র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে বিপুল পরিমান মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারসহ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, প্রতারকদের গ্রেফতার করে জনসাধারণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘঠিত চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত বিভিন্ন ঘটনার আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের কাছ থেকে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প মূল্য জমি ক্রয় প্রত্যাশী সহজ সরল মানুষদের টার্গেট করে একদল প্রতারক চক্র জমি বিক্রির কথা বলে প্রতারণার ফাঁদে পেলে বিপুল পরিমান অর্থ-আত্মসাৎ করে প্রতারণা করে আসছে। উক্ত ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে র্যাব-৩ কর্তৃক উক্ত চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে এবং সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আভিযানিক দল কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে ১০ মার্চ ২০২৫ তারিখ রাত ৮. ঘটিকার সময় গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন তালতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারণা চক্রের প্রধান আসামি বেলাল হোসেন @সাব্বির (৪২)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি জানায় সে দীর্ঘ দিন ধরে জমি ক্রয় প্রত্যাশীদের টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে স্বল্প মূল্য জমি বিক্রির কথা বলে কোটি কোট টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে গ্রাহদের সাথে প্রতারণা করতো। তার নামে ঢাকা মহানগরীর বনানী, মতিঝিল, খিলক্ষেত ও গোপালঞ্জ থানায় একাধিক প্রতারণা মামলা রয়েছে বলে জানায়। ধৃত আসামি অনলাইনে এবং সরেজমিনে সাধারণ মানুষকে জমি দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়।
র্যাব-৩ এর আরেক অভিযানে বহুল আলোচিত ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানার গনধর্ষন মামলার অন্যতম আসামি নূর ইসলাম মাতব্বরকে ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
ডিএস..