কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের জনবহুল দাসপাড়া মহল্লায় প্রবেশে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস এই এলাকায়, যাদের সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। বর্তমানে প্রধান সড়কের উন্নয়ন কাজ এবং বিকল্প রাস্তাটি বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়ায় এলাকাটি একপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
থানার পাশ দিয়ে যাওয়া কুলিয়ারচর বাজার থেকে উপজেলা মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কটির উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে তা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ইতি পূর্বে বিকল্প রূপে ব্যবহৃত কুলিয়ারচর বাজার লঞ্চঘাট থেকে দাসপাড়া মহল্লা পর্যন্ত একটি নতুন রাস্তার টেন্ডার হওয়ার পর রাস্তার কিছু অংশে মাটি ভরাটের পর কাজ বন্ধ রেখে রাস্তাটির আর কোনো উন্নয়ন কাজ না করে ফেলে রাখা হয়। এ বর্ষা মৌসুমে কালীনদীর পানি ও বৃষ্টির পানিতে নবনির্মিত রাস্তার ভরাট মাটি ধসে সরে গিয়ে সংযোগস্থল বিচ্ছিন্ন হয়ে ওই পথটিও একেবারে অচল হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একদিকে উন্নয়ন কাজের জন্য আরেকদিকে নদীর পানিতে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় দাসপাড়া মহল্লায় প্রবেশে জনদুর্ভোগ চরমে।
এতে দাসপাড়ার বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে নানা পথ ঘুরে এবং পায়ে হেঁটে কষ্ট করে বাজারসহ অন্যান্য জরুরি গন্তব্যে যাতায়াত করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বর্তমানে পৌরসভায় কোনো জনপ্রতিনিধি না থাকায় কেউ সরাসরি অভিযোগ গ্রহণ করছেনা এবং দ্রুত সমস্যার সমাধানও মিলছে না।
বাজার ও বেপারী পাড়ার বাসিন্দা ব্যাংকার আব্দুল হাসিব বলেন, “মূল রাস্তার সংস্কার কাজের পাশাপাশি বিকল্প পথটি বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ায় দাসপাড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জনবহুল এলাকা এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বাজারে যেতে এখন অনেকটা কষ্ট করে পায়ে হেঁটেই যেতে হয়।”
তাই পথচারীদের জনদুর্ভোগ এড়াতে ভেঙে যাওয়া মাটির রাস্তাটি জরুরিভিত্তিতে সংস্কার করতে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দাসপাড়া মহল্লাবাসী।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৪আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ্-জোহরা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়ে পৌর ইঞ্জিনিয়ার’কে রাস্তার সংস্কার করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই কাজ শুরু করবেন তিনি।
ডিএস./