পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে মিছিল শুরুর পর মাঝপথে অলিগলি থেকে কাউকে মিছিলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে হোসাইনী দালানের ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর হোসাইনী দালান, ইমামবাড়া, মিরপুর, বড় কাটারা, ছোট কাটারা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় মহরমের ৬ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর প্রত্যেকটি ইমামবাড়া সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যারা শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন তাদের প্রত্যেককে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশী হয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও জানান, মিছিলে কোনো ধরনের ধাতব বস্তু, চোরা-তরবারি, বর্ষা বা আগুনের কোনো বস্তু আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। আমরা মিছিলে এসব বস্তু বহন করতে দেব না। যে নিশান ব্যবহার করা হয় সে নিশান ১২ ফুট এর বেশি উচ্চতা হবে না।
এর বড় কারণ হল ইলেকট্রিক ও টেলিফোনের তার এর সঙ্গে লেগে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং আমরা সকলের সঙ্গে বারংবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিশান ১২ ফুট এর উপরে হবে না। মিছিল যে রাস্তা দিয়ে যাবে সে রাস্তাগুলোতে আমাদের চেকপোস্ট থাকবে। রুটগুলোতে আমাদের সদস্যরা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে।
‘শোক মিছিলে যারা যোগ দেবে তাদেরকে শুরু থেকেই যোগ দেওয়ার অনুরোধ করছি আমরা। কারণ পথিমধ্যে অলিগলি থেকে যোগ দেওয়া আমাদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং এটাকে আমরা অ্যালাউ করবো না।
তাই সকলের প্রতি অনুরোধ, যারা মিছিলে অংশ নেবেন তারা শুরুতে আসলে আমরা তাদের পরিচয় জানতে পারবো এবং এর মাধ্যমে মূল মিছিলে শরীক হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
মিছিলে উচ্চশব্দে যেকোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ শোকের মিছিল সুতরাং যে কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র উৎসব-আনন্দ নিষিদ্ধ থাকবে।’ যোগ করেন ডিএমপি কমিশনার।
বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

























