আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার ও বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। দুই জনই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা দিকে প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে জেলা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। অপর দিকে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন তিনি রবিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বিএনপির দুইজন প্রার্থী হওয়ায় নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেলে কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। না কি প্রত্যাহার করবেন এই নিয়ে কুষ্টিয়া সদর নির্বাচনী এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন।
এদিকে প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার কেন্দ্রের অনুমোতি পেয়েই তার নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে মাঠ প্রস্তত করেছেন। তিনি ধানের শীষ পোষ্টার, ফেস্টুনসহ হরেক রকমের প্রচারপত্র নিয়ে সদর আসনটি নিজ দখলে রেখেছেন। সাধারণ ভোটারসহ দলীয় নেতা কর্মীরাও রয়েছে তার সাথে। তবে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সাথে দলীয় মুষ্টিকয়েকজন নেতা সমর্থক ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। তার পরেও যেহেতু তিনি সাবেক সংসদ সদস্য সেক্ষেত্রে তার পক্ষে কিছু ভোটার রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ওই সব ভোটাররা তার সাথে থাকবে কিনা সেটাও রয়েছে আলোচনায়।
এদিকে গ্রামের ভোটাররা জানায়, যিনি ধানের শীষ নিয়ে আসবেন তার পক্ষেই তারা কাজ করবেন এবং ভোট দিবেন। দলীয় কন্দোল যত তাড়াতাড়ী মিটবে বিএনপির জন্য ততই মঙ্গল।এদিকে জাকির হোসেন সরকার বলেছেন, দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে দলের সিদ্ধান্তেই তিনি মনোনয়ন পত্র ফরম সংগ্রহ করেছেন। দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে তিনি কোন কাজ করবেন না। অপর দিকে সোহরাব উদ্দিন বলেছেন দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচন করবেন। দল যদি তাকে না দেয় ভোটারসহ তার প্রতি আস্তাভাজন ব্যক্তিরা যে সিদ্ধন্ত দিবেন তিনি তা মেনে নিবেন।
সোমবার বিএনপির ২ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের পর থেকে কুষ্টিয়া সদর আসনের নির্বাচন জমে উঠেছে। সাধারণ ভোটারদের মাঝে ফিরে এসেছে প্রণচাঞ্চল্য। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ভোটাররা তাদের ভোট স্ততঃস্ফ’র্তভাবে দিতে পারবেন বলে আশা করছে।
ডিএস./

























