০৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

রেলওয়ে হাসপাতাল উন্মুক্ত হলো সবার জন্য 

বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতলসমূহে এখন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফাহিমুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো: সাইদুর রহমান নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারকের শর্ত মোতাবেক বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালসমূহ রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলপোষ্য ও রেলওয়ের যাত্রীসাধারণের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের জন্য চিকিৎসা সুবিধা উন্মুক্তকরণ এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাথে যৌথভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলপোষ্য ও যাত্রী সাধারণের চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল সুযোগ-সুবিধা পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন হাসপতালসমূহে রোগীদের উপচে পড়া ভীড় লেগেই থাকে। অন্যদিকে রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালসমূহে রোগীর উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য। এমতাবস্থায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় রেলওয়ে হাসপাতালসমূহ সর্ব সাধারণকে সেবাদানের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলে অধিক সংখ্যক মানুষ স্বাচ্ছন্দে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালসমূহের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এ সমঝোতা স্মারকের শর্ত মোতাবেক যৌথভাবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত/ পরিচালিত হবে। বিদ্যমান জনবল কাঠামোর অধীনে নিয়োগকৃত জনবলের প্রশাসনিক ও সংস্থাপনিক কার্যক্রম বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় পূর্বের ন্যায় বলবৎ থাকবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত ইনভেন্টরি কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুসারে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ হাসপাতালের সকল অস্থাবর সম্পত্তি বুঝে নিবে এবং এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন ও বিয়োজনের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে।
রেলওয়ে হাসপাতালে বিদ্যমান জনবল কাঠামোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ না থাকায় উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংযুক্তিতে পদায়নে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় রেলওয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সেবা প্রদান ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থের ব্যবস্থাপনা সরকারি হাসপাতালসমূহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান অনুযায়ী হবে।
হাসপাতালসমূহের সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে এবং প্রতিটি হাসপাতালের জন্য পৃথক পৃথক স্থানীয় যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। এই ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি সরকার কর্তৃক আদেশের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, মাননীয় উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়; মিজ নূরজাহান বেগম, মাননীয় উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অধ্যাপক ডা: মো: সায়েদুর রহমান, মাননীয় বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএস./
ট্যাগ :

স্ত্রীসহ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা

রেলওয়ে হাসপাতাল উন্মুক্ত হলো সবার জন্য 

প্রকাশিত : ০৪:০৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতলসমূহে এখন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফাহিমুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো: সাইদুর রহমান নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারকের শর্ত মোতাবেক বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালসমূহ রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলপোষ্য ও রেলওয়ের যাত্রীসাধারণের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের জন্য চিকিৎসা সুবিধা উন্মুক্তকরণ এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাথে যৌথভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলপোষ্য ও যাত্রী সাধারণের চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল সুযোগ-সুবিধা পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন হাসপতালসমূহে রোগীদের উপচে পড়া ভীড় লেগেই থাকে। অন্যদিকে রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালসমূহে রোগীর উপস্থিতি একেবারেই নগণ্য। এমতাবস্থায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় রেলওয়ে হাসপাতালসমূহ সর্ব সাধারণকে সেবাদানের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলে অধিক সংখ্যক মানুষ স্বাচ্ছন্দে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালসমূহের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এ সমঝোতা স্মারকের শর্ত মোতাবেক যৌথভাবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত/ পরিচালিত হবে। বিদ্যমান জনবল কাঠামোর অধীনে নিয়োগকৃত জনবলের প্রশাসনিক ও সংস্থাপনিক কার্যক্রম বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় পূর্বের ন্যায় বলবৎ থাকবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত ইনভেন্টরি কমিটি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুসারে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ হাসপাতালের সকল অস্থাবর সম্পত্তি বুঝে নিবে এবং এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন ও বিয়োজনের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে।
রেলওয়ে হাসপাতালে বিদ্যমান জনবল কাঠামোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ না থাকায় উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংযুক্তিতে পদায়নে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় রেলওয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সেবা প্রদান ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থের ব্যবস্থাপনা সরকারি হাসপাতালসমূহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান অনুযায়ী হবে।
হাসপাতালসমূহের সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে এবং প্রতিটি হাসপাতালের জন্য পৃথক পৃথক স্থানীয় যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। এই ব্যবস্থাপনা কমিটির গঠন ও কার্যপরিধি সরকার কর্তৃক আদেশের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, মাননীয় উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়; মিজ নূরজাহান বেগম, মাননীয় উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অধ্যাপক ডা: মো: সায়েদুর রহমান, মাননীয় বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএস./