ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেছেন, গাছের সাথে আমাদের সর্ম্পক অত্যন্ত নিবিড়। অনেকগুলো বিষয় পরিবেশের সাথে জড়িত রয়েছে। তার মধ্যে বৃক্ষ একটি উল্লেখ্যযোগ্য জায়গা দফল করে রয়েছে। গাছ যদি না বাঁচে তাহলে আমরা বাঁচবো না। আমাদের স্বার্থেই এই গাছগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। গাছের যদি সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষ হয়, তাহলে এটির প্রতি মানুষের আকর্ষন থাকে। যে প্রতিষ্ঠানে গাছের সংখ্যা বেশি তাদের মানষিক প্রশান্তি অন্য জায়গায় থেকে ২৫ ভাগ বেশি থাকে। পরিবেশ রক্ষার যে কর্মসুচি শুরু হয়েছে এটি শুধু ঢাকা বিভাগ না, আমি মনে করি সারাদেশেই চালু হওয়া উচিত। টাঙ্গাইলে এটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, ভোকেশনাল ও টেকনিক্যাল মোট এক হাজার ৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলার সকল সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে একযোগে একটি কৃষ্ণচূড়া, একটি জারুল ও একটি সোনালু জাতের প্রায় চার হাজার বৃক্ষ রোপণের কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন সরকারের বিষয়। আমরা যারা মাঠ প্রশাসনে কাজ করি, সরকারের যেভাবে নির্দেশনা আসবে আমরা সেভাবে কাজ করবো। যখনই নির্বাচন হোক, আমরা অত্যন্ত নিরপক্ষতার সাথে এবং মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারি সেভাবেই কাজ করবো। এখানে কারও প্রতি পাসিলেটি করার সুযোগ নেই।
এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্যাহ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ সরকারির দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএস./