সরকার উৎখাতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এর আগে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে, ১৭ সেপ্টম্বর এ মামলার প্রধান আসামি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী (৫৫) ও তার প্রধান সহযোগী গোলাম মোস্তফা আজাদের (৪৯) পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত। তার আগে, ১৫ সেপ্টেম্বর একই মামলায় এনায়েত করিমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিন্টো রোডে সন্দেহজনকভাবে চলাচলরত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান আদালত।
রিমান্ড আবেদনে এ মামলার প্রধান আসামি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে মিলিতভাবে সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে গোপন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় কাজী মামনুর রশিদের বিরুদ্ধে।
মামলার অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রিপাড়া এলাকায় প্রাডো গাড়িতে আরোহণ করে সন্দেহজনক চলাচল করতে দেখা যায় আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীকে। এ সময় তার গাড়ি থামানো হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনো সদুত্তোর দিতে না পারায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। তার নিকট থেকে পাওয়া দুইটি আইফোন বিশ্লেষণ করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি নিজেকে ভিনদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে দাবি করেন। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের গোপন মিশন নিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে এদেশে এসেছেন বলে স্বীকার করেন।
ডিএস./