০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগের অনুমোদন

btrc-grameen-robi

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই অপারেটর দুটিতে প্রশাসক বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিটিআরসি প্রস্তাব পাঠানোর পর আমরা তা অনুমোদন দিয়েছি।

এখন বিটিআরসি ঠিক করবে প্রশাসক বা রিসিভার হিসেবে কাকে নিয়োগ দেবে, কীভাবে নিয়োগ দেবে, প্রশাসকের কোনও সহযোগী থাকবে কিনা ইত্যাদি বিষয়।

এদিকে গ্রামীণফোন থেকে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা আদায়ে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির উপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি আবদুল হাকিম ও ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ৫ নভেম্বর গ্রামীণফোনের আপিল শুনানির জন্য দিন রেখেছে আদালত।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শরীফ ভূঁইয়া ও তানিম হোসেইন শাওন। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি।

অন্যদিকে টাকার ওই অঙ্ক নিয়ে আপত্তি রয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির; বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় দুই অপারেটর। তবে পরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের উদ্যোগে বিষয়টি নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হয়।

গ্রামীণফোনের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বলেন, নিম্ন আদালতে আমরা একটা টাইটেল স্যুট (স্বত্তের মামলা) ফাইল করেছিলাম। ওই টাইটেল স্যুটটা অ্যাডমিটেড হয়ে নিম্ন আদালতে পেন্ডিং আছে।

ওই টাইটেল স্যুটের অধীনে আমরা বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছিলাম, সেটা গত ২৮ অগাস্ট নিম্ন আদালত খারিজ করে দিয়েছিলেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে অবকাশের সময় আপিল করেছিলাম।

আজ হাইকোর্ট আমাদের আপিলটি গ্রহণ করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর আপিলটি শুনানির জন্য ধার্য রেখেছেন। এই সময়ের মধ্যে বিটিআরসি তাদের পাওনা আদায়ের জন্য যাতে কোনো ব্যবস্থা না নেয় সে জন্য দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগের অনুমোদন

প্রকাশিত : ০৭:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই অপারেটর দুটিতে প্রশাসক বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিটিআরসি প্রস্তাব পাঠানোর পর আমরা তা অনুমোদন দিয়েছি।

এখন বিটিআরসি ঠিক করবে প্রশাসক বা রিসিভার হিসেবে কাকে নিয়োগ দেবে, কীভাবে নিয়োগ দেবে, প্রশাসকের কোনও সহযোগী থাকবে কিনা ইত্যাদি বিষয়।

এদিকে গ্রামীণফোন থেকে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা আদায়ে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির উপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি আবদুল হাকিম ও ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ৫ নভেম্বর গ্রামীণফোনের আপিল শুনানির জন্য দিন রেখেছে আদালত।

আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শরীফ ভূঁইয়া ও তানিম হোসেইন শাওন। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি।

অন্যদিকে টাকার ওই অঙ্ক নিয়ে আপত্তি রয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির; বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় দুই অপারেটর। তবে পরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের উদ্যোগে বিষয়টি নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে গ্রামীণফোন ও বিটিআরসির কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হয়।

গ্রামীণফোনের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বলেন, নিম্ন আদালতে আমরা একটা টাইটেল স্যুট (স্বত্তের মামলা) ফাইল করেছিলাম। ওই টাইটেল স্যুটটা অ্যাডমিটেড হয়ে নিম্ন আদালতে পেন্ডিং আছে।

ওই টাইটেল স্যুটের অধীনে আমরা বিটিআরসির পাওনা আদায়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেছিলাম, সেটা গত ২৮ অগাস্ট নিম্ন আদালত খারিজ করে দিয়েছিলেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে অবকাশের সময় আপিল করেছিলাম।

আজ হাইকোর্ট আমাদের আপিলটি গ্রহণ করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর আপিলটি শুনানির জন্য ধার্য রেখেছেন। এই সময়ের মধ্যে বিটিআরসি তাদের পাওনা আদায়ের জন্য যাতে কোনো ব্যবস্থা না নেয় সে জন্য দুই মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান