নিজস্ব প্রতিবেদক 
ক্যান্সার গোটা বিশ্বে অন্যতম মরণ রোগে পরিণত হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভাসের কারণে এর ভয়াবহতা দিন দিন বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনা ও ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলি পরিবর্তন করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার যোগ করা উচিত যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। যেমন :
১. ব্রকলিতে সালফোরাফেন উপাদান থাকায় এটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই সবজিটি কোলন, প্রস্টেট ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুন কার্যকরী।
নিয়মিত গাজর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে
২. সালফারে পূর্ণ অ্যালিসিন ও ডায়াল্লিল ডিসালফাইড থাকায় রসুন নানা রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। টিউমার জাতীয় অসুখের প্রবণতাও কমায় এটি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রস্টেট ক্যান্সার ঠেকাতে রসুনের বিকল্প নেই।
৩. হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে পরিচিত। কোলনে যে কোনও টিউমার বা ঘা কমাতে হলুদ বিশেষ উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা এক মাস খাবারের সঙ্গে চার গ্রাম হলুদ মশলা হিসাবে যোগ করার পর কোলন ক্যান্সারে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঠেকাতেও এই মসলা দারুন কার্যকরী।
৪. রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করা সম্ভব না হলেও যদি সালাদে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়।
লেবু পানি ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুন কার্যকরী
৫. খাদ্যনালীর ক্যান্সার প্রতিরোধে ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ খুবই উপকারী।
৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গাজর শরীরে ক্যান্সারের কোষ উৎপাদন কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সালাদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রান্নায় গাজর যোগ করলে তা কোলন কিংবা পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গাজর যোগ করলে প্রস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা প্রায় ১৮ থেকে ২০ শতাংশ কমে যায়। ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও গাজর বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৭. লেবু শরীরের টক্সিন সরিয়ে শরীরকে বিষমুক্ত রাখে। প্রতিদিন গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের টক্সিন দ্রুত বেরিয়ে যায়। দিনে তিন থেকে চারবার এই পানীয় খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।
বিবি/রেআ
