০৬:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধবিরতির পর প্রথম ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায়

গাজায় ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি/ ছবি: এএফপি

দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুধা, অনাহারে জর্জরিত গাজাবাসীর কাছে প্রথম ত্রাণবাহী ট্রাক পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গতকাল সেখানে ত্রাণ পৌঁছায়। সে সময় গাজা উপত্যকার দক্ষিণের খান ইউনিসে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সামান্য খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত বাসিন্দাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। সেখানে যে পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছেছে তা খুবই নগন্য। আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ত্রাণ পৌঁছাবে গাজায়।

এদিকে গাজার মানুষ এখনো উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের কারণে যারা জোরপূর্বক গাজা শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল, তাদের মধ্যে লাখো মানুষ আবার ফিরে আসছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে পুরো গাজা এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গাজায় ফিরে আসা লোকজন জানাচ্ছেন, তারা জানে যে তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ভূখণ্ডে ফিরছেন যেখানে কোনো মানবিক সহায়তা নেই, তবুও তারা তাদের নিজস্ব সম্প্রদায়ের সান্নিধ্যে থাকতে চান। তারা বলছেন, সবকিছুর অভাব থাকা সত্ত্বেও তারা টিকে থাকার চেষ্টা করবেন।

তবে এখনো বহু মানুষ মধ্য এবং দক্ষিণ গাজায় রয়ে গেছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের যাওয়ার মতো কোনো নিরাপদ জায়গা নেই, আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো বিকল্প নেই এবং অন্তত এখানেই তারা কিছু খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। তবে তারা যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেটাও স্পষ্ট।

তাদের মতে, ইসরায়েল হয়তো তাদের জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার পর এই চুক্তির শর্তাবলি মানা থেকে পিছিয়ে যেতে পারে। তাই তারা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

এক ধরনের ভয় ও সন্দেহ এখনো বিরাজ করছে এবং তারা যুদ্ধবিরতির সফলতা নিয়ে এখনো পুরোপুরি আস্থাশীল নয়। তবে সহায়তা আসতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।

ডিএস./

জনপ্রিয়

কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

যুদ্ধবিরতির পর প্রথম ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায়

প্রকাশিত : ১২:০০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুধা, অনাহারে জর্জরিত গাজাবাসীর কাছে প্রথম ত্রাণবাহী ট্রাক পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গতকাল সেখানে ত্রাণ পৌঁছায়। সে সময় গাজা উপত্যকার দক্ষিণের খান ইউনিসে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সামান্য খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত বাসিন্দাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। সেখানে যে পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছেছে তা খুবই নগন্য। আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ত্রাণ পৌঁছাবে গাজায়।

এদিকে গাজার মানুষ এখনো উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের কারণে যারা জোরপূর্বক গাজা শহর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল, তাদের মধ্যে লাখো মানুষ আবার ফিরে আসছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে পুরো গাজা এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গাজায় ফিরে আসা লোকজন জানাচ্ছেন, তারা জানে যে তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ভূখণ্ডে ফিরছেন যেখানে কোনো মানবিক সহায়তা নেই, তবুও তারা তাদের নিজস্ব সম্প্রদায়ের সান্নিধ্যে থাকতে চান। তারা বলছেন, সবকিছুর অভাব থাকা সত্ত্বেও তারা টিকে থাকার চেষ্টা করবেন।

তবে এখনো বহু মানুষ মধ্য এবং দক্ষিণ গাজায় রয়ে গেছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের যাওয়ার মতো কোনো নিরাপদ জায়গা নেই, আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো বিকল্প নেই এবং অন্তত এখানেই তারা কিছু খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন। তবে তারা যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেটাও স্পষ্ট।

তাদের মতে, ইসরায়েল হয়তো তাদের জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার পর এই চুক্তির শর্তাবলি মানা থেকে পিছিয়ে যেতে পারে। তাই তারা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

এক ধরনের ভয় ও সন্দেহ এখনো বিরাজ করছে এবং তারা যুদ্ধবিরতির সফলতা নিয়ে এখনো পুরোপুরি আস্থাশীল নয়। তবে সহায়তা আসতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।

ডিএস./