১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোকাকোলা পেপসিতে ব্যবহৃত কৃত্রিম মিষ্টি ঝুঁকিপূর্ণ

কোকাকোলা এবং পেপসিসহ হাজারো পণ্যে ব্যবহৃত কৃত্রিম মিষ্টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে তার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা।

কোকাকোলা ও পেপসি’র ডায়েট কোক, কোক জিরো এবং পেপসি মিক্সসহ ৬ হাজার রকম খাদ্যে ব্যবহৃত হয় অ্যাসপার্টেম (Aspartame)। সাধারণ চিনির চেয়ে এটি ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি৷ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিরীক্ষা অনুযায়ী একে নিরাপদ মনে করা হতো।

কিন্তু অতি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরিক মাইলস্টোনের নেতৃত্বে গবেষণায় উঠে আসে অ্যাসপার্টেমের (Aspartame) নেতিবাচক দিক। এই গবেষণায় অ্যাসপার্টেম (Aspartame) স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু নিরাপদ সেটার প্রশ্ন উঠেছে ও স্নায়বিক ক্ষতির প্রমাণ পাওয়া গেছে৷

এ গবেষণায় দেখা যায়, ২-১০% মানুষের মাথা ব্যথা ও দৃষ্টিতে ক্ষীণ দেখা সহ গুরুতর শারীরিক সমস্যা হচ্ছে।

অধ্যাপক এরিক মাইলস্টোন, যিনি দীর্ঘসময় স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে সমালোচক ও গবেষক হিসেবে পরিচিত। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন যে, এ বিষয়ে অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা আছে।

তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিরীক্ষাকে ভুল বলার পাশাপাশি অ্যাসপার্টেম বিক্রি, ব্যবহার অনুমোদনে স্থগিতাদেশ করার আহ্বান জানান এবং স্বাধীন নিরীক্ষা চালানোর কথা বলেন।এই বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, আমার কাছে ২৫০ জন লোক এসেছেন। যারা মনে করেন অ্যাসপার্টেম বড় রকমের সমস্যা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতির প্রমাণ হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বর্ণনা করবো যে, তাদের স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণ রয়েছে এবং তার জন্য অ্যাসপার্টেম দায়ী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তবে অধ্যাপক মাইলস্টোন ইতোমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অ্যাসপার্টেম প্রস্তুতকারকরা তার সমালোচনা করেছে এবং তার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ উপেক্ষা করার অভিযোগ করেছেন এবং তিনি ভ্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছে।

ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে এন্ড ডায়াবেটিস ইউকেসহ বিশ্বের সকল নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, কম এবং ক্যালোরিমুক্ত মিষ্টি নিরাপদ। আর এই ব্যাপারটি অধ্যাপক মাইলস্টোনের বক্তব্যকে জোরালোভাবে সমর্থন দেয়।

বিশ্ববাজারে অ্যাসপার্টেম(Aspartame) মূলত ন্যাচারসুইট(NutraSweet), ক্যান্ডারেল(Candarel) ও ইক্যুয়াল(Equal) নামে বিক্রি হয়।

২০১০ এ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর অর্থায়নে একটি প্রজেক্টে দেখা যায়, যেসব গর্ভবতী নারীরা কৃত্রিম মিষ্টিযুক্ত ফিজি জাতীয় কোমল পানীয় বেশি গ্রহণ করেন তাদের অপরিণত শিশু জন্ম দেয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কিন্তু ২০১৩ তে কৃত্রিম মিষ্টি অ্যাসপার্টেমকে (Aspartame) ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথোরিটি (European Food Safety Authority (EFSA) নিরাপদ হিসেবে গণ্য করে। আর দ্য ইন্টারন্যাশনাল সুইটনারস অ্যাসোসিয়েশন একে সেফটি কনসার্ন হিসেবে দেখেনি।

 

বিজনেস বাংলাদেশ-/ ইএম

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

কোকাকোলা পেপসিতে ব্যবহৃত কৃত্রিম মিষ্টি ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশিত : ১০:০৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

কোকাকোলা এবং পেপসিসহ হাজারো পণ্যে ব্যবহৃত কৃত্রিম মিষ্টিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে তার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা।

কোকাকোলা ও পেপসি’র ডায়েট কোক, কোক জিরো এবং পেপসি মিক্সসহ ৬ হাজার রকম খাদ্যে ব্যবহৃত হয় অ্যাসপার্টেম (Aspartame)। সাধারণ চিনির চেয়ে এটি ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি৷ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিরীক্ষা অনুযায়ী একে নিরাপদ মনে করা হতো।

কিন্তু অতি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরিক মাইলস্টোনের নেতৃত্বে গবেষণায় উঠে আসে অ্যাসপার্টেমের (Aspartame) নেতিবাচক দিক। এই গবেষণায় অ্যাসপার্টেম (Aspartame) স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু নিরাপদ সেটার প্রশ্ন উঠেছে ও স্নায়বিক ক্ষতির প্রমাণ পাওয়া গেছে৷

এ গবেষণায় দেখা যায়, ২-১০% মানুষের মাথা ব্যথা ও দৃষ্টিতে ক্ষীণ দেখা সহ গুরুতর শারীরিক সমস্যা হচ্ছে।

অধ্যাপক এরিক মাইলস্টোন, যিনি দীর্ঘসময় স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে সমালোচক ও গবেষক হিসেবে পরিচিত। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন যে, এ বিষয়ে অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা আছে।

তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিরীক্ষাকে ভুল বলার পাশাপাশি অ্যাসপার্টেম বিক্রি, ব্যবহার অনুমোদনে স্থগিতাদেশ করার আহ্বান জানান এবং স্বাধীন নিরীক্ষা চালানোর কথা বলেন।এই বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, আমার কাছে ২৫০ জন লোক এসেছেন। যারা মনে করেন অ্যাসপার্টেম বড় রকমের সমস্যা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতির প্রমাণ হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বর্ণনা করবো যে, তাদের স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণ রয়েছে এবং তার জন্য অ্যাসপার্টেম দায়ী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

তবে অধ্যাপক মাইলস্টোন ইতোমধ্যে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অ্যাসপার্টেম প্রস্তুতকারকরা তার সমালোচনা করেছে এবং তার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ উপেক্ষা করার অভিযোগ করেছেন এবং তিনি ভ্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছে।

ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে এন্ড ডায়াবেটিস ইউকেসহ বিশ্বের সকল নেতৃস্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, কম এবং ক্যালোরিমুক্ত মিষ্টি নিরাপদ। আর এই ব্যাপারটি অধ্যাপক মাইলস্টোনের বক্তব্যকে জোরালোভাবে সমর্থন দেয়।

বিশ্ববাজারে অ্যাসপার্টেম(Aspartame) মূলত ন্যাচারসুইট(NutraSweet), ক্যান্ডারেল(Candarel) ও ইক্যুয়াল(Equal) নামে বিক্রি হয়।

২০১০ এ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর অর্থায়নে একটি প্রজেক্টে দেখা যায়, যেসব গর্ভবতী নারীরা কৃত্রিম মিষ্টিযুক্ত ফিজি জাতীয় কোমল পানীয় বেশি গ্রহণ করেন তাদের অপরিণত শিশু জন্ম দেয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কিন্তু ২০১৩ তে কৃত্রিম মিষ্টি অ্যাসপার্টেমকে (Aspartame) ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথোরিটি (European Food Safety Authority (EFSA) নিরাপদ হিসেবে গণ্য করে। আর দ্য ইন্টারন্যাশনাল সুইটনারস অ্যাসোসিয়েশন একে সেফটি কনসার্ন হিসেবে দেখেনি।

 

বিজনেস বাংলাদেশ-/ ইএম