহমানখানা, যেখান থেকে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা পেট পুড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা হয়।

ডিএস../

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

অস্ত্রসহ বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সভাপতি গ্রেফতার

যাকাত কনফারেন্স ২০২৫: দারিদ্র্য মুক্তির পথে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রয়াস

প্রকাশিত : ১১:২৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

বুধবার (২৬শে ফেব্রুয়ারি) ঢাকার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মাস্তুল ফাউন্ডেশন এবং আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত হয়েছে ‘যাকাত কনফারেন্স-২০২৫’।

প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও মাস্তুল ফাউন্ডেশন ও আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সারাদিন ব্যাপী ৩ টি সেশনে বিভক্ত হয়ে দেশবিদেশের বিখ্যাত ইসলামিক স্কলারগণ, সরকারি একাধিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সমাজসেবীরা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, ডক্টরগণ এবং মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর সকল দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত হয়েছেন।

২০২৫ এর যাকাত সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হিসেবে আলোচনা করা হবে কীভাবে যাকাতের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন করা যায়। বিগত ৬ বছর ধরে এই বিষয় নিয়ে মাস্তুল ফাউন্ডেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র বিমোচন ও মানবিক উন্নয়নে যাকাতের কার্যকারিতা ও সম্ভাব্য ভূমিকা তুলে ধরা ও কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করা। যাকাতের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, যাকাতের মাধ্যমে কি ভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়। যাকাতের ফরজিয়ত ও গুরুত্ব, যাকাতের শুদ্ধ অনুশীলন ও প্রসার, যাকাতের হিসাব ও পরিমাণ নির্ধারণ, যাকাতের আধুনিক প্রয়োগ, যাকাত বিতরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কর্মশালা।

সম্মেলনে আলোচক এবং অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা সচিব মো. সাইদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব ইসরাত হোসেন খান, মসজিদ-উত-তাকওয়ার ইমাম ও খতিব মুফতি সাইফুল ইসলাম, হাজী মফিজুর রহমান ট্রাস্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতী গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, আন-নূর জামে মসজিদ টঙ্গী ও দৈনিক আমার দেশের সহসম্পাদক শায়খ আলী হাসান তৈয়ব খতিব, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র ও ডিন কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ, ইসলামিক পণ্ডিত এবং শিক্ষক, উপস্থাপক মুহাম্মদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী, নূরুন আলা নূর ইসলামিকের চেয়ারম্যান, কলামিস্ট, লেখক শায়খ মাসুম বিল্লাহ বিন রেজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ম্যাসকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল হুদা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এর অধ্যাপক ডঃ মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ, সেন্টাল ফর যাকাত ম্যানেজম্যান্ট এর এজিএম ওয়াইস খান নূর সোহেল, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডক্টর জামিল আহমেদ, বিআরটিএ-এর ডিরেক্টর(যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, এভারকেয়ার হসপিটালের প্রফেসর ডক্টর রায়হান হোসেন, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল এর প্রফেসর ডক্টর গোলাম নবিসহ প্রমুখ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা সচিব মোঃ সাইদুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, যাকাতের মাধ্যমে যেমন দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব, তেমনি এটি মানবকল্যাণে সুস্থতা প্রতিষ্ঠারও একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। মাস্তুল ফাউন্ডেশন করোনাকালীন সময়ে থেকে মানব সেবায় নিবেদিতভাবে কাজ করে আসছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

প্রফেসর ডক্টর গোলাম নবি স্যার তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার জানা মতে, আমাদের দেশে কিছু প্রতিষ্ঠান যাকাত নিয়ে কাজ করছে। আমরা যদি তাদের সাথে একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে শুধু আপনার যাকাত আদায় হবে না, বরং আমরা সমাজ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব। যদি আমরা সবাই একত্রিত হয়ে সামাজিকভাবে কাজ করি, তবে সমাজের বাস্তবিক পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারব।

খতিব শায়খ আলী হাসান তৈয়ব বলেন, “যারা নিয়মিত যাকাত আদায় করেন, আল্লাহ তাদের সম্পদকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন এবং যাকাত বণ্টনে সম্পদ বৃদ্ধি হয়। মাস্তুল ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে যাকাত তহবিল ব্যবহার করে দরিদ্রদের সহায়তা করছে, এবং সারা বছর ধরে সঠিকভাবে তা ব্যয় করছে।

মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, কাজী রিয়াজ রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন— যাকাত সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মধ্যে যাকাতের গুরুত্ব এবং তার সঠিক আদায়ের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা। ইনশাল্লাহ আমরা এই মহৎ কাজের মাধ্যমে সবার কাছে যাকাত প্রদানের আগ্রহ ও সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে সর্বদা প্রতিবদ্ধ, আসুন আমরা সকলে মিলে সমাজে সুবিধাবঞ্চিতদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।

এ সম্মেলনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশন, সেন্ট্রাল ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, আল মিনারাত ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এবং রেডি বাংলাদেশসহ অনেকেই।

মাস্তুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান। মাস্তুলের রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদ্রাসা এবং শেল্টার হোম যেখানে আবাসিক/অনাবাসিক মিলে শতাধিক পিতামাতাহীন/ অনাথ/ এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে । এর বাহিরে কয়েক জেলায় প্রজেক্ট স্কুলগুলোতে হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার উপকরণ দেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদা নিশ্চয়তা করা হচ্ছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাহিরে যাকাত স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ১০০০ জনকে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে দাফন-কাফন সেবা প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০০ এর অধিক লাশ দাফন হয়েছে। রয়েছে মাস্তুল মেহমানখানা, যেখান থেকে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা পেট পুড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা হয়।

ডিএস../